অথবা,শ্রমের যোগানের নির্ধারকসমূহ কি কি?
উত্তর:সকল দেশেই শ্রমের যোগান মূলত তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
১.জনসংখ্যা
২.শ্রমের দক্ষতা
৩.কর্মক্ষম জনসংখ্যা
১. জনসংখ্যাঃ প্রমের যোগান দেশের জনসংখ্যার উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ যে দেশের জনসংখ্যা যত বেশি শ্রমের যোগান সেখানে তত অধিক হয়ে থাকে। আবার যে দেশের লোকসংখ্যা কম সেখানকার শ্রমের যোগানও ভুলনামূলকভাবে কম। যেমন- বাংলাদেশের লোকসংখ্যা সৌদি আরব হতে বেশি। তাই এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, বাংলাদেশের শ্রমের যোগান সৌদি আরবের শ্রমের যোগান হতে অনেক বেশি।
২. শ্রমের দক্ষতা: শ্রমের যোগান দক্ষতার উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। যে দেশের শ্রমের দক্ষতা যত বেশি সে দেশের শ্রমের যোগান তত বেশি হয়ে থাকে। আবার যে দেশে শ্রমের দক্ষতা কম সে দেশের শ্রমের যোগান কম হবে। তাই দুটি দেশের জনসংখ্যা সমান হলেও তাদের শ্রমের যোগান অসমান হবে যদি দুটি দেশের শ্রমের দক্ষতায় পার্থক্য থাকে।
৩. কর্মক্ষম জনসংখ্যাঃ শ্রমের যোগান শুধু মোট জনসংখ্যার উপর নির্ভর করে না। মোট জনসংখ্যার মধ্যে যদি শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি হয় তবে শ্রমের যোগান তুলনামূলকভাবে কম হবে। আবার শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা কম হলে শ্রমের যোগান বেশি হবে।