নিয়মতান্ত্রিক সরকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।

রকেট সাজেশন
রকেট সাজেশন


অথবা, সাংবিধানিক সরকারের বৈশিষ্ট্য তুলে ধর
অথবা, সাংবিধানিক সরকারের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
অথবা, সাংবিধানিক সরকারের প্রকৃতি উল্লেখ কর।

উত্তর: এরিস্টটলের পছন্দের সংবিধান প্রতিটি রাজ্যের জন্য সংবিধান অপরিহার্য। সংবিধানই সরকারের প্রধান চালিকাশক্তি। সংবিধানের মধ্যেই রাষ্ট্র পরিচালনা নীতিমালা লেখা আছে। পদ্ধতিগত সরকারের বৈশিষ্ট্য: সাংবিধানিক বা পদ্ধতিগত সরকার বিভিন্ন উপাদান এবং বৈশিষ্ট্য দ্বারা চিহ্নিত করা হয় মন্ডিত এটি নিজে থেকেই আলোচিত হয়েছিল

১. সংবিধানের আধিপত্য সাংবিধানিক সরকারে, সংবিধানের আধিপত্য বজায় থাকে। অর্থাৎ এই সরকার সব কার্যক্রম সংবিধানের উপর নির্ভর করে। সংবিধান জনগণের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।

২. স্থিতিশীল শাসন স্থিতিশীল শাসন সাংবিধানিক সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ সরকারের কার্যপদ্ধতি ঘন ঘন বা ইচ্ছা পরিবর্তন করা যাবে না।

৩. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা: পদ্ধতিগত সরকার ব্যক্তিদের চেয়ে আইনের আধিপত্য বজায় রাখে। কোথায় যেখানে আইনের শাসন নেই সেখানে সাংবিধানিক সরকার চলতে পারে না। এই সরকার হবে আইনের

৫. জবাবদিহিতা এটি দায়ী সরকার। সরকার শাসনের জন্য সব গণমাধ্যমের কাছে জবাবদিহি করবে। তাছাড়া সাংবিধানিক সরকার নিয়মানুযায়ী শাসিত জনগণের কাছে সব সময় দায়বদ্ধ।

৫. বিচার বিভাগের প্রাধান্য বিচার বিভাগের প্রাধান্য সাংবিধানিক সরকারের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নির্ধারণ করতে বিচার বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা করে। তাই বিচার বিভাগ সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে।

৬. গণতান্ত্রিক সরকার সাংবিধানিক সরকার কোন প্রকার স্বৈরাচারী ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে নয়। মূলত এই সরকার
স্বৈরাচার বিরোধী ও গণতান্ত্রিক সরকার।

৭. গতিশীলতা একটি নিয়মতান্ত্রিক সরকার পরিবর্তিত অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। স্বৈরাচারী বা রাজতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায়, এই সরকার ব্যবস্থায় ন্যায়বিচার কল্পনা করা যায় না।

উপসংহার: সাংবিধানিক সরকার নিয়ম দ্বারা পরিচালিত হয়। আর সংবিধান সব নিয়মের নির্দেশনা। মূলত, সাংবিধানিক সরকার যেকোনো জাতির জন্য অপরিহার্য। কারণ সাংবিধানিক সরকারই শ্রেষ্ঠ ও শ্রেষ্ঠ সরকার।