অথবা, একনায়কতন্ত্রের গুণাবলি কী কী?
অথবা, একনায়কতন্ত্রের ইতিবাচক দিক কী কী?
অথবা, একনায়কতন্ত্রের সুবিধাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর: ভূমিকা: পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের শাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এরকম একটি শাসন হচ্ছে স্বৈরাচারী শাসন। এখানে একজন ব্যক্তি ক্ষমতায় এবং তিনি একাই সব কাজ করেন পরিচালিত ফলস্বরূপ, কাজ কম সময় নেয় এবং কাজের জটিলতা হ্রাস পায়।
একনায়কত্বের সুবিধা: স্বৈরাচারের সুবিধা/গুণ/ইতিবাচক দিকগুলি নিম্নরূপ:
১. মেধার প্রশংসা: একনায়কতন্ত্রে, বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারী সুবিধা পান। ফলে জাতীয় জীবনে সর্বাত্মক উন্নয়ন সাধিত হয়।
২. জরুরী অবস্থা দরকারী: একনায়কত্ব জরুরী পরিস্থিতিতে দরকারী। একনায়কতন্ত্রে, সমস্ত ক্ষমতা একজন ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত থাকে, তাই শাসক জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যা গণতন্ত্রে সম্ভব নয়।
৩. স্থিতিশীলতা: সরকারের স্থিতিশীলতা স্বৈরাচারের একটি বিশেষ গুণ। গণতন্ত্রে, জনমতের পরিবর্তন সরকারে ঘন ঘন পরিবর্তন ঘটায়। কিন্তু একনায়কতন্ত্রে সরকারের দৃঢ়তা ও স্থিতিশীলতা থাকে।
৪. খরচ কমানো: একনায়কতন্ত্রে, প্রশাসনিক দায়িত্ব একজন ব্যক্তির কাছে হ্রাস করা হয়, তাই প্রশাসনিক কাজ সম্পাদনের খরচ হ্রাস পায় খরচ কমে যায়। এটি অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়ায়।
৫. দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুবিধা দেয়: স্বৈরশাসকের মধ্যে একজন স্বৈরশাসক চূড়ান্ত ক্ষমতা অর্জন এবং রাষ্ট্রকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য দ্রুত অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়।
৬. প্রগতিশীল : একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় দক্ষ ও শিক্ষিত এবং বিশেষ ব্যক্তি কর্তৃক শাসনকার্য পরিচালিত হয়। এ জন্য খুব সহজেই পরিবর্তিত অবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে শাসনকার্য পরিচালিত হয় যার ফলে এটি সবচেয়ে বেশি প্রগতিশীল শাসনব্যবস্থা।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায়, আধুনিক সরকারের কার্যাবলি যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি জটিলতা বাড়ছে। ফলে সরকারের এসব অধিক ও জটিল কাজ দ্রুত সম্পাদনে একনায়কতন্ত্রের বিকল্প নেই।