Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

কবি নজরুল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তর : বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে পশ্চিম বাংলার বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে পিতৃমাতৃহীন হওয়ার পর নজরুল ইসলাম লেটো গানের দলে যোগ দেন। এ সময় তাঁর ডাক
নাম ছিল দুখু মিয়া। এক পর্যায়ে দুখু মিয়া বর্ধমানে ও ময়মনসিংহের দরিরামপুর লেখাপড়া করেন। এ সময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠলে প্রবেশিকা পরীক্ষা না দিয়ে তিনি ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বাঙালি পল্টনে যোগ দেন। এখান থেকে শুরু হয় তাঁর সাহিত্যজীবন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে যুদ্ধ ফেরৎ কাজী নজরুল কমরেড মোজাফ্ফর আহমদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। আমৃত্যু তাঁদের এই বন্ধুত্ব অটুট ছিল। কাজী নজরুল ‘মোসলেম ভারত’, ‘সওগাত’, ‘প্রবাসী’ কল্লোল’ প্রভৃতি পত্রিকায় কবিতা লিখে সাহিত্য সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কবি নজরুল নিজের সম্পাদিত ‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় সরকার বিরোধী নিবন্ধ প্রকাশ করার অপরাধে কারান্তরীণ হন। এই কারাগারে বসেই কবি তাঁর ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ নিবন্ধটি রচনা করেন। কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২), ‘দোলন চাঁপা’ (১৯২৩), ‘বিষের বাঁশী’ (১৯২৪), ‘ছায়ানট’ (১৯২৪), ‘সাম্যবাদী’ (১৯২৫), ‘সর্বহারা’ (১৯২৬) প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ ও ‘ব্যথার দান’, ‘মৃত্যুক্ষুধা’, ‘শিউলিমালা’, ‘রিক্তের বেদন’ প্রভৃতি গল্প উপন্যাস প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট ঢাকায় পরলোকগমন করেন কাজী নজরুল ইসলাম।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!