উত্তর : ভূমিকা ও পল্লী উন্নয়ন বলতে পল্লী সাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধন করা বঝায়। এ ব্যবস্থায় পল্লী জনগোষ্ঠীর সার্বিক জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন নির্দেশ করে। সুতরাং যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পল্লীর জনগণের উৎপাদন, আয়, বন্টন, ভোগ, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতির গুণগত ও পরিমাণগত উন্নয়ন সাধিত হয় তাকে পল্লী উন্নয়ন বলে।
পল্লী উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নিম্মোক্ত বিষয়গুলো জড়িত:
১. পল্লীর অবকাঠামোর উন্নয়ন:
২. মানব সম্পদের উন্নয়ন।
৩. স্থানীয় সম্পদের ব্যবহার।
৪ . উৎপাদন কৌশলের পরিবর্তন;
৫ . সম্পদ আহরণ, পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
৬. গ্রামীন দারিদ্র্যতা দূরীকরণ।
৭. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন।
৮. আধুনিক উন্নত জীবনের বিকাশ সাধন।
সুতরাং পল্লী এলাকার অবকাঠামোর উন্নয়ন, মানব সম্পদ এর উন্নয়ন ও উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যান্ত্রিকরণের মাধ্যমে জনগণের আয় ও জীবন যাত্রার মান বাড়ানোর দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টাকে পল্লী উন্নয়ন বলা হয়।
উপসংহার: বাংলাদেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ মজবুত করতে হলে দেশে পল্লী এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বাংলাদেশের পল্লী অর্থনীতি বর্তমানে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে আবদ্ধ। যতদিন পর্যন্ত পল্লীর অর্থনীতি দারিদ্রোর দুষ্টচক্র ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে না আসতে পারবে ততদিন পর্যন্ত উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া রাজধানী ভিত্তিক সকল উন্নয়ন পরিকল্পনাই ব্যর্থ হতে বাধ্য।