বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।

রকেট সাজেশন
রকেট সাজেশন

ভূমিকা: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বিশ্বের মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে। এমন একটি সদ্য স্বাধীন দেশের একটি সংবিধান দরকার এবং বাংলাদেশ একটি সংবিধান তৈরি করেছে সময়োপযোগী সংবিধান।বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য: বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:১. লিখিত: বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত সংবিধান। এই সংবিধানে প্রশাসনিক বিষয়গুলো এক বা একাধিক নথিতে লেখা আছে। কীভাবে শাসন পরিচালনা করা হবে এবং বিভিন্ন বিভাগ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে তা সংবিধানে আগে থেকেই নিয়ন্ত্রিত রয়েছে।২. পরিষ্কার: এই সংবিধান স্পষ্ট সংবিধান। এই সংবিধানে সবকিছু খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ৩. স্থায়িত্ব বাংলাদেশের সংবিধানের স্থায়িত্ব রয়েছে। এই সংবিধান সহজে পরিবর্তন করা যাবে না। সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তাই সরকারের বাতিক আর জনগণের তৎপরতা উন্মাদনার মুখেও সংবিধান অক্ষত থাকে।৪. সংক্ষিপ্ত: বাংলাদেশের সংবিধান একটি সংক্ষিপ্ত সংবিধান। এটা সহজ, সরল এবং সরল ভাষায় সংক্ষিপ্ত ফর্মে লেখা।৫. মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ: বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত আছে। মৌলিক অধিকারের মধ্যে রয়েছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা।উপসংহারঃ পরিশেষে, বাংলাদেশের সংবিধানে বিদ্যমান সকল বৈশিষ্ট্যের আলোকে একথা বলা যায় যে, বাংলাদেশের সংবিধান একটি উত্তম সংবিধান। লেখার ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা, সংক্ষিপ্ততা, নান্দনিক অধিকার সংরক্ষণ ইত্যাদি ভালো সংবিধানের সফল বৈশিষ্ট্য।