অথবা, নারীবাদী আন্দোলনের বিভিন্ন কারণ সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
অথবা, নারীবাদী আন্দোলন সংঘটিত হওয়ার কয়েকটি কারণ তুলে ধর।
অথবা, নারীবাদী আন্দোলনের কিছু কারণ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, কেন নারীবাদী আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল?
অথবা, নারীবাদী আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে কেন” সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : মানব সমাজের ক্রমবর্ধমান বিকাশে নারী পুরুষের সমান অংশগ্রহণ রয়েছে কিন্তু সভ্যতার শুরু থেকেই নারীকে করা হয়েছে অবহেলিত। নারীকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। দেয়া হয়নি তাঁর কর্মের সঠিক মর্যাদা। ফলে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে নারীবাদী আন্দোলন। আর তাই আজ সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে নারীমুক্তি, নারীমর্যাদা, নারী
অধিকার আদায়ের আন্দোলন।
নারীবাদী আন্দোলনের কারণ : নিম্নে নারীবাদী আন্দোলনের কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো :
১. দারিদ্র্য ও ক্ষুধা : উন্নয়নশীল বিশ্বে নারীর পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ হলো দারিদ্র্য। সম্পদের অসম বণ্টন, সম্পদের নিয়ন্ত্রণহীন মালিকানা এর অন্যতম কারণ। তাই নারীরা দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মোকাবিলায় নারীমুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলে।
২. অসমতা : সমাজ উন্নয়নে নারী পুরুষ সমান অংশগ্রহণ থাকলেও নারীকে সমমর্যাদা দেয়া হয় না। নারী পুরুষের সমান কাজ করের ‘অর্ধেক মজুরি পায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সহ সকলক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। এ সকল কারণেই নারীবাদী আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছে।
৩. ত্রুটিপূর্ণ শাসন ব্যবস্থা : সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা সবার কাম্য। যেখানে নারী পুরুষ সকলের জন্য আইন সমান। কিন্তু এই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিভিন্ন ত্রুটির কারণে নারী পুরুষ সমান অধিকার পাচ্ছে না। ফলে গড়ে উঠেছে নারীবাদী আন্দোলন।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, নারী আন্দোলন সভ্য সমাজে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়। কাজেই আমাদের উচিত সমাজের সকল স্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার দেয়া তাহলে গড়ে উঠবে নারী পুরুষ সমতাভিত্তিক এক আদর্শ সমাজ ব্যবস্থা যা নারীদের একান্ত প্রত্যাশা।