বিশেষ প্রবণতা অভীক্ষা কাকে বলে।

রকেট সাজেশন
রকেট সাজেশন

বিশেষ প্রবণতা অভীক্ষা বলতে কী বুঝ?

অথবা, বিশেষ প্রবণতা অভীক্ষা সম্পর্কে ধারণা দাও ।উত্তর:

ভূমিকা :বিশেষ প্রবণতা অভীক্ষা হলো এমন একটি মার্কেটিং প্রক্রিয়া যেখানে কোনও গ্রাহকের প্রবণতা এবং আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা সম্পর্কে মৌলিক তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং তাতে ভিত্তি করে প্রমোট করা হয়। এটি আপনার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করার সাথে সাথে আপনার গ্রাহকদের সংবাদ এবং প্রাথমিক নোটিশের সাথে সাথে তাদের সংস্পর্শ বৃদ্ধি করার জন্য সাহায্য করতে পারে। এটি মার্কেটিং প্রক্রিয়াগুলির সাথে গ্রাহকের প্রবণতা এবং প্রাথমিক আইডিয়া প্রদান করে এবং আপনার প্রদানকৃত সেবাগুলির মাধ্যমে গ্রাহকদের চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য সাহায্য করে। এটি একটি গ্রাহক-মৌলিক মার্কেটিং স্ট্রাটেজি যা গ্রাহকের প্রবণতা এবং প্রাথমিক আইডিয়া নিয়ে কাজ করে এবং গ্রাহকের সাথে দৃষ্টি প্রদান করে সেবা বা প্রোডাক্ট বিকেন্দ্রিক করে।

বিশেষ প্রবণতা অভীক্ষা : কর্মচারী নির্বাচনের জন্য অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ অভীক্ষা হলো বিশেষ প্রবণতা অভীক্ষা। কোন একজন ব্যক্তি কোন কাজের জন্য উপযুক্ত তা বিশেষ অভীক্ষার সাহায্যে খুব সহজে নির্ণয় করা যায়। কিন্তু বর্তমানে শিল্পভিত্তিক সমাজে বিভিন্ন প্রকারের এবং বিচিত্র বৃত্তি বা পেশার সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন ব্যক্তির পক্ষে সে যতই বুদ্ধিমান হোক না কেন সব ধরনের পেশায় সমান দক্ষতা অর্জন করতে পারে না। এমন কতকগুলো পেশা রয়েছে, যেখানে বুদ্ধির মাত্রা উঁচু না হলেও বিশেষ বিশেষ প্রবণতার অধিকারী ব্যক্তিরা ঐসব বুদ্ধিতে দক্ষতা লাভ করতে পারে। তাই ব্যক্তিবিশেষ ক্ষমতা পরিমাপের জন্য বিশেষ প্রবণতা অভীক্ষাকে প্রধান পাঁচ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। নিম্নে এগুলো বর্ণনা করা হল :

ক. পার্থক্যমূলক প্রবণতা অভীক্ষা : শিল্পক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা এবং বৃত্তি নির্বাচনে সহায়তার জন্য পার্থক্যমূলক প্রবণতা অভীক্ষার কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। এটি একটি বহুমুখী প্রবণতা অভীক্ষাগুচ্ছ। এ অভীক্ষাগুচ্ছের রচনা করেছেন। আমেরিকান মনোবৈজ্ঞানিক কর্পোরেশন। এই অভীক্ষা গুচ্ছ অভীক্ষা নিয়ে গঠিত। যথা :

১. বাচনিক যুক্তি,
২. সংখ্যা ব্যবহার ক্ষমতা,
৩. বিমূর্ত যুক্তি,
৪. কারিগরি ক্ষমতা,
৫. করণিক প্রবণতা ও
৬. স্থান সম্পর্ক এবং
৭. ভাষা ব্যবহার।

খ. সাধারণ প্রবণতা অভীক্ষাসমূহ : আমেরিকার এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস সরকারি কর্মচারী নিয়োগের জন্য ১৯৪৭ সালে এ অভীক্ষাগুচ্ছটি রচনা করেন। এ অভীক্ষাটি ১২ প্রকার অভীক্ষা নিয়ে গঠিত হলেও ৯ প্রকার অভীক্ষার সফলতা পাওয়া যায়। যথা :
১. বুদ্ধি,
২. ভাষা প্রয়োগ,
৩, সংখ্যা ব্যবহার ক্ষমতা,
৪. অবস্থানমূলক উপলব্ধি,
৫. সংগঠন উপলব্ধি,
৬. কারণিক সংশোধন,
৭. সঞ্চালনমূলক সমন্বয়,
৮. অঙুলি সঞ্চালনমূলক দক্ষতা এবং
৯. হস্ত কৌশল।

প. গিলফোর্ড জিমারম্যান প্রবণতা জরিপ : গিলফোর্ড এবং তাঁর সহযোগীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিমান বাহিনীতে লোক নিয়োগের জন্য যে তথ্যসংগ্রহ করেন তার উপর নির্ভর করে এই অভীক্ষার উদ্ভব হয়। এই অভীক্ষাটির সাতটি উপ অভীক্ষা রয়েছে। এটি শেষ হতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে।

ঘ. সংবেদীয় প্রবণতা অভীক্ষা : সংবেদীয় প্রবণতা অভীক্ষাকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা :
১. দর্শনমূলক অভীক্ষা,
২. শ্রবণমূলক অভীক্ষা,
৩. সঞ্চালনমূলক ক্ষমতা অভীক্ষা।

ঙ. কারিগরি ক্ষমতা অভীক্ষা : কারিগরি ক্ষমতা অভীক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির যন্ত্র চালনা ক্ষমতা, কারিগরি জ্ঞান ও বুদ্ধি, স্থান সম্পর্কে প্রত্যক্ষণ ক্ষমতা এবং সমন্বিত অঙ্গ সঞ্চালন ক্ষমতা পরিমাপ করা যায়।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, শিল্পকারখানায় এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কর্ম নির্বাচনে মনস্ত তাত্ত্বিক অভীক্ষা একটি যুগোপযোগী এবং তথ্য সমৃদ্ধ প্রক্রিয়া। মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষাগুলো যথার্থ এবং সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করে অতি সহজেই উপযুক্ত কর্মী নির্বাচন করা সম্ভব। একারণেই শিল্পোন্নত দেশে ক্রমেই এর পরিসর এবং বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।