অথবা, একনায়কতন্ত্রের নেতিবাচক দিক কী কী?
অথবা, একনায়কতন্ত্রের দোষসমূহ কী কী?
অথবা, একনায়কতন্ত্রের দোষসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
উত্তর: ভূমিকা: রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাসে স্বৈরাচার নতুন কোনো বিষয় নয়। তত্ত্বগতভাবে একনায়কতন্ত্র গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত। প্রাচীন গ্রিস ও রোমে একনায়কতন্ত্রের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। একনায়কতন্ত্রের কিছু সুবিধার পাশাপাশি অনেক অসুবিধাও রয়েছে, যা শাসন ব্যবস্থায় জটিলতা বাড়ায়।
স্বৈরাচারের অসুবিধাসমূহ অসুবিধা/দোষ/একনায়কতন্ত্রের নেতিবাচক দিক আলোচনা করা হয়েছে:
১. জনমত উপেক্ষা করা: স্বৈরাচারের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল জনমতকে উপেক্ষা করা হয়। এখানে জনগণের মতামতের কোনো প্রাধান্য নেই। শাসক নিজের মতো করে শাসন পরিচালনা করেন।
২. স্বতন্ত্রতা বিরোধী একনায়কত্ব ব্যক্তিবাদ বিরোধী। এই শাসনামলে শাসকেরই চূড়ান্ত ক্ষমতা থাকে মানুষকে বলা হয় বিশ্বাস করতে, মানতে, লড়াই করতে।
৩. আইন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দুর্বল: একনায়কতন্ত্রে স্বৈরশাসকই সব। এর উপর কোন কথা নেই। তাঁর নির্দেশই আইন। এই শাসন ব্যবস্থা একটি আইনসভা এবং একটি বিচার বিভাগ নিয়ে গঠিত। এর কোনো স্বাধীনতা নেই।
৪. মিথ্যা প্রচারণা: একনায়কতন্ত্র মিথ্যা প্রচার দ্বারা পরিচালিত হয়। বেশির ভাগ সময়ই শাসক জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে জনসমর্থন অর্জনের প্রচেষ্টা।
৫. স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ নেই: স্বৈরাচারী শাসনে স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ নেই। ফলে সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে মানুষ উদাসীন থাকে।
৬. অর্থের অপচয়: একটি স্বৈরাচারী শাসনামলে, যেহেতু বিপ্লবের হুমকি থাকে, স্বৈরশাসকের কাছে গুপ্তচরদের একটি বিশাল বাহিনী থাকে এবং বিশাল বাহিনী গঠন করতে হবে। এসব খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
উপসংহার: উপরোক্ত আলোচনার ফলে বলা যায় যে, স্বৈরাচারে যে অসুবিধাগুলো পরিলক্ষিত হয় তা হলো স্বৈরাচার পরিত্যাগ। কারণ আধুনিক গণতন্ত্রে শুধু জনগণের স্বার্থই সুরক্ষিত।