মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিত:
- পরিকল্পনা (Planning): মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপটি হলো ঠিকমতো এবং পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা করা। এটি উদ্দীপনা, লক্ষ্য, ও কার্যপ্রণালীর নির্ধারণের সাথে জড়িত।
- উদ্দীপনা (Vision): মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার উদ্দীপনা হলো কোথায় এবং কেমন দিকে যাওয়ার কথা এবং কেমন সম্পদ প্রাপ্ত করতে হবে তা নির্ধারণ করা।
- উদ্দীপনা অনুযায়ী লক্ষ্য (Goal Setting): পরিকল্পনার উদ্দীপনা অনুযায়ী কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে তা নির্ধারণ করা হয়। এই লক্ষ্যগুলি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
- কার্যপ্রণালী (Systematic Approach): মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়মিত ও প্রণালীমুক্ত একটি পদ্ধতি থাকতে হবে। এটি ভাল পরিকল্পিত ও সৃজনশীল পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সহায় করে।
- সমৃদ্ধি (Efficiency): মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার একটি মৌলিক লক্ষ্য হলো সম্পদের প্রভাবশালী এবং কার্যকরিতা বাড়ানো।
- সুস্থ অর্থনীতি (Financial Health): মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা করার সময় অর্থনৈতিক সুস্থতা মোতাবেক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। উচিত অর্থনৈতিক পরিচয় এবং ব্যায় ব্যবস্থাপনা এই সম্পত্তির ভবিষ্যত্ নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
- ব্যক্তিগত এবং সামাজিক বিকাশ (Personal and Social Development): মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা একটি ব্যক্তিগত এবং সামাজিক দিকেও মনোনিবেশ করে। এটি ব্যক্তিগত এবং সামাজিক দিকে সৃজনশীল ও উন্নত ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে সাহায্য করে।
এই বৈশিষ্ট্যগুলি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার সার্থক ও কার্যকরিতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে এবং এটি একটি সুস্থ, সুসংগঠিত, এবং উন্নত সম্পদ ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করার জন্য প্রয়োজন।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ:
- ব্যবস্থাপনাগত প্রক্রিয়া: মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা একটি ব্যবস্থাপনাগত প্রক্রিয়া। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কর্মীদের কার্যকর ও দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করে।
- সাংগঠনিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যমুখী: মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পরিচালিত হয়। এটি প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলিকে কর্মীদের সাথে সংযুক্ত করে এবং কর্মীদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।
- কর্মী-কেন্দ্রিক: মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কর্মী-কেন্দ্রিক। এটি কর্মীদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধি, কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কর্মীদের মধ্যে সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা বজায় রাখা, কর্মীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য ও নিষ্ঠা বৃদ্ধি, কর্মীদের মধ্যে দলগত কাজের মনোভাব গড়ে তোলা ইত্যাদির মাধ্যমে কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়।
- মানবিক সম্পদ হিসাবে কর্মী বিবেচনা: মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কর্মীদেরকে মানবিক সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করে। এটি কর্মীদেরকে প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হিসাবে মনে করে এবং কর্মীদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
- পরিবর্তনশীল প্রকৃতি: মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রকৃতি পরিবর্তনশীল। প্রতিষ্ঠানের পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রকৃতিও পরিবর্তিত হয়।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাপনা কৌশল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।