অথবা, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র কাকে বলে।
অথবা, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলতে কী বুঝ?
অথবা, কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা দাও।
উত্তরঃ ভূমিকা : কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সনাতন রাষ্ট্রের একটা আধুনিক রূপ। বর্তমান একবিংশ শতাব্দীতে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। জনকল্যাণ রাষ্ট্রের পরিধি ও কার্যক্রম মূলত জনকল্যাণমুখী। আধুনিক সময়ে সে জন্য জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের পরিধি দিন দিন বেড়েই চলেছে।
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র : সাধারণত জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলতে বুঝায় এমন এক ধরনের রাষ্ট্র যে রাষ্ট্র জনগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে । Plato বলেন, “জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হলো এমন একটি রাষ্ট্র যার উদ্দেশ্য হলো সকল নাগরিকের ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা।
T. W. Kent , “Welfare state is a state that provides for its citizen a wide range of social service.”
কল্যাণ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য: কল্যাণ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো
১. জনকল্যাণ: কল্যাণ রাষ্ট্র জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কল্যাণের জন্য কাজ করে।
২. অধিকার সংরক্ষণ: কল্যাণ রাষ্ট্র মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে। অধিকার নাগরিক জীবনের বিকাশ ঘটায়।
৩. জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন: কল্যাণ রাষ্ট্র উৎপাদন বৃদ্ধি, পণ্যের মান উন্নয়ন, মূল্য নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ এবং ন্যায্য বন্টন ইত্যাদি প্রদান করে। এর উদ্দেশ্য হল নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
৪. নিরাপত্তা বিধান নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কল্যাণ রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করে
৫. ব্যক্তি স্বাধীনতার সুরক্ষা কল্যাণ রাষ্ট্র জনকল্যাণের জন্য ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এই রাষ্ট্র ব্যক্তিস্বাধীনতার স্বকীয়তা রক্ষা করে ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথ খুলে দেয়।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, বিশ্বায়নের যুগে কল্যাণ রাষ্ট্র বিশেষভাবে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বলা যায়, জনগণ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে এবং সুখী-সমৃদ্ধ জীবন গড়তে কল্যাণ রাষ্ট্র বিশেষ ভূমিকা পালন করে।