UNICEF -এর পরিচয় দাও।

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ জাতিসংঘের এক বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে UNICEF বিশেষভাবে পরিচিত। এ সংস্থাটি শিশুদের
আগামী দিনের কর্ণধার হিসেবে উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। UNICEF বিশ্বব্যাপী যে সকল শিশু ও নারীদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক বেঁচে থাকার অধিকার, নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অবিরাম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
→UNICEF এর পরিচয় ঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফলশ্রুতিতে সমস্যাক্রান্ত ও অপুষ্টিজনিত দুঃস্থ অসহায় শিশুদের বিশেষত ইউরোপ ও চীনের শিশুদের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, বস্ত্র, ঔষধ সরবরাহের লক্ষ্যে ১৯৪৬ সালের ১১ ডিসেম্বর
প্রতিষ্ঠিত হয় UNICEF । পরবর্তী সময়ে ১৯৫০ সালের দিকে বিশ্বের অনুন্নত, স্বল্পউন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিশুদের স্বাস্থ্য শিক্ষা, পুষ্টিসহ সার্বিক কল্যাণে দীর্ঘ মেয়াদি সহায়তা দানের জন্য Emergency শব্দটি বাদ দিয়ে UN children’s Fund রাখা হয় কিন্তু সংক্ষিপ্ত নামে UNICEF কথাটি রয়েছে। ১৯৫৩ সালের ৬ অক্টোবর সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের মাধ্যমে পরিবর্তিত নামের অনুমোদনসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনে জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থার মর্যাদা লাভ করে। এর সদস্য সংখ্যা ১৭৩টি, এবং এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে’ অবস্থিত। UNICEF তাদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৬৫ বলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইউনিসেফ জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে তার কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে চলছে। UNICEF বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষা, পরামর্শ ও যন্ত্রদানে সাহায্য করে চলছে।