বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে শুরু হয়ে পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, এর কারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল। মুক্তিযুদ্ধের কারণগুলো হলো:
- ভাষা আন্দোলন (১৯৫২): বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ করা হয়েছিল তার পথে একটি আন্দোলন হয়েছিল ১৯৫২ সালে। ভাষা আন্দোলনের পরিণামে ১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষা একটি সম্পূর্ণ জনগণের জন্য রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মান্যতা পেয়েছিল।
- চট্টগ্রাম শহরের ভাষা আন্দোলন (১৯৬০): ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম শহরে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বাঙালি জনগণের অধিকার ও সুরক্ষা বিষয়ক কৌশল তৈরি হয়।
- শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ (১৯৬৯-১৯৭১): ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এক স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা প্রতিরোধ করতে থাকতে দাঁড়ায়।
- ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে মোট সংসদে ১৬৬ আসন জয়লাভ করে, সংসদের অধিকাংশ জয় লাভ করতে একমাত্র দক্ষিণ পাকিস্তানে ছিল তাদের।
- মার্চ ৭, ১৯৭১: পাকিস্তান সরকার তাদের সংবিধান রদ করে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে একটি নতুন সংবিধান ঘোষণা করে, যা বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন প্রাপ্ত করেনি।
- অপারেশন সার্চলাইট (২৬ মার্চ, ১৯৭১): পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশে হামলা চালানোর জন্য ২৬ মার্চ, ১৯৭১ তাদের সম্প্রচারণ করে। এই হামলার শুরুতেই বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ন্য
ূনতম আত্মবিশ্বাস উত্তরণ হয়।
- মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ (২৬ মার্চ – ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১): প্রথমে প্রথম এপ্রিল ১৯৭১ তে বাংলাদেশ স্বাধীনতা প্রাপ্ত করে, সেনাবাহিনী প্রতিরোধের জন্য মুক্তিবাহিনী গঠন করে।
- বাংলাদেশের মুক্তি (১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১): সংঘর্ষের পরিস্থিতি প্রবল হয়ে উঠে এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হারিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
এই ভিন্ন কারণগুলি মিলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সারা দেশে একটি অদ্ভুত স্বাধীনতা অর্জন করে তোলেন, এবং এটি একটি ঐতিহাসিক অধ্যায় হিসেবে মনে থাকা হয়।