প্রশাসনিক জবাবদিহিতা হলো প্রশাসনের কর্মকাণ্ড, সিদ্ধান্ত এবং নীতির জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করার বাধ্যবাধকতা।
এটি একটি সুশাসনের মূলনীতি, যার অর্থ হলো ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণ এবং জবাবদিহিতার উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা।
প্রশাসনিক জবাবদিহিতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো:
- স্বচ্ছতা: প্রশাসনের সকল কর্মকাণ্ড, সিদ্ধান্ত এবং নীতি জনগণের কাছে উন্মুক্ত থাকা।
- অংশগ্রহণ: জনগণকে নীতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।
- জবাবদিহিতা: প্রশাসনের কর্মকাণ্ড, সিদ্ধান্ত এবং নীতির জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করা।
- আইনের শাসন: সকলের জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
- দুর্নীতি দূরীকরণ: প্রশাসন থেকে দুর্নীতি দূরীকরণ করা।
প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যেমন:
- তথ্য অধিকার আইন: জনগণকে সরকারি তথ্যের অ্যাক্সেস প্রদান করা।
- সুশাসন কমিশন: সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মধ্যে প্রশাসনিক জবাবদিহিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
- গণমাধ্যমের ভূমিকা: গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রশাসনের কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখা।
প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, যা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের জন্য অপরিহার্য।