গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের পার্থক্য কী?

রকেট সাজেশন
রকেট সাজেশন


অথবা, গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের বৈসাদৃশ্য উল্লেখ কর।
অথবা, গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের বৈপরীত্য উল্লেখ কর।

উত্তর: ভূমিকা: বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকার পদ্ধতি হল গণতন্ত্র। আর সবচেয়ে খারাপ হলো শাসন ব্যবস্থা
স্বৈরাচার বাস্তবতার আলোকে এই দুই শাসন ব্যবস্থা দুই মেরুতে অবস্থিত। গণতন্ত্র মানবজাতির জন্য স্বৈরতন্ত্র মানবজাতির জন্য আশীর্বাদের পাশাপাশি অভিশাপ হিসেবে বিবেচিত হয়।

গণতন্ত্র এবং একনায়কত্বের মধ্যে পার্থক্য: গণতন্ত্র এবং একনায়কতন্ত্রের মধ্যে নিম্নলিখিত পার্থক্যগুলি পরিলক্ষিত হয়।

১. ক্ষমতার উৎস: গণতন্ত্র হল জনগণের শাসন। এখানে সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। অন্যদিকে একনায়কতন্ত্র হল এক ব্যক্তির শাসন। একনায়কতন্ত্রে ক্ষমতার উৎস একক ব্যক্তি বা দলীয় বৃত্ত।

২. ব্যক্তি স্বাধীনতা: গণতন্ত্র এবং একনায়কত্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল ব্যক্তি স্বাধীনতা। গণতন্ত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা সুরক্ষিত। অন্যদিকে, স্বৈরাচারে ব্যক্তি স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয় না।

৩. আইনসভা: গণতন্ত্রে, সরকারের প্রধান আলোচনা কেন্দ্র হল আইনসভা। দেশের প্রয়োজনে আইনসভা অপরিহার্য
আইন প্রণয়ন করে। অন্যদিকে, একনায়কতন্ত্রে, আইনসভা একটি প্রহসনমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

৪.নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষি: নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে, গণতন্ত্রে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শাসকরা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কিন্তু অন্যদিকে স্বৈরাচারে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবর্তে মক নির্বাচন হয়।

৫. আইনের শাসন: গণতন্ত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। কারণ আইন না মেনে গণতান্ত্রিক সরকার চলতে পারে না। অন্যদিকে একনায়কতন্ত্রে আইনের শাসন থাকে না। শাসক শ্রেণী হল আইন।

উপসংহার: আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারের মধ্যে প্রখর পার্থক্য রয়েছে। গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন আর স্বৈরাচার হলো একনায়কের শাসন। সুতরাং গণতন্ত্র গ্রহণযোগ্য এবং স্বৈরাচার অগ্রহণযোগ্য।