অথবা, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত কার্যাবলি লিখ।
অথবা, জেলা পরিষদ জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজগুলাে কী কী?
অথবা, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ভূমিকা উল্লেখ কর।
অথবা, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রম বর্ণনা কর।
অথবা, জেলা পরিষদ জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে কী কী কাজ করে থাকে?
ভূমিকা : স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের সর্বোচ্চ স্তর জেলা পরিষদ। ১৯৮৮ জেলা পরিষদ আইনে ৩টি পার্বত্য জেলা ব্যতীত প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে জেলা পরিষদ গঠন ও চালু করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্যমূলক কার্যক্রম : জেলা পরিষদ আইন ২০০৯ এর ২৭ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী জেলা পরিষদের কার্যাবলি দুই প্রকারের আবশ্যিক এবং ঐচ্ছিক। ৩নং উপধারা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যমূলক কার্যাবলি জেলা পরিষদের ঐচ্ছিক কার্যাবলি যা প্রথম তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত হয়েছে। জেলা পরিষদ কর্তৃক জনস্বাস্থ্যমূলক গৃহীত কার্যাবলিসমূহ নিম্নরূপ-
১.জনস্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষার উন্নয়ন।
২.ম্যালেরিয়া ও সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরােধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
৩.প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ ।
৪.ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা দল গঠন।
৫.চিকিৎসা সাহায্য প্রদানের জন্য সমিতি গঠনে উৎসাহ প্রদান।
৬.চিকিৎসা শিক্ষার উন্নয়ন এবং চিকিৎসা সাহায্যদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে অর্থ মঞ্জুরী প্রদান।
৭, কম্পাউন্ডার, নার্স এবং অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীদের কাজও ডিসপেন্সরি পরিদর্শন।
৮.ইউনানী, আয়ুর্বেদীয় ও হােমিওপ্যাথিক ডিসপেনসারি প্রতিষ্ঠা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিদর্শন।
৯.স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাতৃসদন ও শিশু মঙ্গল কেন্দ্র স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিদর্শন, ধাত্রীদের প্রশিক্ষণ দান এবং মাতা ও শিশুদের কল্যাণের জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ ।
১০. পশুপাখির ব্যাধি দূরীকরণ এবং পশু পাখিদের মধ্যে ছোঁয়াচে রােগের প্রতিরােধ ও নিয়ন্ত্রণ ।
১১. গবাদি পশু সম্পদ সংরক্ষণ ।
১২. চারণভূমির ব্যবস্থা ও উন্নয়ন।
১৩. দুধ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ, দুগ্ধপল্লি স্থাপন এবং স্বাস্থ্যসম্মত আস্তাবলের ব্যবস্থা ও নিয়ন্ত্রণ ।
১৪. গবাদি খামার ও দুগ্ধ খামার স্থাপন ও সংরক্ষণ ।
১৫, হাঁস-মুরগির খামার স্থাপন ও সংরক্ষণ ।
১৬. জনস্বাস্থ্য, পশুপালন ও পাখি কল্যাণ উন্নয়নের জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষার উন্নয়ন, ম্যালেরিয়া ও সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরােধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণে জেলা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।