সক্রেটিস গ্রীক দার্শনিক ছিলেন যার জীবনকাল 470 থেকে 399 খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ছিল। তার দর্শন মূলত মৌখিক আলোচনা পদ্ধতিতে অবলম্বন করে। সক্রেটিস নিজে কখনও কোনও গ্রন্থ লিখননি, তবে তার শিক্ষাওপদেষ্টৃতা তার শিষ্য প্লাটো দ্বারা লেখা ‘আপলোজি’ এবং ‘সম্ভাষণ’ নামক গ্রন্থের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়েছে।
সক্রেটিসের দর্শন সাধারণভাবে পূর্ববর্তী গ্রীক দার্শনিকদের মধ্যে অদ্ভুত ছিল, কারণ তিনি নিজে কখনও কোনও দর্শনিক সিদ্ধান্ত প্রকাশ করননি। প্রতিষ্ঠানতঃ তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিতেননি, বরং তার মুখ দ্বারা অসংখ্য প্রশ্নের প্রতি প্রতি আস্থা করা হত। সক্রেটিসের এই পদ্ধতি প্রস্তুতকারী প্রণালীটি প্রথম হয়েছিল সক্রেটিসের শিক্ষার্থী প্লাটোর কাছে, এবং তারপর প্লাটোর শিক্ষার্থী অরিস্টটেলের কাছে বাড়তি পরিমাণে পরিচিত হয়েছিল।
সক্রেটিসের দর্শনের একটি মৌলিক অংশ ছিল তার ‘মায়েউতিক’ বা ‘আত্মা-প্রকাশন’। সক্রেটিস মনে করতেন যে, মানুষের মধ্যে অজ্ঞানতা হলেও মানুষ সঠিক জ্ঞানে পৌঁছাতে পারবে এবং এটি তার সত্য স্বরূপে থাকতে সাহায্য করতে পারবে। সক্রেটিস স্থিরভাবে বিভিন্ন বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতেন, তবে সে তার মন্তব্য বা মতামত ব্যক্ত করতে না, বরং অক্ষমভাবে অপুচ্ছিত হতেন।
সক্রেটিসের দর্শন সংক্ষেপে বলতে হয়, তিনি মূলত যুক্তিবাদী ছিলেন এবং জীবনকে একটি অবিশেষ সূচির মাধ্যমে শেখানোর মাধ্যমে ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তিনি বলতেন, “আমি একটি একক মূল্যায়নের মাধ্যমে বা একটি একক সাধারণ ধারণার মাধ্যমে শেখাই না, বরং আমি