মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা হলো একটি পূর্বনির্ধারিত পদক্ষেপের পরিকল্পনা যাতে মানুষের সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়। এটি একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া যেখানে ব্যক্তি, সমাজ, বা সংস্থা মানব সম্পদ বা সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা করে থাকে।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য হলো সঠিক পথে মানব সম্পদ বা সম্পত্তি বৃদ্ধি করা, অনুপযোগী ব্যয় হ্রাস করা, সুস্থ অর্থনীতি বা ফিন্যান্স বৃদ্ধি করা, এবং মানব সম্পদের সৃষ্টি ও বিকাশ করা। এটি একটি প্রশাসনিক ও যোগাযোগমূলক প্রক্রিয়া হতে পারে যা ব্যক্তিগত, সামাজিক, বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হতে পারে।
একটি প্রতিষ্ঠানে মানব সম্পদ অর্জনের, রাখার, বহিষ্কার করার, উন্নত করার এবং যথাযথভাবে ব্যবহার করার প্রক্রিয়াকে Human Resource Management বা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলা হয়।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা (Human Resource Management) হলো একটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ওপর আলোকপাত করে। এটি একটি অধ্যয়নের বিষয় ও ব্যবস্থাপনা কৌশল।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মূল লক্ষ্য হলো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কর্মীদের কার্যকর ও দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিম্নলিখিত কার্যাবলী সম্পাদন করে:
- কর্মী সংগ্রহ: প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দক্ষ ও যোগ্য কর্মী নির্বাচন ও নিয়োগ করা।
- কর্মী উন্নয়ন: কর্মীদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
- কর্মী মূল্যায়ন: কর্মীদের কর্মক্ষমতা ও অবদান মূল্যায়ন করা।
- কর্মী বেতন ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান: কর্মীদের আর্থিক ও সামাজিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।
- কর্মী সম্পর্ক: কর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে তার কর্মীদের উপর। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কর্মীদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধি করে তাদেরকে আরও কার্যকর ও দক্ষ করে তোলে। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন সহজ হয়।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব নিম্নরূপ:
- কর্মীদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধি করে।
- কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
- কর্মীদের মধ্যে সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা বজায় রাখে।
- কর্মীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য ও নিষ্ঠা বৃদ্ধি করে।
- কর্মীদের মধ্যে দলগত কাজের মনোভাব গড়ে তোলে।
- প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়তা করে।
এই ব্যবস্থাপনা মানব সম্পদের সাথে জড়িত বিভিন্ন দিকের মধ্যে সমন্বয় করতে সহায়ক হতে পারে, যেমন আর্থিক, সামাজিক, পরিবার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ও সৎ-পরিবর্তন ইত্যাদি।