বৈদ্যুতিক পোলারাইজেশন ও বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের অনুপাতই হলো সাসেপটিবিলিটি।
সংবেদনশীলতা (Sensitivity) বা সাসেপটিবিলিটি (Susceptibility) হলো কোনো বস্তু বা মাধ্যমের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের প্রতি সাড়া দেওয়ার প্রবণতা। অন্য কথায়, বস্তুটি কতটা সহজেই বৈদ্যুতিকভাবে প্রভাবিত হয় তা নির্দেশ করে।
সংবেদনশীলতা কে সংজ্ঞায়িত করা হয় বৈদ্যুতিক পোলারাইজেশন (Electric Polarization) এবং বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের (Electric Field) অনুপাত হিসেবে।
গাণিতিকভাবে,
সংবেদনশীলতা (χ) = বৈদ্যুতিক পোলারাইজেশন (P) / বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র (E)
একক:
সংবেদনশীলতার একক হলো ফ্যারাড/মিটার (F/m)
ধরণ:
সংবেদনশীলতার বিভিন্ন ধরণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- বৈদ্যুতিক সংবেদনশীলতা: কোনো বস্তু কতটা সহজে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় তা নির্দেশ করে।
- চৌম্বকীয় সংবেদনশীলতা: কোনো বস্তু কতটা সহজে চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় তা নির্দেশ করে।
- আকস্টিক সংবেদনশীলতা: কোনো বস্তু কতটা সহজে শব্দ তরঙ্গ দ্বারা প্রভাবিত হয় তা নির্দেশ করে।
উদাহরণ:
- ধাতু: ধাতুগুলি অত্যন্ত সংবেদনশীল বৈদ্যুতিক পরিবাহী, যার অর্থ হল তারা বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে পারে।
- কাঠ: কাঠ একটি নিরোধক, যার অর্থ হল এটি বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে না। এটি কম সংবেদনশীল।
- মানুষের শরীর: মানুষের শরীর তড়িৎ সংবেদনশীল, যার অর্থ হল আমরা বিদ্যুৎ অনুভব করতে পারি।
সংবেদনশীলতার গুরুত্ব:
সংবেদনশীলতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার মধ্যে রয়েছে:
- ইলেকট্রনিক্স: ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে ব্যবহৃত উপকরণগুলির সংবেদনশীলতা তাদের কর্মক্ষমতা নির্ধারণ করে।
- চিকিৎসা: চিকিৎসা ইমেজিংয়ে, সংবেদনশীলতা ব্যবহার করে অঙ্গগুলির বিশদ চিত্র তৈরি করা হয়।
- পরিবেশ: পরিবেশ পর্যবেক্ষণে, সংবেদনশীল সেন্সরগুলি বায়ু এবং জলের গুণমান পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়।