অথবা, একনায়কতন্ত্রের প্রকারভেদসমূহ কী কী?
অথবা,একনায়কতন্ত্রের শ্রেণিবিন্যাস উল্লেখ কর।
উত্তরঃ ভূমিকা : যে সরকার বা শাসনব্যবস্থায় শাসনক্ষমতা কোন একজন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির হাতে থাকে। তাকে একনায়কতন্ত্র বলে। অন্যভাবে বলা যায়, কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টি যখন অবাধে শাসনক্ষমতা অর্জন ও ব্যবহার করতে পারে তখনই একনায়কতন্ত্রের বা স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের সৃষ্টি হয়। একনায়কতান্ত্রিক সরকার আবার কয়েক ধরনের হয়ে থাকে।
একনায়কতন্ত্রের শ্রেণিবিভাগ : শাসক ও শাসন পদ্ধতির বিভিন্নতা লক্ষ্য করে একনায়কতন্ত্রকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১. ঐতিহ্যবাহী শাসন: সৌদি আরবে এই ধরনের স্বৈরতন্ত্রী শাসন দেখা যায়। ঐতিহ্য ও সনাতন ভাবধারার প্রতি
অনুগত কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এই ব্যবস্থায় শাসন কর্তৃত্ব ভোগ করেন।
২. ধর্মীয় শাসন: বহু দেশে ধর্ম এবং ধর্মীয় অনুশাসনকে ভিত্তি করে বহু একনায়ক শাসন করেন। এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে এ ধরনের শাসন দেখা যায়।
৩.সামরিক শাসন : সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে অনেক শাসক একনায়কতন্ত্র কায়েম করে। নাইজিরিয়া, মিশর, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশে সামরিক বাহিনীর নেতারাই প্রত্যক্ষ প্রশাসনিক ক্ষমতা ভোগ করেন।
৪. দলীয় স্বৈরতন্ত্র : অভিভক্ত জার্মানিতে হিটলারের নাৎসীবাদী শাসন এবং ইতালিতে মুসোলিনীয় ফ্যাসীবাদী শাসন
দলীয় স্বৈরতন্ত্র বা একনায়কতন্ত্রের উদাহরণ।
৫. আধাসামরিক শাসন : পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী সাময়িকভাবে ক্ষমতা দখল করেছে এবং কিছুকাল পরে ক্ষমতা জনপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যবস্থা পর্যালোচনা করলে বিভিন্ন ধরনের একনায়কতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা দেখা যায়। বর্তমান গণতান্ত্রিক বিশ্বে সকল ধরনের একনায়কতন্ত্র পরিত্যাজ্য।