প্রশ্নের উত্তর

এক তরীতে যাব মোরা আর না হারা গাঁ, পারাপারের ঘাটে প্রিয় রইনু বেঁধে না।”- ব্যাখ্যা কর।

উৎস : আলোচ্য পঙক্তিযুগল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত ‘ছায়ানট’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘চৈতী হাওয়া’ শীর্ষক কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ : কবি এখানে তাঁর প্রিয়ার সাথে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন।
বিশ্লেষণ : কোন চৈতালি দিনে তাঁর প্রিয়ার সাথে কবির সাক্ষাৎ হয়েছিল। কবি তাঁর প্রিয়ার ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছিলেন। প্রকৃতির মাঝে তাঁর প্রিয়াকে তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন। প্রকৃতি ফুলে-ফলে ভরপুর। প্রকৃতির শোভায় তাঁর প্রিয়া শোভিত হয়েছিল । তারপর কোন এক সময়ে কবি তাঁকে হারিয়ে ফেললে সে চলে যায় অসীমতার মাঝে। কবি তাঁর প্রেয়সীর বিশ্বস্ত প্রেমিক। কবির বিশ্বাস তাঁর প্রেয়সী একদিন ফিরে আসবে। তাই কবি তাঁর প্রেয়সীর জন্য প্রতীক্ষায় ঘাটে নৌকা বেঁধে বসে আছেন। কবির মনের প্রত্যাশা, এ নৌকা হয়ত তার প্রিয়ার কমল পাকে স্পর্শ করে কবি হৃদয়ে দোলা লাগাবে। তাদের হবে পুনর্মিলন। জীবনে এ মিলনের পর আর হয়ত বিচ্ছেদের বেদনা থাকবে না। কিন্তু কবির এ প্রত্যাশা নিছক ছলনাময়। কবি যে তাঁর প্রিয়তমার সাক্ষাৎ পাবেন না তাও জানেন। তবুও কবি তাঁর প্রিয়ার সাথে মিলিত হবার আশায় ঘাটে নৌকা বেঁধে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
মন্তব্য : কবির বিশ্বাস তাঁর প্রিয়ার সাথে নিশ্চয় একদিন মিলন হবেই। তাই কবি অন্তহীন প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছেন।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!