অথবা, অভ্যন্তরীণ ব্যয় সংকোচনের নিয়ামকগুলো তুলে ধর।
উত্তর: বিভিন্ন কারণে অভ্যন্তরীণ ব্যয় সংকোচন ঘটে থাকে। নিম্নে তা আলোচনা করা হলঃ
১. ব্যবস্থাপনার ব্যয় সংকোচন: ফার্মের আয়তন বড় হলে ব্যবস্থাপনার ও সুবিধা হয়। যে পরিমানে ফার্মের অয়তন বৃদ্ধি পায় সে পরিমাণে তার কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর দরকার হয় না। ফলে একই পরিমাণ কর্মীর সাহায্যে বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান চালান যায়। এতে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পায়।
২. শ্রমের ব্যয় সংকোচনঃ বৃহৎ ফার্মগুলোতে একসাথে বহু শ্রমিক কাজ করে বলে শ্রম বিভাগ প্রবর্তন করা সম্ভবপর হয়। শ্রম বিভাগের ফলে শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং তাদের বিশেষ নৈপুণ্যের বিকাশ ঘটানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে শ্রমিকের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দ্রব্যের একক প্রতি উৎপাদন খরচ হ্রাস পায়।
৩. কারিগরি ব্যয় সংকোচন: বৃহৎ ফার্ম পর্যাপ্ত মূলধনের সাহায্যে উৎপাদন ব্যবস্থায় সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত কারিগরি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে। এতে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পায়।
৪. বাণিজ্যিক ব্যয় সংকোচনঃ বৃহৎ প্রতিষ্ঠান এক সাথে অধিক কাঁচামাল ক্রয় করে বলে তারা সন্তায় ক্রয় করতে পারে। তদরূপ, দ্রব্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও এরা কতগুলো সুবিধা ভোগ করে। কারণ তারা একসাথে প্রচুর দ্রব্য বিক্রি করে বলে তাদের বিক্রয় খরচ কম পড়ে।
৫. আর্থিক ব্যয় সংকোচনঃ বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও মুনাফা বেশি বলে তারা সহজ শর্তে ঋণ পায় এবং অনায়াসে ডিবেঞ্চার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে।
৬. ঝুঁকি সংকোচ: বৃহৎ ফার্মের ব্যবসায়িক ঝুঁকির পরিমাণও কম। এ সমস্ত ফার্ম বিভিন্ন উৎস থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন বাজারে উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রি করে।
৭. উপজাত দ্রব্য ব্যবহার জনিত সংকোচনঃ বৃহৎ ফার্মগুলো তাদের উপজাত দ্রব্য ব্যবহার করে নতুন দ্রব্য উৎপাদন করতে পারে। এতে অতিরিক্ত আয় হয় এবং দ্রব্যটির উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পায়।
৮. গবেষণার সুবিধাঃ বৃহৎ ফার্মের পক্ষে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করা সম্ভবপর হয়। এতে নবতর ও উন্নত উৎপাদন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়।