মাঠকর্ম (Fieldwork) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে গবেষক বা পেশাদাররা সরাসরি ক্ষেত্রে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন, পর্যবেক্ষণ করেন এবং বিশ্লেষণ করেন। মাঠকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিষয়ভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণভাবে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিম্নরূপ:
লক্ষ্য:
- প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা: মাঠকর্মের প্রধান লক্ষ্য হলো বাস্তব পরিবেশ থেকে সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা, যা গবেষণা বা প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন।
- বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন: মাঠকর্মের মাধ্যমে গবেষকরা বাস্তব পরিস্থিতির সাথে সরাসরি পরিচিত হন, যা তাত্ত্বিক জ্ঞানের সাথে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটায়।
- সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান: মাঠকর্মের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট এলাকা বা সম্প্রদায়ের সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।
- নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন: সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে কার্যকর নীতি, পরিকল্পনা বা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তথ্য সরবরাহ করা।
উদ্দেশ্য:
- তথ্যের গুণগত ও পরিমাণগত বিশ্লেষণ: মাঠকর্মের মাধ্যমে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে তা পরিমাণগত (Quantitative) এবং গুণগত (Qualitative)ভাবে বিশ্লেষণ করা।
- সামাজিক ও পরিবেশগত অধ্যয়ন: সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক বা পরিবেশগত বিষয়ে গভীর ধারণা অর্জনের জন্য মাঠকর্ম পরিচালনা করা।
- স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে সংযোগ স্থাপন: মাঠকর্মের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তাদের মতামত, অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজন বোঝা।
- গবেষণার বৈধতা নিশ্চিত করা: মাঠকর্মের মাধ্যমে তাত্ত্বিক ধারণা বা অনুমানকে বাস্তব তথ্যের মাধ্যমে যাচাই করা।
- প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন: কোনো উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কার্যকারিতা মূল্যায়ন বা তার প্রভাব পরিমাপের জন্য মাঠকর্ম পরিচালনা করা।
- শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা: শিক্ষার্থী বা গবেষকদের ব্যবহারিক শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া, যা তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি করে।
উদাহরণ:
- মানববিজ্ঞানে: কোনো সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি, রীতিনীতি বা জীবনযাত্রা অধ্যয়নের জন্য মাঠকর্ম।
- পরিবেশ গবেষণায়: জীববৈচিত্র্য, বনাঞ্চল বা জলাশয়ের অবস্থা পর্যবেক্ষণ।
- উন্নয়ন প্রকল্পে: গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা অবকাঠামোর অবস্থা মূল্যায়ন।
সুবিধা ও গুরুত্ব:
মাঠকর্ম তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা বাড়ায়, স্থানীয় সমস্যার গভীর উপলব্ধি প্রদান করে এবং বাস্তবসম্মত সমাধান প্রণয়নে সহায়তা করে। এটি গবেষণা বা প্রকল্পকে আরও কার্যকর ও প্রাসঙ্গিক করে তোলে।
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে (যেমন, কৃষি, সমাজবিজ্ঞান, পরিবেশ) মাঠকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে জানান!
মাঠকর্ম বা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের (Fieldwork) প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তব পরিস্থিতিতে প্রয়োগের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন। মাঠকর্ম সমাজকর্ম শিক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পেশাদার সমাজকর্মী হিসেবে গড়ে তোলে।
মাঠকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলোকে কয়েকটি প্রধান ভাগে আলোচনা করা হলো:
১. জ্ঞানের প্রয়োগ ও সমন্বয় (Application and Integration of Knowledge)
- তত্ত্ব ও অনুশীলনের সমন্বয়: শ্রেণিকক্ষে অর্জিত সমাজকর্মের নীতি, মূল্যবোধ, জ্ঞান, দক্ষতা ও কৌশলগুলোকে কোনো সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানে বা বাস্তব জীবন পরিস্থিতিতে বাস্তবে প্রয়োগ ও অনুশীলন করার সুযোগ সৃষ্টি করা।
- বাস্তব জ্ঞান অর্জন: মানুষ, সমাজ ও সামাজিক সমস্যাগুলোর সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ও বাস্তব জ্ঞান লাভ করা।
২. পেশাগত দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন (Acquisition of Professional Skills and Competencies)
- পেশাগত দক্ষতা সৃষ্টি: সমাজকর্মের বিভিন্ন পদ্ধতি (যেমন: সমাজকর্ম, দলগত সমাজকর্ম, সমষ্টি উন্নয়ন) ব্যবহার করে সমস্যা সমাধান এবং বিভিন্ন স্তরে (ব্যক্তি, দল ও সমষ্টি) হস্তক্ষেপের কৌশল ও দক্ষতা অর্জন করা।
- আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি: নিজের ব্যক্তিগত মূল্যবোধ, বিশ্বাস, পক্ষপাত এবং দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সেগুলোর সাথে পেশাদার সমাজকর্মের মূল্যবোধ ও নীতিমালার সামঞ্জস্য তৈরি করা।
- সম্পর্ক উন্নয়ন: সেবাগ্রহীতা, সহকর্মী এবং তত্ত্বাবধায়কের সাথে কার্যকর সম্পর্ক স্থাপন ও পরিচালনার দক্ষতা তৈরি করা।
- সম্পূর্ণতা অর্জন: সমাজকর্মের জ্ঞানকে সম্পূর্ণতা দান করা।
৩. পেশাগত মূল্যবোধ ও মানসিকতার বিকাশ (Development of Professional Values and Mindset)
- পেশাগত মূল্যবোধে বিশ্বাস: সমাজকর্মের নৈতিকতা, মূল্যবোধ (যেমন: সততা, আত্ম-মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার) ও পেশাগত আচরণবিধি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা এবং সেগুলোর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া।
- দায়িত্ব ও সচেতনতা: সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সামাজিক সেবায় মননশীলতা তৈরি করা।
- আত্ম-মূল্যায়ন: ক্রমাগত পেশাগত চিন্তনশীলতা ও আত্ম-মূল্যায়নের অভ্যাস গড়ে তোলা, যা তাদের চলমান বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করবে।
৪. প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক জ্ঞান লাভ (Acquisition of Institutional and Social Knowledge)
- সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান পরিচিতি: যে প্রতিষ্ঠানে মাঠকর্ম করা হচ্ছে তার উদ্দেশ্য, কার্যাবলী, কার্যক্রম এবং সম্প্রদায়ে তার ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা।
- সমস্যা বোঝা: সমাজে বিদ্যমান অসমতা, অন্যায়, এবং সুযোগ-সুবিধার অভাবের মতো সামাজিক সমস্যাগুলোর কারণ ও প্রভাব সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি তৈরি করা।
- তত্ত্বাবধান ব্যবহার: তত্ত্বাবধায়কের (Supervisor) নির্দেশনা ও পরামর্শকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জন করা, যা ভবিষ্যতের পেশাগত জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মাঠকর্ম (Fieldwork) হলো একটি গবেষণা পদ্ধতি যেখানে গবেষক প্রকৃত প্রাকৃতিক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক পরিবেশে গিয়ে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণ করেন। এটি সামাজিক বিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, ভূগোল, পরিবেশ বিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্বসহ বিভিন্ন শাস্ত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মাঠকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো নিম্নরূপ:
মাঠকর্মের লক্ষ্য (Goals of Fieldwork)
মাঠকর্মের মূল লক্ষ্যগুলো ব্যাপক ও মৌলিক। এগুলো হলো:
১. বাস্তবতা অনুধাবন: গবেষণার বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত বাস্তব অবস্থা, প্রক্রিয়া ও প্রেক্ষাপট সরাসরি অনুধাবন করা। গবেষণাগার বা গ্রন্থাগারের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে প্রকৃত পরিবেশে ঘটমান বিষয়বস্তুকে জানা।
২. প্রাথমিক তথ্যের উৎস হিসেবে কাজ করা: গবেষণার জন্য নির্ভরযোগ্য, প্রাথমিক ও মূল তথ্য (Primary Data) সংগ্রহ করা, যা তত্ত্ব গঠন বা পরীক্ষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
৩. গুণগত অন্তর্দৃষ্টি অর্জন: পরিসংখ্যান বা সংখ্যাভিত্তিক তথ্যের বাইরে গিয়ে মানুষের আচরণ, বিশ্বাস, মূল্যবোধ, সম্পর্ক ও সামাজিক গতিশীলতা সম্পর্কে গভীর ও সমৃদ্ধ অন্তর্দৃষ্টি (In-depth understanding) লাভ করা।
৪. সংশ্লিষ্টতার নিশ্চয়তা দেয়া: গবেষণার ফলাফল যাতে বাস্তব জীবনের সাথে প্রাসঙ্গিক ও সঙ্গতিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করা।
মাঠকর্মের উদ্দেশ্য (Objectives of Fieldwork)
লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য মাঠকর্মের কিছু সুনির্দিষ্ট ও কার্যকরী উদ্দেশ্য থাকে:
১. সরাসরি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ: গবেষক নিজে চোখে দেখে, কানে শুনে এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তথ্য রেকর্ড করেন। এটি গবেষণাকে বস্তুনিষ্ঠতা ও জীবন্ত রূপ দান করে।
২. সাক্ষাৎকার গ্রহণ: গবেষণার সাথে জড়িত ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা বিশেষজ্ঞদের সাথে অনুষ্ঠিত গঠনমূলক বা অগঠনমূলক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে গুণগত তথ্য সংগ্রহ।
৩. প্রশ্নাবলী/জরিপ কাজে নিয়োগ: একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠী থেকে পরিমাণগত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নাবলী বা জরিপ পদ্ধতি ব্যবহার করা।
৪. স্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা (Emic Perspective): কোনো সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদের বিশ্ব ও অভিজ্ঞতাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করে, সেই অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে চেষ্টা করা। এটি একটি সংস্কৃতিকে তার নিজের মাপকাঠিতে বোঝার চেষ্টা।
৫. তত্ত্বের সত্যতা যাচাই বা উন্নয়ন: বিদ্যমান কোনো তত্ত্ব বা ধারণা প্রাকৃতিক পরিবেশে কতটা সত্য, তা যাচাই করা অথবা নতুন তত্ত্ব গঠনের জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা।
৬. সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান প্রস্তাবনা: কোনো নির্দিষ্ট এলাকা বা সম্প্রদায়ের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার ভিত্তিতে নীতি প্রণয়ন বা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের জন্য সুপারিশ প্রস্তুত করা।
৭. দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তন অধ্যয়ন: কোনো স্থান বা সম্প্রদায়ের ওপর সময়ের সাথে কীভাবে পরিবর্তন ঘটছে, তা ট্র্যাক করা। এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া বোঝার সুযোগ দেয়।
সারসংক্ষেপ
সহজ ভাষায়, মাঠকর্মের লক্ষ্য হলো বাস্তব জগতকে গভীরভাবে বোঝা এবং নির্ভরযোগ্য প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তি তৈরি করা। অন্যদিকে, এর উদ্দেশ্য হলো সরাসরি পর্যবেক্ষণ, সাক্ষাৎকার, জরিপ ইত্যাদি সুনির্দিষ্ট কৌশলের মাধ্যমে সেই লক্ষ্যগুলো বাস্তবে রূপদান করা। এটি গবেষণাকে তাত্ত্বিক জগত থেকে বের করে এনে বাস্তবতার সাথে সংযুক্ত করে, ফলে প্রাপ্ত জ্ঞান হয় বেশি অর্থবহ ও প্রয়োগযোগ্য।
অপরাধ ও বিচ্যতি উভয়ই সামাজিক নিয়ম লঙ্ঘনের সাথে সম্পর্কিত, কিন্তু তাদের মধ্যে সূক্ষ্ম কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। নিচে তাদের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হলো:
অপরাধ (Crime)
সংজ্ঞা:
অপরাধ হলো এমন一种 কাজ বা আচরণ যা রাষ্ট্র দ্বারা প্রণীত দণ্ডবিধি বা আইন দ্বারা নিষিদ্ধ এবং যার জন্য আইনত নির্দিষ্ট শাস্তির বিধান রয়েছে।
বৈশিষ্ট্য:
- আইনগত ভিত্তি: রাষ্ট্রীয় আইন দ্বারা সংজ্ঞায়িত
- আইনী প্রক্রিয়া: বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে মামলা পরিচালিত হয়
- শাস্তির বিধান: নির্দিষ্ট আইনী শাস্তি রয়েছে
- রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা: রাষ্ট্র কর্তৃক শাস্তি প্রদান করা হয়
- লিখিত রূপ: আইনগ্রন্থে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত
উদাহরণ:
- খুন, robbery, চুরি, জালিয়াতি, মাদক পাচার
বিচ্যুতি (Deviance)
সংজ্ঞা:
বিচ্যুতি হলো এমন আচরণ বা কাজ যা সামাজিকভাবে গৃহীত নিয়ম, মূল্যবোধ বা প্রত্যাশা লঙ্ঘন করে, কিন্তু যা necessarily আইনভঙ্গ নয়।
বৈশিষ্ট্য:
- সামাজিক ভিত্তি: সামাজিক নিয়ম ও মূল্যবোধ দ্বারা সংজ্ঞায়িত
- অনানুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ: সামাজিক প্রতিক্রিয়া মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত
- সাংস্কৃতিক আপেক্ষিকতা: সংস্কৃতি ও সময়ভেদে পরিবর্তনশীল
- শাস্তির ধরন: সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হওয়া, একঘরে হয়ে যাওয়া
উদাহরণ:
- অশ্লীল পোশাক পরা, উচুঁ সুরে কথা বলা, সামাজিক রীতিনীতি ভঙ্গ করা
মূল পার্থক্য
ভিত্তি | অপরাধ | বিচ্যুতি |
---|---|---|
সংজ্ঞার ভিত্তি | আইনগত | সামাজিক/সাংস্কৃতিক |
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা | formmal (আইনী) | Informal (সামাজিক) |
শাস্তির ধরন | আইনী শাস্তি (জরিমানা, কারাদণ্ড) | সামাজিক শাস্তি (হেয়প্রতিপন্নতা, বహিষ্কার) |
স্থায়িত্ব | অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল | পরিবর্তনশীল ও আপেক্ষিক |
সার্বজনীনতা | একটি রাষ্ট্রে প্রায় সার্বজনীন | উপসংস্কৃতি ও গোষ্ঠীভেদে ভিন্ন |
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
১. সম্পর্ক: সব অপরাধই বিচ্যুতি নয়, এবং সব বিচ্যুতিও অপরাধ নয়।
২. অতিক্রমণ: কিছু কাজ একইসাথে অপরাধ ও বিচ্যুতি উভয়ই হতে পারে (যেমন: খুন)।
৩. সাংস্কৃতিক আপেক্ষিকতা: একটি সমাজে যা বিচ্যুতি, অন্য সমাজে তা স্বাভাবিক আচরণ হতে পারে।
৪. কাল্পনিক সীমানা: সময়ের সাথে সাথে বিচ্যুতি অপরাধে বা অপরাধ বিচ্যুতিতে রূপান্তরিত হতে পারে।
এই পার্থক্যগুলো বুঝতে পারা সামাজিক নিয়ন্ত্রণ, আইন ও সমাজবিজ্ঞান বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।