অথবা, এককেন্দ্রিক সরকারের নেতিবাচক দিক কী কী?
অথবা, এককেন্দ্রিক সরকারের দোয়াবলি সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তরঃ ভূমিকা : বর্তমান বিশ্ব গণতান্ত্রিক বিশ্ব | এখানে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণের কোন সুযোগ নেই।মূলমন্ত্র হলো ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। তাই ক্ষমতার বিকেন্দ্ৰীকালে এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থা কোন স্থান নেই। কেননা
তন্ত্রিক সরকার নানা দোষে অভিযুক্ত। এ কারণে এককেন্দ্রিক সরকার বর্তমানে এককেন্দ্রিক সরকারের অসুবিধা : নিম্নে এককেন্দ্রিক সরকারের অসুবিধা নেতিবাচক দিক/ক্রটিসমূহ আলোচনা
করা হলো :
১. পাতার কেন্দ্রীকরণ এককেন্দ্রিক সরকারের অন্যতম দোষ ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ। এ সরকার ব্যবস্থানা সৰল । ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত থাকার কেন্দ্র নিজের ইচ্ছামতো ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে। এতে প্রাদেশিক সরকারের কোন প্রকার নেতৃত্ব মান্য করা হয় না ।
২. বিপ্লবের আশঙ্কা এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থায় বিপ্লবের সম্ভবনা খুব বেশি। এ ধরনের সরকারের সকল ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে থাবায় কেন্দ্র স্বৈরাচারীভাবে ক্ষমতা ব্যবহার করে। ফলে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিপ্লবের মাধ্যমে সরকারের গত নিশ্চিত করতে
৩. বৃষ্টি : এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থায় কাজের অত্যধিক চাপের কারণে সরকার কিছু ক্ষমতা হাটী কর্মচারীতার উপর ছেড়ে দেয় এবং তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ফলে সরকারি কর্মচারীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মধ্যে তারা এর জনব্যবহার করে।
- সুশার অনুপযোগী : এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থা সুশাসনের জন্য উপযোগী নয়। এ সরকার ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় সরকার সমগ্র দেশের স্বার্থে পরিচালিত হয়। এর ফলে জাতীয় সমস্যার সমাধান হলেও আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান হয় না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, অন্যান্য শাসনব্যবস্থার মতো এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার যেমন কিছু ভালো দিক রয়েছে তেমনি কিছু খারাপ দিক রয়েছে। তবে সার্বিক বিচারে এককেন্দ্রিক সরকারের নেতিবাচক দিক বেশি তাই এককেন্দ্রিক সরকার গ্রহণযোগ্য নয়।