ক-বিভাগ / অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ে কোথায় জন্নগ্রহন করেন?
উত্তর : বিহারের সাঁওতাল পরগনাই দুমকা শহরে।
২. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্ন ও মৃত্যু সাল কত?
উত্তর : জন্ন ১৯০৮ সালের ১৯ মে এবং মৃত্যু ১৯৫৬ সালে।
৩. মানিকের পিতার নাম কী?
উত্তর : পিতার নাম হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪. মাতার নাম কী?
উত্তর : নীরদাসুন্দরী দেবী।
৫. মানিকের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
উত্তর : প্রবোধচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ।
৬. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদি নিবাস কোথায় ছিল?
উত্তর : ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে।
৭. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়েরা কই ভাই বোন?
উত্তর : আট ভাই বোন ।
৮. আট ভাই বোনের মধ্যে মানিক কত নম্বর ছিল?
উত্তর : ৫ম।
৯. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখাপড়া করেন কোথায়?
উত্তর : কলকাতা, টাঙ্গাইল, মেদিনীপুর প্রভৃতি জায়গায় থেকে লেখাপড়া শেষ করেছেন।
১০. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কখন ম্যাট্রিক পাস করেন?
উত্তর : ১৯২৬ সালে মেদিনীপুর থেকে অঙ্কে লেটার নিয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
১১. মানিক কখন আই.এ পাস করেন?
উত্তর : বাকুঁড়া কলেজ থেকে আই.এ.সি পাস করেন।
১২. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বি.এ পাস করেন কোন কলেজ থেকে?
উত্তর : কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে।
১৩. মানিকের লেখা প্রথম গল্প কোনটি?
উত্তর : ‘অতসীমামী’।
১৪. ‘অতসীমামী’ গল্পটি কোন পত্রিকায় ছাপা হয়?
উত্তর : বিচিত্রা পত্রিকায় ছাপা হয়।
১৫. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোন সময় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন?
উত্তর : ১৯৪৪ সালে ।
১৬. তিনি কতদিন পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন?
উত্তর : মৃত্যু পর্যন্ত ।
১৭. মানিক কোথাকার একনিষ্ঠকর্মী ছিলেন?
উত্তর : ‘প্রগতি লেখক ও শিল্পী সংঘের’।
১৮. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারিবারিক অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর : পারিবারিক অবস্থা ছিল অসচ্ছল।
১৯. মানিক বন্দ্যোপধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস কোনটি?
উত্তর : ‘জননী’ উপন্যাসটি (১৯৩৫ ) সালে।
২০. মানিকের উপন্যাসকে সাধারণত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী?
উত্তর : তিনটি; (ক) ফ্রয়েডীয়/ মনোসমীক্ষণ তত্ত্ব সম্পর্কিত উপন্যাস। (খ) মার্কসীয় তত্ত্ব সম্পর্কিত উপন্যাস। (গ) রাজনীতি বিষয়ক
উপন্যাস।
২১. মানিক কাদের সঙ্গে বাজি ধরে প্রথম গল্প রচনা করেন?
উত্তর : বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ‘অতসীমামী’ গল্পটি রচনা করেন।
২২. এই ‘অতসীমামী’ গল্পটি মানিকের জন্য কি এনে দিয়েছিল?
উত্তর : সাহিত্যের শ্রুতিবান লেখক হিসেবে মর্যাদা এনে দিয়েছিল ।
২৩. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোন সময়ের লেখক?
উত্তর : তিরিশোত্তর বাংলা সাহিত্যে একজন অবিস্মরণীয় নাম।
২৪. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন-
উত্তর : বিজ্ঞানমনস্ক লেখক।
২৫. মানিক কী কী চেতনা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন?
উত্তর : মাকর্সবাদ এবং ফ্রয়েডীয় চেতনা দ্বারা।
২৬. মানিকের প্রথম দিকের রচনাগুলোতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর : ফ্রয়েডীয় চেতনা।
২৭. ছোটগল্পকার হিসেবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন-
উত্তর : সার্থক ছোটগল্পকার।
২৮. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়েকটি গল্প গ্রন্থের নাম –
উত্তর : ‘প্রাগৈতিহাসিক’,‘ছোটবড়’,
‘ফেরীওয়ালা’, ‘বকুলপুরের যাত্রী’, ‘সরীসৃপ’ প্রভৃতি।
২৯. মানিকের দুর্ভিক্ষ বিষয়ক কয়েকটি গল্পের নাম বল?
উত্তর : ‘আজ কাল পরশুর গল্প’, ‘সাড়ে সাতসের চাল’ ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে!’, ‘প্রাণের গুদাম’, ‘নমুনা’ ও ‘তারপর?’ ‘গলায় দড়ি
কেন?’, ‘দুঃশাসন’ প্রভৃতি।
৩০. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পগ্রন্থের সংখ্যা কত?
উত্তর : ১৬টি।
৩১. মানিকের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গল্পগ্রন্থের নাম উল্লেখ করো?
উত্তর : অতসী মামী, প্রাগৈতিহাসিক, মিহি ও মোটা কাহিনী, সরীসৃপ, বৌ, সমুদ্রের স্বাদ, ভেজাল, হলুদ পোড়া, আজ কাল পরশুর
গল্প, খতিয়ান, মাটির মাশুল, ছোট বকুলপুরের যাত্রী প্রভৃতি।
৩২. মনোবিশ্লেষণ ও ফ্রয়েডীও চেতনার প্রভাব, মার্কসীয় দর্শনের প্রযোগ এবং নানা নিরীক্ষার প্রয়াসে সাহিত্য রচনা করেছেন কে?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩৩. ‘প্ৰাগৈতিহাসিক’ গল্পগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ১৯৩৭ সালে।
৩৪. প্রাগৈতিহাসিক শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘প্রাগৈতিহাসিক’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ (প্রাক+ঐতিহাসিক) ইতিহাসের পূর্ব কথা। অর্থাৎ ইতিহাস লেখার শুরুর পূর্বের
জীবন ও সময়কালকে প্রাগৈতিহাসিক বলে অভিহিত করা হয়।
৩৫. ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পে কতটি গল্প স্থান পেয়েছে?
উত্তর : ‘পাগৈতিহাসিক’ গল্পে ৯টি গল্প স্থান পেয়েছে।
৩৬. ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পগ্রন্থের কয়েকটি গল্প হলো –
উত্তর : প্রাগৈতিহাসিক, চোর, মাথার রহস্য, যাত্রা, ফাঁসি, চাকরী, প্রকৃতি, ভূমিকম্প।
৩৭. প্রাগৈতিহাসিক গল্পের কয়েকটি চরিত্রের নাম হলো –
উত্তর : ভিখু, পাঁচী, বসির, পেহ্লাদ, ভরত প্রভৃতি।
৩৮. ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের ভিখু একজন?
উত্তর : দুর্ধর্ষ ডাকাত।
৩৯. ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের মূল উপজীব্য বিষয়টি কী?
উত্তর : আদিমতম কামনা-বাসনা, জৈবিক প্রবৃত্তি এবং সংকটের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
৪০. ভিখু কোথায় ডাকাতি করতে গিয়ে বর্শার আঘাত পেয়ে পালিয়ে আসে?
উত্তর : বসন্তপুরে বৈকুণ্ঠ সাহার গদিতে ৷
৪১. ভিখু রাতের আধারে কাকে হত্যা করে গিয়েছিল?
উত্তর : পাচীর স্বামী বশিরকে।
৪২. ভিখু কোন সময়ে বৈকুণ্ঠ সাহার গদিতে ডাকাতি করতে
উত্তর : আষাঢ় মাসের প্রথমে।
৪৩. ভিথুরা কতজন ডাকাতি করতে গিয়েছিল?
উত্তর : এগারোজন ।
৪৪. এগারোজনের মধ্যে কতজন পালাতে সমর্থ হয়েছিল?
উত্তর : শুধু একজন (ভিখু)।
৪৫. ভিখুর শরীরের কোন অংশে বর্শার ফলা লেগেছিল?
উত্তর : ডান কাঁধের উপরে।
৪৬. ভিখু রাতারাতি কত মাইল দূরে এসে শরবনের মধ্যে লুকিয়ে ছিল?
উত্তর : দশ মাইল।
৪৭. ভিথুর বন্ধুর নাম কী?
উত্তর : পেহ্লাদ বাগ্দী।
৪৮. পেহ্লাদের বাড়ি কোথায়?
উত্তর : চিতলপুর।
৪৯. রাতে কত ক্রোশ হেঁটে এসে ভিখু পেহ্লাদের বাড়িতে পৌঁছায়?
উত্তর : ন ক্রোশ।
উত্তর :
৫০. পেহ্লাদ ভিখুকে কোথায় রাখার ব্যবস্থা করে?
উত্তর : দুর্গম সিনজুরি গাছের নিবিড় ঝোপের মধ্যে মাচা বেঁধে ।
৫১. পেহ্লাদ তাকে কেন বাড়িতে রাখতে সাহস পায়নি?
উত্তর : পুলিশের ভয়ে।
৫২. ভিখুর থাকার মাচার উপর কোন পাতার আচ্ছাদন প্রদান করে?
উত্তর : তালপাতা ।
৫৩. বনটি পেহ্লাদের বাড়ি থেকে কত দূরে?
উত্তর : মাইল পাঁচেক উজানে।
৫৪. বনের মধ্যে দুদিনের জন্য পেহ্লাদ ভিখুকে কী কী খাবার দেয়?
উত্তর : গুড়-মুড়ি।
৫৫. প্রতিদিন পেহ্লাদ ভিখুঁকে কেন দেখতে আসতে পারবে না?
উত্তর : মানুষের সন্দেহের ভয়ে।
৫৬. ভিখুর কোন হাতটি রাতে ফুলে উঠে?
উত্তর : ডান হাতটি।
৫৭. ভিখু বনের মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় শরীর থেকে কী সরায়?
উত্তর : একটি করে জোঁক।
৫৮. পেহ্লাদ শুড়-মুড়ি ছাড়া ভিখুকে আর কী দিয়েছিল?
উত্তর : কয়েকটা বিড়ি।
৫৯. ভিখুর মাচার উপর গুড়ের লোভে দল বেঁধে কারা এসেছিল?
উত্তর : লাল পিঁপড়া।
৬০. ভিখু কাদের হতাশার জ্বালা বনের মধ্যে অবিরত ভোগ করে?
উত্তর : লাল পিঁপড়াদের।
৬১. পেহাদ বনের মধ্যে বসে কার মৃত্যু কামনা করে?
উত্তর : পেহ্লাদের।
৬২. ডিঙ্গু বনের মধ্যে প্রায় দুঘণ্টা লাঠি হাতে বসে থাকে কেন?
উত্তর: সবুজ রঙের একটা সাপের ভয়ে।
৬৩. “মরিবে না। সে কিছুতেই মরিবে না। বনের পশু যে অবস্থায় বাঁচে না সেই অবস্থায়, মানুষ সে বাঁচিবেই।”- কার সম্পর্কে
বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পে ভিখু সম্পর্কে।
৬৪. পেহ্লাদকে দেখতে না এসে কোথায় গিয়েছিল?
উত্তর : গ্রামাত্তরে কুটুমবাড়ি ।
৬৫. ভিখুর আশেপাশে শিয়াল ঘুরাঘুরি করে কেন?
উত্তর : ভিখুর ঘায়ের গন্ধে ।
৬৬. তিনদিন পরে বনের মধ্যে ভিথুকে দেখতে পেহ্লাদ কী নিয়ে আসে?
উত্তর : এক বাটি ভাত, পুঁটি মাছ ভাজা এবং পুঁই চচ্চড়ি।
৬৭. পেহ্লাদের বোনাই এর নাম কী?
উত্তর : পেহ্লাদের বোনাই এর নাম ভরত।
৬৮. ভিখুর কোন হাতটি চিরতরে অকেজো হয়ে যায়?
উত্তর : ডান হাতটি।
৬৯. পেহ্লাদের বাড়িতে এক সন্ধ্যায় ভিখু কী কাণ্ড ঘটায়?
উত্তর : পেহ্লাদের বউয়ের হাত চেপে ধরে
৭০. পেহ্লাদের বউ কোন জাতের মেয়ে?
উত্তর : বাগ্দীর মেয়ে।
৭১. ভিথুকে লাঠি পেটা করে কে কে?
উত্তর : পেহ্লাদ এবং ভরত।
৭২. পেহ্লাদ ডিখুর জন্য কত টাকা খরচ করেছে বলে জানায়?
উত্তর : সাত টাকা।
৭৩. পেহ্লাদ ভিখুর কোন জিনিস চুরি করেছে বলে ভিখু মন্তব্য করে?
উত্তর : কোমরের বাজু।
৭৪. দুপুর রাতে কার ঘরে জ্বলে উঠে?
উত্তর : পেহ্লাদের।
৭৫. পেহ্লাদের ঘরে কে আগুন দেয় বলে অনুমান করা হয়?
উত্তর : ভিখু।
৭৬. ভিখুর অসভ্যজীবনের ১ম পর্যায় কী ছিল?
উত্তর : ডাকাতি।
৭৭. ভিখুর অসভ্যজীবনের ২য় পর্যায় কী ছিল?
উত্তর : ভিক্ষাবৃত্তি।
৭৮. কোন গ্রামের পাশে নদী ছিল?
উত্তর : চিতলপুর।
৭৯. পেহ্লাদের বাড়ি থেকে আসতে গিয়ে নদীতে ভিখু কী চুরি করে?
উত্তর : জেলেডিঙি।
৮০. পেহ্লাদের বাড়ি থেকে কত মাইলের মধ্যে মুখ দেখানো ভিখুর জন্য বিপদ ছিল?
উত্তর : বিশ মাইলের মধ্যে ৷
৮১. ভিখু মহকুমা শহরে পৌঁছে কার কাছে ভিক্ষা চায়?
উত্তর : এক ভদ্রলোকের কাছে?
৮২. ভদ্রলোক তাকে কত পয়সা প্রদান করে?
উত্তর : এক পয়সা।
৮৩. ভিখু কত পয়সা সাহায্য চেয়েছিল?
উত্তর : দুপয়সা।
৮৪. এক পয়সা দিয়ে ভিখু কী ক্রয় করে?
উত্তর : এক পয়সা দিয়ে ভিখু মুড়ি ক্রয় করে।
৮৫. পৃথিবীর বহু প্রাচীনতম ব্যবসার মধ্যে কোনটি উল্লেখযোগ্য?
উত্তর : ভিক্ষাবৃত্তি।
৮৬. ভিখু কোথায় বসে ভিক্ষা করে?
উত্তর : বাজারের কাছে রাস্তার ধারে তেঁতুল গাছের নিচে বসে।
৮৭. ভিথু কোন সময় ভিক্ষা করে?
উত্তর : সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
৮৮. ভিখু কী কী রান্না করে?
উত্তর : ভাত, ছোট মাছ ।
৮৯. ভিখু কী বলে ভিক্ষা করে?
উত্তর : ‘হেই বাবা একটা পয়সা।’
৯০. কোন শ্লোকটি ভিথুর কাছে মিথ্যা বলে মনে হয়?
উত্তর : ‘ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ’।
৯১. ভিখুর সামনে দিয়ে আনুমানিক প্রতিদিন কতজন লোক যাতায়াত করে?
উত্তর : হাজার-দেড় হাজার।
৯২. কতজনে তাকে পয়সা বা আধলা দেয়?
উত্তর : প্রতি পঞ্চাশজনে একজন।
৯৩. সারাদিনে ভিথুর রোজগার হয় কত?
উত্তর : পাঁচ-ছ আনা।
৯৪. কিন্তু ভিথুর সাধারণ উপাৰ্জন কত?
উত্তর : আট আনা।
৯৫. ভিথু যে স্থানে ভিক্ষা করে সেখানে সপ্তাহে কতদিন হাট বসে?
উত্তর : দুদিন।
৯৬. হাটবারের দিন ভিক্ষু কত টাকা ভিক্ষা পায়?
উত্তর : পুরা এক টাকা ।
৯৭. ভিখু কার বাড়ি ভাড়া নেয়?
উত্তর : বিনু মাঝির।
৯৮. বিনু মাঝির বাড়ি কত টাকায় সে ভাড়া নেয়?
উত্তর : মাসিক আট আনায়।
৯৯. ভিখু কিভাবে তার পূর্বের স্বাস্থ্য ফিরে পায়?
উত্তর : ভিক্ষা করে সুখেে থেকে এবং পেট ভরে খেয়ে।
১০০. ভিখুর কখন ক্রোধের সীমা থাকে না?
উত্তর : কেউ ভিক্ষা না দিলে ।
১০১. ভিখু দোকানিকে মারতে উদ্যত হয় কেন?
উত্তর : এক পয়সার জিনিস কিনে কিছু ফাউ না দিলে ।
১০২. রাতে স্বরচিত বিছানায় কে ছটফট করে?
উত্তর : রাতে স্বরচিত বিছানায় ভিখু ছটফট করে।
১০৩. কে বাসির ঘরে গিয়ে উন্মত্ত জীব যাপন করতো?
উত্তর : ভিখু ।
১০৪. ভিখু জীবনে কতবার জেল খেটেছে?
উত্তর : একবার।
১০৫. ভিখু কত সময় জেল খেটেছে?
উত্তর : দুবছর।
১০৬. বাজারে ঢোকার পথে ভিখু ছাড়া আর কে ভিক্ষা করে?
উত্তর : পাঁচী ।
১০৭. ভিখু কার সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করে?
উত্তর : পাঁচীর সাথে ।
১০৮. পাঁচীর শরীরে কী সমস্যা ছিল?
উত্তর : হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত ঘা।
১০৯. ভিখু এবং পাঁচীর মধ্যে কে বেশি রোজগার করে?
উত্তর : পাঁচী ।
১১০. ভিখু কাকে বিয়ের প্রস্তাব করে?
উত্তর : পাঁচীকে।
১১১. বিনু মাঝি কলা বিক্রির পয়সায় বৌকে কী কিনে দেয়?
উত্তর : রুপার গোট ।
১১২. ভিখু পাঁচীকে কী খেতে দেয়?
উত্তর : কলা।
১১৩. পাঁচীর সাথে কার বিয়ে হয়?
উত্তর : বসিরের।
১১৪, ভিখুকে কে মেরে ফেলার হুমকি দেয়?
উত্তর : বসির ।
১১৫, বসিরকে মেরে ফেলার জন্যে ভিখু কী অস্ত্র ব্যবহার করে?
উত্তর : লোহার শিক চোখা করে ৷
১১৬, বসির-পাঁচীর আস্তানা/কুঁড়ে ঘর কোথায়?
উত্তর : শহরের বাইরে বস্তিতে।
১১৭. ভিথু বসিরকে কীভাবে হত্যা করে?
উত্তর : মাথার তালুর মধ্যে লোহার চোখা শিক ঢুকিয়ে।
১১৮. বসিরের সঞ্চয় কত ছিল?
উত্তর : টাকা এবং আধুলিতে একশত টাকার উপরে।
১১৯. ভিখু বসিরকে যে-রাতে হত্যা করে সে রাতে আকাশে কোন সময়ের চাঁদ উঠেছিল?
উত্তর : নওমীর (নবমীর) চাঁদ।
১২০ ডিথু পাঁচীকে কীভাবে নিয়ে যায়?
উত্তর : পিঠে চাঁপিয়ে ।
১২১. ভিখু এবং পাঁচীকে মূলত কোনযুগের দিকে যাত্রা করে?
উত্তর : প্রাগৈতিহাসিক যুগের দিকে।
১২২. প্রাগৈতিহাসিক কী?
উত্তর : (প্রাক্ + ইতিহাস + ষ্ণিক)- যা ইতিহাসের পূর্বেকার। মানুষ যে পর্যন্ত ইতিহাস জানতে পেরেছে তার পূর্বেকার ঘটনাকে
প্রাগৈতিহাসিক বলা হয়।
১২৩. ‘সাঙ্গাৎ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : বন্ধু; মিতা; সহচর।
১২৪. “ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ” এর অর্থ কী?
উত্তর : ভিক্ষার দ্বারা কিছুই হয় না।