ভূমিকাঃ ‘Patron-client’ একটি সামাজিক প্রণালীর পরিভাষা যা প্রায় সমাজগতিতে পাওয়া যায়। এটি একটি ব্যক্তি বা দলের সম্পর্ককে দরজার মধ্যে একটি জাতীয় মক্সিমাম পরিচালিত করে, যা সহায়তা, রক্ষা এবং সমর্থনের মাধ্যমে হয়। এই সম্পর্কে, প্রধান ব্যক্তি বা দল (প্যাট্রন) সামর্থ্যবান এবং সম্পত্তি বা সম্মানের সূত্র হিসাবে কাজ করে, এবং এই সমর্থন বিনিময়ে চাহিদাকারী ব্যক্তি বা গ্রুপ (ক্লায়েন্ট) কিছু সেবা বা সুরক্ষা পায়। এই সামাজিক প্রণালী সাধারণত নির্দিষ্ট সামাজিক ও আর্থিক সীমার মধ্যে ঘটতে থাকে এবং প্রাচীন ও আধুনিক সমাজগতির মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।
Patron-client সম্পর্ক: ‘পেট্রোন-ক্লাইন্ট’ সম্পর্ক হল দু’জনের মধ্যে একধরণের বিনিময়মূলক সম্পর্ক, যেখানে একজন অপরজনকে সাহায্য বা সমর্থন করেন, আর তার বিনিময়ে সেই ব্যক্তি প্রথমজনকে কোনো না কোনো কম লাভ দেন। এই লাভ আর্থিক সাহায্য, শ্রম, সমর্থন, বা অন্য কোনো কিছু হতে পারে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে, এই সম্পর্কটি ঐতিহাসিকভাবে ভূমি মালিক এবং ভূমিহীনদের মধ্যে দেখা যেত। ভূমি মালিকরা গরীব মানুষদের জমি চাষের অনুমতি দিতেন, আর তার বিনিময়ে সেই মানুষেরা জমির ফসলের একটা অংশ ভূমি মালিককে দিতেন। বর্তমানে, এই ধরণের সম্পর্ক রাজনীতিতেও বেশি দেখা যায়, যেখানে রাজনৈতিক নেতারা ভোটারদের সাহায্য করেন, আর তার বিনিময়ে ভোটাররা নির্বাচনে তাঁদেরকে সমর্থন করেন।
উপসংহারঃ ‘পেট্রোন-ক্লাইন্ট’ সম্পর্কের ইতিবাচক দিক হল এটি দু’পক্ষের জন্যই উপকারী হতে পারে। কিন্তু, কখনো কখনো এই সম্পর্কটি অসামান্য বা একপক্ষের পক্ষে লাভজনক হয়ে উঠতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, পেট্রোন-ক্লাইন্ট সম্পর্কের ফলে দক্ষ নেতারা না হয়ে প্রভাবশালী নেতারাই নির্বাচনে জেতেন।