অথবা,প্রথা বলতে কী বুঝ?
অথবা, প্রথা কাকে বলে।
উত্তরঃ ভূমিকা: প্রথা ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কেননা প্রথা হলো ব্রিটিশ সংবিধানের অন্যতম প্রধান উৎস। প্রথা কোন আইন নয়। এগুলোর পিছনে আইনের সমর্থন নেই আবার এগুলো আদালত গ্রাহ্যও নয়। প্রথার উপরই ইংরেজ জাতির শাসনব্যবস্থা আবর্তিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়। ব্রিটেনের অলিখিত সংবিধানের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে প্রথাগুলো ছড়িয়ে আছে। প্রথা: প্রথা বলতে শাসনব্যবস্থা সম্পর্কিত এমন সব নিয়মপদ্ধতিকে বুঝায় যা পারস্পরিক বুঝাপড়া ও চুক্তির মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে এবং যা শাসনকার্যে ব্যবহৃত সকল স্তরের জনগণ বাধ্যতামূলকভাবে মেনে নিয়েছে।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা: নিম্নে প্রথার কয়েকটি প্রামাণ্য সংজ্ঞা উপস্থাপন করা হলো:
Prof Ogg এর মতে, “Conventions consist of understanding, practices and habits which alone regulate a large portion of the actual relations and operations of the public authorities”
According to wade and phillips, “Conventions are a mixture of Rules based on custom and expediency, but sometimes their source is express agreement.”
A. V. Dicey বলেছেন, “রাজশক্তির স্ববিবেচনামূলক ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতি নির্ধারণকারী বিধিসমূহই হলো প্রথা।”
মার্শাল এবং মুডির মতে, “প্রথা হলো সংবিধান সম্পর্কিত কতগুলো রীতিনীতি, যা সংবিধানের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক বাক্তিই মেনে চলতে বাধ্য: কিন্তু যা আদালতে বলবৎযোগ্য নয়, যদিও আদালত এগুলোকে স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে।” অতএব প্রথা বলতে এমন সব অলিখিত নিয়মকানুন এবং পদ্ধতিকে বুঝায়, যা দীর্ঘকালের রাজনৈতিক আচার
আচরণ এবং কার্যকলাপের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে।
উপসংহার: পরিশেষে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, প্রথাসমূহ ইংরেজ জাতির জীবনে বিষয়টি প্রভাব বিস্তার করে আছে। আদালত এসব প্রথার প্রতি কোন আইনগত গুরুত্বারোপ করে না। যাদের কার্যাবলির সাথে এগুলো অড়িত একমাত্র তারাই এসব মেনে চলে বা আনুগত্য প্রদর্শন করে।