বসু-সোহরাওয়ার্দী চুক্তি একটি ইতিহাসমূলক চুক্তি যা ১৬ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর পাকিস্তান সেনা ভদ্র অস্ত্রবাহিনী থেকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সহযোগিতা ও সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে বসু-সোহরাওয়ার্দী চুক্তি হোক সেই দুই দেশের মধ্যে হোকারবৃত্তির মধ্যে একটি ইতিহাসী চুক্তি।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের একাধিক অহংকার, স্বাধীনতা ও সামাজিক অধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে পোষ্য হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী বাংলাদেশী বাহিনী মধ্যে সংঘর্ষ একবিক্ষন ও শোকাহত ছিল। সংঘটিত সংঘর্ষ এবং জনগণের সমর্থন প্রদানের পর, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচালনায় স্বাধীনতা সংগ্রাম চলতে থাকলেও তাদের একটি মৌখিক সম্মতি প্রাপ্ত হয়নি।
তারপর বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠানও তৈরি হয়নি এবং আবেগ বা আশাবাদের চেয়ে শত্রুতার সম্ভাবনা বেশি ছিল। তবে, তখন তাদের সহযোগিতা প্রদান করার জন্য ভারত ও মুক্তিযোদ্ধারা তৈরি হয়েছিল বিশেষ সেনাবাহিনী বসু-সোহরাওয়ার্দী চুক্তি হোক একটি ইতিহাসমূলক চুক্তি।
বসু-সোহরাওয়ার্দী চুক্তির মাধ্যমে, ভারতের মহানির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে এই চুক্তি হোক একটি প্রতিবদ্ধ সম্ঝোতা। এই চুক্তিতে প্রদত্ত শরণার্থীদের জন্য ভারত কর্তৃপক্ষ এবং পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী দুইটি বিশেষ পাসপোর্ট করার অনুমতি প্রদান করে। এছাড়াও, ভারত পাকিস্তানের প
্রতি যেসব সামরিক সাহায্য প্রদান করতে সক্ষম হতে হোক তা নির্ধারণ করে এই চুক্তি। এছাড়াও, এই চুক্তি পাকিস্তান সেনার বাংলাদেশ ছাড়াই অন্যত্র বা দেশে প্রবেশ করতে যেতে এবং বিশেষ পাসপোর্ট অপাতকালীন সময়ের জন্য ভারতে থাকতে সক্ষম হতে দেয়।
এই চুক্তি ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পর শোকাহত এবং মানুষের জীবন ও সৃষ্টিতে একটি অবদানের চেষ্টা হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
বসু-সোহরাওয়ার্দী চুক্তি ছিল ভারত বিভাগের পূর্বে বাংলা প্রদেশের অখণ্ডতা রক্ষার লক্ষ্যে শরৎচন্দ্র বসু এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি। চুক্তিটি ১৯৪৬ সালের ২৬ জুলাই কলকাতায় স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তির মূল বিষয়বস্তু ছিল:
- বাংলা প্রদেশের অখণ্ডতা রক্ষা করা।
- বাংলা প্রদেশে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
- বাংলা প্রদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে হিন্দু এবং মুসলমানদের জন্য সরকারী চাকরির পদ বণ্টন করা।
- বাংলা প্রদেশে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করা।
চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর, বাংলা প্রদেশের হিন্দু এবং মুসলমান নেতাদের মধ্যে একটি সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি হয়। চুক্তির আশা ছিল, এটি ভারত বিভাগকে রোধ করতে পারবে।
তবে, চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। মুসলিম লীগের নেতা জিন্নাহ চুক্তিটিকে মেনে নিতে রাজি হননি। তিনি ভারত বিভাজনের দাবিতে অটল ছিলেন।
চুক্তিটি ব্যর্থ হওয়ার পর, ভারত বিভাগ ঘটে এবং বাংলা প্রদেশ পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিমবঙ্গে বিভক্ত হয়।
বসু-সোহরাওয়ার্দী চুক্তিটি বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। চুক্তিটি বাংলার অখণ্ডতা রক্ষার একটি প্রচেষ্টা ছিল। তবে, চুক্তিটি ব্যর্থ হওয়ার পর, বাংলার ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।