আয়ের পরিবর্তনের ফলে চাহিদার পরিবর্তন হয় কারণ ভোক্তারা তাদের আয়ের উপর ভিত্তি করে তাদের চাহিদা নির্ধারণ করে। আয় বৃদ্ধি পেলে, ভোক্তারা তাদের পছন্দসই পণ্য এবং পরিষেবার জন্য আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে সক্ষম হয়। এর ফলে এসব পণ্য এবং পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন একজন ব্যক্তির মাসিক আয় ১০,০০০ টাকা। তিনি প্রতি মাসে ৫০০ টাকার খাবার কিনেন। এখন যদি তার মাসিক আয় বৃদ্ধি পেয়ে ২০,০০০ টাকা হয়, তাহলে তিনি প্রতি মাসে ৭৫০ টাকার খাবার কিনতে পারবেন। এর মানে হল যে, আয় বৃদ্ধির ফলে তার খাবারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে, আয় হ্রাস পেলে, ভোক্তারা তাদের পছন্দসই পণ্য এবং পরিষেবার জন্য কম অর্থ ব্যয় করতে সক্ষম হয়। এর ফলে এসব পণ্য এবং পরিষেবার চাহিদা হ্রাস পায়।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন একজন ব্যক্তির মাসিক আয় ১০,০০০ টাকা। তিনি প্রতি মাসে ৫০০ টাকার খাবার কিনেন। এখন যদি তার মাসিক আয় হ্রাস পেয়ে ৫,০০০ টাকা হয়, তাহলে তিনি প্রতি মাসে ২৫০ টাকার খাবার কিনতে পারবেন। এর মানে হল যে, আয় হ্রাসের ফলে তার খাবারের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে।
চাহিদার আয়-স্থিতিস্থাপকতা বলতে একটি পণ্যের চাহিদার পরিবর্তনের হারকে তার ভোক্তার আয়ের পরিবর্তনের হারের সাথে তুলনা করে পরিমাপ করা হয়। আয়-স্থিতিস্থাপকতা ধনাত্মক হলে, আয় বৃদ্ধির ফলে চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং আয় হ্রাসের ফলে চাহিদা হ্রাস পায়। আয়-স্থিতিস্থাপকতা ঋণাত্মক হলে, আয় বৃদ্ধির ফলে চাহিদা হ্রাস পায় এবং আয় হ্রাসের ফলে চাহিদা বৃদ্ধি পায়। আয়-স্থিতিস্থাপকতা শূন্য হলে, আয়ের পরিবর্তনের ফলে চাহিদার কোন পরিবর্তন হয় না।
সাধারণত, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা আয়-স্থিতিস্থাপক হয় না। এর কারণ হল, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলির চাহিদা ভোক্তাদের আয়ের উপর খুব বেশি নির্ভর করে না। অন্যদিকে, বিলাসজাত পণ্যের চাহিদা আয়-স্থিতিস্থাপক হয়। এর কারণ হল, বিলাসজাত পণ্যগুলির চাহিদা ভোক্তাদের আয়ের উপর বেশি নির্ভর করে।
আয়ের পরিবর্তনের ফলে চাহিদার পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়। এটি পণ্যের বাজার মূল্য এবং ভোক্তার আচরণকে প্রভাবিত করে।