মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় সাহিত্যের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত, বিশেষভাবে তার প্রাগৈতিহাসিক উপন্যাস গুলি বাঙালি সাহিত্যে এক বিশেষ স্থান ধারণ করে। তার প্রাগৈতিহাসিক গ্রন্থগুলি মূলত ঐতিহাসিক সত্যকথার উপর ভিত্তি করে, তবে সে তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে একটি কল্পনামূলক জগত যেখানে ইতিহাসের প্রাসঙ্গিক ঘটনা গুলি হৃদয়ে ধারণ করে নিজেকে মুক্ত করে সেই ঘটনার চেয়ে ভাষযোনির্বাচিত রূপে উপস্থাপন করে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাগৈতিহাসিক গ্রন্থে মানুষের জীবন রূপায়ণ একটি মুখরূপ ক্রমে বর্ণিত হয়েছে। তার গ্রন্থে প্রাচীন সময়ের মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, ধর্ম, রাজনীতি, বিজ্ঞান, বৈচিত্র্য, সাহিত্য, শিক্ষা, কলা, আধুনিকতা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে চর্চা করা হয়েছে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই গ্রন্থগুলি সাধারণভাবে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জীবনের বিবিধ দিকে আলোচনা করে এবং তাদের চরিত্র, আদর্শ, উদ্দীপনা ইত্যাদি নিয়ে বিশেষ গবেষণা করে। এই গ্রন্থগুলি সমাজের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত ধার্মিক অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক পরম্পরা, রাজনীতি, বৈচিত্র্য, আধুনিকতা, বিজ্ঞান, শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়ে তত্ত্বাবধান করে এবং এগুলির মধ্যে কোনটি সমাজের উন্নতি ও অভিবৃদ্ধির দিকে মোকাবেলা করেছে, তা প্রতি প্রস্তুতি করে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই গ্রন্থগুলি তার সময়ের সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উপস্থাপন করে এবং মানুষের সময়ের চেতনা ও ভাবনা নিয়ে অগ্রভূত করে।