অথবা, কার্টেলের নেতিবাচকগুলো আলোচনা কর।
উত্তর: অলিগোপলি বাজারে ফার্মগুলো কার্টেলের অধীনে বিভিন্ন সংস্থা। যেমন- বাণিজ্য সংস্থা, উন্নয়ন সংস্থা বা অন্যান্য সংস্থার অধীনে কোন বিশেষ দ্রব্য উৎপাদন করে। এক্ষেত্রে কার্টেলের কিছু অসুবিধা উল্লেখ করা হল।
অসুবিধাসমূহঃ কার্টেনের অসুবিধাসমূহ নিম্নরূপ-
১. অস্থায়ী জোটঃ কাটেলের অন্তর্ভুক্ত সদস্য প্রতিষ্ঠান যে কোন সময় জোট ছেড়ে চলে যেতে পারে। এর ফঙ্গে জোট ভেঙ্গে যেতে পারে। তাই তার স্থায়িত্ব অনিশ্চিত।
২. সামাজিক অকল্যাণ: কার্টেল উৎপাদন কমিয়ে দাম বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে পারে। তাছাড়া এটি আর্থিক ক্ষমতার বলে সরকারের উপর চাপ দিয়ে নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে আইন প্রণয়ন করতে পারে।
৩. ব্যয় সংকোচন: কার্টেলের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি সদস্য প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে উৎপাদন কার্য পরিচালনা করে। তাই আয়তন জনিত ব্যয় সংকোচের সুবিধা লাভ করতে পারে না।
৪. যোগান নিয়ন্ত্রণ অসম্ভবঃ কার্টেল যেহেতু স্বেচ্ছামূলক শিল্প প্রতিষ্ঠানের জোট সেহেতু সেখানে দ্রব্যের যোগান নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। ৫. সরকারি হস্তক্ষেপ: কার্টেল স্বেচ্ছাচারী জোটে পরিণত হলে সরকারি হস্তক্ষেপে তার পরিসমাপ্তি যে কোন সময় ঘটতে পারে।