অথবা, অলিগোপলি ও ডুয়োপলি বাজারের মধ্যে বৈসাদৃশ্যগুলো তুলে ধর।
উত্তর: প্রারম্ভিক কথা: ভুয়োপলি এবং অলিগোপলি বাজারে মধ্যে কিছু পার্থক্যগুলো পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হল:
১. বিক্রেতার সংখ্যাঃ ডুয়োপলিতে বিক্রেতার সংখ্যা মাত্র দুজন কিন্তু অলিগোপলিতে বিক্রেতার সংখ্যা দুই বা ততোধিক তবে অনেক নয়। অর্থাৎ অলিগোপলি মুষ্টিমেয় বিক্রেতার বাজার।
২. দ্রব্যের প্রকৃতি: ভুয়োপলিতে দ্রব্য সমজাতীয় হয়। কিন্তু অলিগোপলিতে দ্রব্য যখন সমজাতীয় হয় তখন তাকে বিশুদ্ধ অলিগোপলি বলে এবং দ্রব্য যখন ঘনিষ্ট বিকল্প হয় তখন তাকে পৃথকীকৃত অলিগোপলি বলে।
৩. চাহিদা রেখার ধরণ: ডুয়োপলিতে বাজার চাহিদা সম্পর্কে উভয় উৎপাদক সম্পূর্ণ সচেতন। তাই চাহিদা রেখার আকৃতি ও অবস্থান সম্পর্কে বিক্রেতা অনির্ধারিত। অন্যদিকে অলিগোপলি বাজারে ফার্মের চাহিদা রেখা অনির্ধারিত থাকে। কারণ সেই বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বি ফার্মগুলোর প্রতিক্রিয়া আগে থেকে জানার উপায় নেই।
৪. বিজ্ঞাপন: অলিগোগলিতে বিত্রনয় বাড়ানোর জন্য ফার্ম দ্রব্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা ধার্য করে এবং অন্য ফার্মগুলো তাকে অনুসরণ করে।করে। কিন্তু ডুয়োপলিতে বিজ্ঞাপন তেমনটা কার্যকর নয়।
৫. দাম নেতৃত্বঃ অলিগোপলি বাজারে নেতা ফার্ম একটি দাম অপরদিকে, ডুয়োপলিতে দাম নেতৃত্ব পদ্ধতি তেমন মানা হয় না।
৬. কার্টেল গঠন: অলিগোপলি বাজারে চুক্তিবদ্ধ ফার্মগুলো স্বাধীন আচরণের পরিবর্তে অনেক সময় গোষ্ঠীগত আচরণ করে। তবে ফার্মগুলো একে অপরকে ধোকা দেবার প্রবণতা থাকে, বিধায় অনেক সময় চুক্তি টেকে না। কিন্তু ডুয়োপলিতে কার্টেল গঠিত হয় না।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, অলিগোপলি এবং ডুয়োপলি একই ধরনের বাজার ব্যবস্থা হলেও এদের মধ্যে মূলত এই পার্থক্যগুলো পরিলক্ষিত হয়।