সহজ ভাষায় সমাজ বলতে বোঝায় কিছু মানুষের একটি সংঘবদ্ধ জীবনযাপন পদ্ধতি, যেখানে তারা একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় বসবাস করে এবং নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, রীতিনীতি, মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবদ্ধ থাকে।
সমাজ শুধু কিছু মানুষের সমষ্টি নয়, বরং এটি একটি জটিল সামাজিক সম্পর্কজাল। এই সম্পর্কগুলো লিখিত বা অলিখিত নিয়ম, বিশ্বাস, আইন এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। মানুষ সামাজিকভাবে একে অপরের উপর নির্ভরশীল এবং একটি সাধারণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশীদার।
সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার ও পেজ এর মতে, “সমাজ হলো সামাজিক সম্পর্কের জাল যা দ্বারা আমরা জীবন যাপন করি।”
সমাজের প্রধান কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
- জনসংখ্যা: একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সমষ্টি।
- ভূখণ্ড: যে ভৌগোলিক অঞ্চলে সমাজ অবস্থিত।
- পারস্পরিক নির্ভরশীলতা: সমাজের সদস্যরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল।
- সহযোগিতা: সদস্যরা নিজেদের প্রয়োজনে একে অপরের সাথে সহযোগিতা করে।
- রীতিনীতি ও মূল্যবোধ: সমাজের নিজস্ব কিছু অলিখিত বা লিখিত রীতিনীতি ও মূল্যবোধ থাকে, যা সদস্যদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
- সাধারণ সংস্কৃতি: সমাজের সদস্যদের মধ্যে একটি সাধারণ সংস্কৃতি ও জীবনযাপন পদ্ধতি থাকে।
- স্থায়িত্ব: সমাজ সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে টিকে থাকে।
মূলত, মানুষ তার বিভিন্ন প্রয়োজন পূরণ, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং মানবিক গুণাবলীর বিকাশের জন্য সমাজে বসবাস করে। সমাজ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব বা অগ্রগতি কল্পনা করা কঠিন।