UNESCO’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি?

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ জাতিসংঘের অন্যতম বিশেষায়িত সংস্থা হচ্ছে UNESCO। জাতিসংঘের সনদে বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক জীবনের সামগ্রিক উন্নয়ন ও বিকাশের সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য মানবজাতির শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষা ও বিকাশ সাধন এ সংস্থার মূল লক্ষ্য ।
UNESCO’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : UNESCO’র প্রাথমিক ও মূল লক্ষ্য হচ্ছে জাতিসমূহের মধ্যে শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা আনয়ন। নিম্নে UNESCO’র লক্ষ্য ও
উদ্দেশ্যসমূহ তুলে ধরা হলো ঃ
১. শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে জাতিসমূহের সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২. জাতি, ধর্ম বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল মানুষের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৩. বিশ্বজুড়ে সকল গণমাধ্যমের ব্যবহারের মাধ্যমে পারস্পরিক জ্ঞান ও ধারণার আদান-প্রদান করা।
৪. জাতিসমূহের পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ে
৫. সদস্য দেশগুলোকে তাদের অনুরোধের ভিত্তিতে শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রমের উন্নয়নে সহায়তা করা।
৬. আন্তর্জাতিক কনভেনশনের মাধ্যমে দেশসমূহের বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য বই, শিক্ষাকর্ম, বিজ্ঞান ও ইতিহাস নিদর্শন সংরক্ষণের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত জ্ঞানের বিকাশ সাধন।
৭. শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যক্তি এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকাশনা সাহিত্য ও বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিভিন্ন বস্ত্র ও অন্যন্য দ্রব্য ও তথ্যাদির আদান-প্রদানের মাধ্যমে দেশগুলোকে বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে উৎসাহিত করা।
৮. শিশুদের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষা পদ্ধতির জন্য সদস্য দেশগুলোকে প্রস্তাব প্রদান ।
৯. বিভিন্ন দেশের প্রকাশনার অন্যান্য দেশগুলোকে অংশগ্রহণের সুযোগের মাধ্যমে জ্ঞান বিকাশের প্রচার প্রকাশ সাধন।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে UNESCO প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আর এ সুনাম অর্জনের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সুচিন্তিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে

UNESCO তার কর্মকাণ্ডে বিশ্বব্যাপী পরিচালনা করে আসছে।