অথবা, এককেন্দ্রিক সরকারের সুবিধাসমূহ কী?
অথবা, এককেন্দ্রিক সরকারের ইতিবাচক দিক কী কী?
উত্তরঃ ভূমিকা : ক্ষমতার বণ্টন নীতির ভিত্তিতে সরকারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যা এককেন্দ্রিক সরকার ও যুবনাট্রীয় স্যাকার। এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থায় সকল ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে নাত থাকে। ফলে কেন্দ্র যে কোন বিষয়ে দ্রুত নিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যা সমাধান করতে পারে। শাসনব্যবস্থায় এককেন্দ্রিক সরকারের বহুবিদ সুবিধা লক্ষ করা যায়।
এককেন্দ্রিক সরকারের সুবিধা : নিম্নে এককেন্দ্রিক সরকারের সুবিধা/গুণাবলি / ইতিবাচক দিকসমূহ আলোচনা করা হলো
১. অর্থ শাসনাবস্থা : এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থায় দেশে একটি মাত্র শাসনব্যবস্থা চালু থাকে। ফলে জনগণের মাঝে কোন মতৈক্য দেখা যায় না। তাই দেশের জনগণ এক এও ও অবিভান্য দেশপ্রেমের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয় এবং দেশের সংস্কৃতি বদলের চেষ্টা করে।
২.কম ব্যয়বহুল: এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থায় শাসন পরিচালনার ব্যয় কম হয়। কারণ এখানে যেহেতু কেন্দ্ৰই সব ভাই যায় শুধু কেন্দ্রের জন্য হয়। প্রদেশের জন্য তেমন কোন ব্যয় করতে হয় না।
৩.দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ: এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে যাবতীয় ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এ সরকার অন্য কোন সরকার বা সংস্থার সাথে আলোচনা না করেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
৪.সহজ গঠন পদ্ধতি : এককেন্দ্রিক সরকার গঠন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। এ সরকার ব্যবস্থায় একটি মাত্র সরকার গঠিত হয় বলে কোন জটিলতা মোকাবিলা করতে হয় না।
৫. দায়িত্বপূর্ণ শাসনব্যবস্থা: এককেন্দ্রিক সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো দায়িভূশীলতা। কেন্দ্রীয় সরকার অনা কারো উপর দায়িত্ব চাপিয়ে না দিয়ে নিজেই সকল প্রকার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকে।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায়, শাসনব্যবস্থায় যে কোন সমস্যা মোকাবিলায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে এককেন্দ্রিক সরকারের কোন বিকল্প নেই। শাসন পরিচালনায় এককেন্দ্রিক সরকার একটি মাইল ফলক।