গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ কী?

রকেট সাজেশন
রকেট সাজেশন


অথবা, কী কারণে গণতন্ত্র শ্রেষ্ঠ।
অথবা , গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, গণতন্ত্রকে সর্বশ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থা বলা হয় কেন

উত্তরঃ ভূমিকা : বর্তমান পৃথিবীতে বিদ্যমান সব ধরনের শাসনব্যবস্থার মূলকথা হলো জনস্বার্থ রক্ষা। আর জনগণের কল্যাণ সাধনের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থা। এখানে সরকার গঠিত হয় জনগণের দ্বারা, সরকার পরিচালিত হয় জনগণের দ্বারা এবং সরকার জনগণের স্বার্থে কাজ করে।

গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ আলোচনা করা হয়েছে:

১. ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা: গণতন্ত্র হল একমাত্র শাসন ব্যবস্থা, যেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতা সুরক্ষিত এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। গণতান্ত্রিক শাসনের মূল ভিত্তি ব্যক্তি স্বাধীনতা।

২. ন্যায়-ভিত্তিক গণতন্ত্র: ন্যায়বিচার-ভিত্তিক শাসনের একটি প্রধান উদাহরণ। বার্কারের মতে, “গণতন্ত্রে ন্যায় ও সত্য সম্ভব।” তাই গণতন্ত্রকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উপযোগী শাসন ব্যবস্থা বলা হয়।

৩. আইনের শাসন : গণতন্ত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। গণতন্ত্রে শুধু আইনকেই যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়। আইনের দৃষ্টিতে ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ সবাই সমান। গণতন্ত্রে জনগণই চূড়ান্ত বিচারক।

৪. শাসক-শাসিত সম্পর্ক: গণতান্ত্রিক শাসন এমন এক ধরনের শাসন ব্যবস্থা যেখানে শাসক এবং শাসিতদের মধ্যে একটি ভাল সম্পর্ক থাকে। এই শাসন ব্যবস্থায় শাসক তার শাসন পরিচালনা করেন জনমতের ভিত্তিতে

৫. সাম্য, জোট এবং স্বাধীনতার উপস্থিতি: গণতন্ত্রের প্রধান গুণ কারণ এটি সমতা, জোট এবং স্বাধীনতার মূল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। গণতন্ত্রে জাতি-ধর্ম-বর্ণ, ধনী-গরিব নির্বিশেষে আইনের চোখে সবাই সমান।

৬. জবাবদিহিতা: গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায়, শাসক দায়বদ্ধ। সংসদীয় ব্যবস্থায় মন্ত্রিসভার সদস্যরা তাদের কাজের জন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আবার প্রেসিডেন্ট পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।

উপসংহার: উপরোক্ত আলোচনা থেকে সহজেই বোঝা যায় যে গণতন্ত্র হল সর্বোত্তম শাসন ব্যবস্থা। তাই আজ বিশ্বের সর্বত্র গণতন্ত্রের অগ্রগতি।