রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । কবি-দার্শনিক-কিছু কথা বিশ্লেষণ ও আলোচনা

ড. সুশোভন মুখোপাধ্যায়।

“মনুষ্যত্বের অন্তহীন

প্রতিকারহীন পরাভবকে

চরম বলে বিশ্বাস করাকে আমি

অপরাধ মনে করি।”

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর / ১ বৈশাখ ১৩৪৮——

আমরা ‘রবীন্দ্রদর্শন’, ‘দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ’- এমন উক্তি প্রায়শই করে থাকি। একথা ঠিক গদ্যে ও পদ্যে অজস্র রচনা রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন। গদ্যে লিখিত বহু রচনার মধ্যে তার দার্শনিক মনের পরিচয় বেশি মেলে। কবিতায় বা পদ্যেও দর্শন আছে, কিন্তু তুলনায় কম। অত্মপরিচয়’-গ্রন্থে এবং আরাে নানা স্থলে তিনি স্পষ্টভাবেই বলেছেন, যে তিনি মূলত কবি এবং সেই তার আসল পরিচয়। “আমার সুদীর্ঘকালের কবিতা লেখার ধারাকে পশ্চাৎ ফিরিয়া যখন দেখি তখন ইহা স্পষ্ট দেখিতে পাই—একটা ব্যাপার যাহার উপরে আমার কোনাে কর্তৃত্ব ছিল না। যখন লিখিতেছিলাম তখন মনে করিয়াছি আমিই লিখিতেছি বটে, কিন্তু আজ জানি কথাটা সত্য নহে। কারণ সেই খন্ড কবিতাগুলিতে আমার সমগ্র কাব্যগ্রন্থের তাৎপর্য সম্পূর্ণ হয় নাই—সেই তাৎপর্যটি কী তাহা ত আমি পূর্বে জানিতাম না। এইরূপে পরিণাম না জানিয়া আমি একটির সহিত একটি কবিতা যােজনা করিয়া আসিয়াছি—তাহাদের প্রত্যেকের যে ক্ষুদ্র অর্থ কল্পনা করিয়াছিলাম, আজ সমগ্রের সাহায্যে নিশ্চয় বুঝিয়াছি, সে অর্থ অতিক্রম করিয়া একটি অবিছিন্ন তাৎপর্য তাহদের প্রত্যেকের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইয়া আসিয়াছিল।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘আত্মপরিচয়েরই অন্যত্র মন্তব্য করেছেন- “এমনি করিয়া প্রকৃতি ফুলের মধ্যে ফুলের চরমতা, ফলের। মধ্যে ফলের চরমতা রক্ষা করিয়া তাহাদের অতীত একটি পরিণামকে অলক্ষে অগ্রসর করিয়া দিতেছে। কাব্য রচনা সম্বন্ধেও সেই বিশ্ববিধানই দেখিতে পাই-অন্তত আমার নিজের মধ্যে তাহা উপলব্ধি করিয়াছি।” স্পষ্টতই নিজেকে তিনি কবি বলে প্রতিষ্ঠিত করতে নানা প্রসঙ্গ অবতারণা করেছেন ও বলেছেন “কিন্তু কবি তাে বৈজ্ঞানিক দার্শনিক ঐতিহাসিক বা রাষ্ট্রনীতিবিদ নহে। কবিত্ব মানুষের প্রথম বিকাশের লাবণ্য প্রভাত।” জীবনসায়াহ্নে ‘প্রান্তিক’ কাব্যের ১২ সংখ্যক কবিতায় কবি পুনরায় নিজের কবি আত্মার উদ্দেশ্যে লিখেছেন “শেষের অবগাহন সাঙ্গ করাে কবি, প্রদোষের/নির্মল তিমিরতলে।” সে তিনি কাব্যে বা বিভিন্ন সাহিত্য কর্মে যাই বলুন না কেন—দার্শনিকের মতাে মন নিয়ে সকল কিছুকে অনুসন্ধানের চেষ্টা তার রচিত সাহিত্যে যথেষ্টই আছে।

রবীন্দ্রনাথের ‘ধর্ম’, ‘মানুষের ধর্ম’,—এই দুই গ্রন্থে, ‘শান্তিনিকেতন’ নামক গ্রন্থের বক্তৃতাবলীতে, আত্মপরিচয়ে এবং “দি রিলিজিয়ান অফ ম্যান’ নামক গ্রন্থে মূলত দার্শনিক আলােচনাই চোখে পড়ে। বিশেষত দি রিলিজিয়ান অফ ম্যান গ্রন্থটি তাঁর তিনদিনব্যাপি বক্তৃতার ইংরাজী সংকলন—এক অসাধারাণ দার্শনিক তত্ত্ব জিজ্ঞাসার নির্যাস। রবীন্দ্রনাথ জীবনব্যাপি বহুগ্রন্থ পাঠ করে ও নিজস্ব জীবন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এবং পৈতৃক প্রভাবসূত্রে যে দার্শনিক মনটি গড়ে তুলেছিলেন—এই একটি মাত্র গ্রন্থে তা অত্যন্ত সুন্দর করে তিনি বলার চেষ্টা করেছেন।

পূর্বেই বলেছি যে তিনি আসলে কবিই। তাঁর কাব্যের মধ্যেও বহুস্থলেই দর্শনের কিছু কিছু তত্ত্বকথা ছড়িয়ে আছে। আবার একথাও অস্বীকার করা চলে না যে, তাঁর কিছু কিছু কাব্যগ্রন্থ আছে যেগুলির মূল প্রেরণা কোনাে না কোনাে দর্শন। তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’, ‘গীতিমাল্য’, ও ‘গীতালি’ এই কাব্যগ্রন্থেগুলি। যথাক্রমে ১৩১৭ ও ১৩২১ (শেষােক্ত দুই কাব্য) সালে প্রকাশিত হয়। এই সময়ে বা তার কিছু পরে ‘বলাকা’ কাব্য ও ‘নৈবেদ্য’ কাব্য প্রকাশিত হয়। ও গুলিতে রবীন্দ্রনাথের দার্শনিক মনই ফুটে উঠেছে।

শুধু কাব্যই নয়, তার নাটকগুলির মধ্যেও ‘দর্শন’-এর ভাব ব্যক্ত হয়েছে। তাঁর রূপক-সাংকেতিক নাটকগুলির বিষয়বস্তু তাে দার্শনিক-শ্রেণীর। প্রসঙ্গত রাজা, অরূপরতন, মুক্তধারা, অচলাতয়ন প্রভৃতির নাম করা চলে। “কবির সৃষ্টি এই সকল নাটকের দুইটি অর্থ। একটি উপাখ্যানের, অন্যটি উপাখ্যানের অতীত ভাবের। তাঁহার নাটকে দুইটি জগৎ-একটিকে বাইরে দেখি, অন্যটি অন্তরের মধ্যে উদ্ভাষিত হয়।” আর এই অন্তরের ভাবটি হল গৃঢ় তত্ত্বজিজ্ঞাসার মীমাংসা মাত্র। ‘রাজা’র আছে রূপের সাধনা থেকে অরূপ ভাবনায় উত্তরণের কথা, অরূপরতন’ও রূপে অরূপে দ্বন্দ্ব। মুক্তধারার অবরুদ্ধ মানবত্মার বন্ধনমুক্তির ব্যাকুলতা ব্যক্ত হয়েছে, ‘অচলায়তনে’ ভারতবর্ষের ঐতিহ্য জ্ঞানের সঙ্গে প্রেসের অপূর্ব বন্দনে মানষের চিত্তমুক্তির ভাবমন্ত্রটি প্রতিষ্ঠিত।

তাই একটু খানি গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদিকে কবিরূপে বিশ্ববাসীর মন জয় করে হয়েছিলেন বিশ্বকবি, অন্যদিকে ভারতবর্ষের প্রাচীন ঋষিদের ধ্যানলব্ধ সত্যবাণীকে নিজের মতাে করে বুঝে নূতনভাবে বিশ্ববাসীকে তিনি বােঝাতে চেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়—এই ভারতবেৰ্ষর বুকে মধ্যযুগে সে সকল মানবতাবাদী সাধক এবং সন্তদের বাণীর সঙ্গে তিনি পরিচিত হয়েছিলেন, ভগবান বুদ্ধের যে প্রেম ও অহিংসার মন্ত্রে তিনি নিজে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন, বৈষ্ণবদের তত্ত্ব ও দর্শনে এবং বাউলদের মানবতাবাদী দর্শনে তিনি আকৃষ্ট হয়েছিলেন-তাতে এই সকল ক্ষেত্র থেকেও তাঁর দার্শনিক মনটি পুষ্ট ও সমৃদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু তব একথা কোনােভাবেই অস্বীকার করা, যাবে না যে তিনি কবি।

হয়তাে তার রচনায় দর্শনের ছাপ যথেষ্ট। দার্শনিকের মন নিয়েও তিনি বহুস্থলেই দেখা দিয়েছেন। তবুও কোনাে একটি বিষয় নিয়ে অবিমিশ্র ভাবে তিনি দর্শনের জগৎ গড়ে তােলেন নি। পূর্বে আমরা যে সকল গ্রন্থের নাম উল্লেখ করেছি এবং যেগুলিতে তঁার দর্শন চিন্তা আছে বলেছি সেগুলিকেও গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে অন্যচিন্তাও মিলে আছে। এই মিশ্রণ আছে বলেই প্রকৃত দার্শনিকের সুশৃঙ্খল, সুবিন্যস্ত একটি বিষয় কেন্দ্রিক সুস্থির আলােচনা এগুলিতে নেই।

আসলে প্রকৃত দার্শনিকের থাকে গভীর দৃষ্টি। এর দ্বারা তিনি বস্তুর ভিতরের সত্যকে আবিষ্কার করতে চান। এর জন্য তার যে বিচারের পথ তার সঙ্গে বিজ্ঞানের বিচার-পন্থার পার্থক্য আছে। বিজ্ঞান স্থলে বিষয়কে নিয়ে গবেষণা করে, কিন্তু দর্শনের বিষয় বহুলাংশেই সূক্ষ ও জটিল—তাকে চিন্তা ও যুক্তির ওপর বেশী নির্ভর করতে হয়। দার্শনিকের দৃষ্টির সঙ্গে কবির দৃষ্টির যথেষ্ট পার্থক্য আছে। কবিরা কল্পনাপ্রবণ, আবেগপ্রবণ। যুক্তিতর্ক তাদের কাছে বড় নয়। কবির পথ অনুভূতির। আবেগ, কল্পনা ও অনুভূতিকে সত্য-উপলব্ধির যথার্থ মানদন্ড বলেছেন—যা কবিরাই বলেন-দার্শনিকেরা নন। আর এই কাণেই রবীন্দ্রদর্শনকে আমরা সুশৃঙ্খলভাবে পাই না।

আমরা জানি, শান্তিনিকেতনের প্রসিদ্ধ শিক্ষক শ্রী অজিত চক্রবর্তী ‘রবীন্দ্রনাথ’ নামে তার একখানি ছােট্ট পুস্তিকায় রবীন্দ্রনাথকে প্রথম দার্শনিক বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ভক্ত, সুপন্ডিত ও রসিক অজিত চক্রবর্তীর সেই বিশেষণকে অন্তর থেকে গ্রহণ করেছিলেন বলে মনে হয় না। একথা সত্য যে কেউ কেউ তাঁকে দার্শনিক বলে পরবর্তীকালে অভিহিত করেন নি—এমনটা নয়। ইংরেজী ১৯১৮ সালে আমাদের দেশের বিখ্যাত দার্শনিক রাধাকৃষ্ণণ যখন তাঁর বয়স ত্রিশ, তখন তিনি রবীন্দ্রনাথের দর্শন নিয়ে (The Philosophy of Rabindranath – Macmillon London.) আলোচনা করেছিলেন। ১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ভারতবর্ষের দার্শনিক সংঘের যে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তার সভাপতিত্ব করেছিলেন। আবার ১৯৩৬ সালে ‘Contemporary Indian Philosophy’ নাম দিয়ে গ্রন্থটি রাধাকৃষ্ণণের সম্পাদনাতেই প্রকাশিত হয়েছিল। এতে রবীন্দ্রনাথের একটি ইংরেজী প্রবন্ধ ছিল। পরে এই প্রবন্ধটি ‘The Religion of an Artist’ নামে স্বতন্ত্র পুস্তিকারূপে প্রকাশিত হয়।

অনেক পরে লব্ধপ্রতিষ্ঠাদর্শন ও সংস্কৃতের অধ্যাপক ড. সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত The philosophy of Rabindranath’ নাম দিয়ে একটি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। তারও পরে বাংলাভাষায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা অধ্যাপক ও উপাচার্য ড. হিরন্ময় বন্দোপাধ্যায় ‘রবীন্দ্রদর্শন’ নাম দিয়ে একটি মূল্যবান গ্রন্থ লেখেন।

যাই হােক, এ বিষয়ে আমাদের শেষকথা হস যে রবীন্দ্রনাথ দর্শনশাস্ত্রের একনিষ্ঠ পাঠক ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন না—যদিও দর্শন শাস্ত্রের প্রতি তার যথেষ্ট অনুরাগ ছিল। অতিগভীর চিন্তাশক্তি, অতিতীক্ষ অনুভূতি এবং অপূর্ব সৃজনশীল কল্পনাশক্তি তাঁর ছিল। তার অনুভূতির ও কল্পনার সঙ্গে দর্শনের অনেকটুকরাে টুকরাে তত্ত্বকথা এবং ধর্মচিন্তার সঙ্গেও দর্শনের অনেক গভীরতর ভাবার্থ যে মিশে আছে—এতে কোনাে সন্দেহ নেই। এমনটি দৃষ্টান্ত দিয়ে বিষয়টিকে স্পষ্ট করা যায়। ‘এই বিশ্বের গঠন কেমন?’—নিয়ে দার্শনিকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে। এর জবাবে বলা যায় তা একই বাস্তুখন্ডের বিকাশ কিংবা বলা যায় তা একই বস্তুর বিকাশ নয়। দার্শনিক ঐ প্রশ্নের উত্তর পূর্বে যা দেওয়া হয়েছে বা এখন যা হতে পারে তা বলবেন। প্রশ্নটির পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তগুলাে তিনি জানবেন, তারপর চিন্তা করে যুক্তি দিয়ে তিনি কোনটি যথার্থ উত্তর জানাবেন। দার্শনিকের এই পথে রবীন্দ্রনাথ তাে চলেন নি। তাঁর আবেগ কল্পনা ও অনুভূতিকে সম্বল করেই যা কিছু বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। কোন মত তাঁর ভালাে লাগে তাই তিনি বলবেন। রবীন্দ্রনাথের অনেক কবিতার বা কতকগুলি পরপর লেখা কবিতার মূলে দর্শনের প্রভাব আছে দেখতে পাই। কিন্তু এ কবিতাগুলির আশ্রয়ে একটি সম্পূর্ণ দার্শনিক মতকে খুঁজে পাওয়া, যাবে না।

তবুও আমাদের এই উক্তি সম্পূর্ণরূপে সত্য নয়,তার ‘হিবার্ট লেকচার’গুলি সম্পর্কে। এখানে দেখি—রবীন্দ্রনাথকে যখন তিনদিন ধরে বক্তৃতা করতে বলা হয়, তখন তাঁর দার্শনিক মতকে সুন্দরভাবে বিন্যস্ত তাঁকে করতেই হয়েছে। নিজে কবি হলেও কবির কল্পনা অনুভূতি ও আবেগ নিয়ে তিনি এই বক্তৃতাগুলি করেন নি। সমস্ত জীবন ব্যাপী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নানা অনুভূতির মধ্যদিয়ে যে দার্শনিক সত্যগুলিকে মনপ্রাণ দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন সেগুলিকে সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্ত করে তিনি দশটি অধ্যায়ে প্রবন্ধগুলি পাঠ করেছিলেন। তাঁর কবিতার মধ্যে উপনিষদের তত্ত্বকথা, জীবনদেবতার তত্বকথা,সীমা-অসীমের নিগূঢ় রহস্যকথা বা নাটকের বিচিত্র গভীর ভাবগুলি বিছিন্ন-অবিন্যস্ত। তারই সুসমঞ্জসশৃঙ্খলা দেখা যায় The Religion of Man গ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত হিবার্ট লেকচারে বা ‘মানুষের ধর্ম’ গ্রন্থে সম্বলিত কমলা বক্তৃতা গুলিতে। এ বিষয়ে দর্শনশাস্ত্রের একালের একজন খ্যাতনামা অধ্যাপকের বক্তব্য উদ্ধৃত করা যেতে পারে। “সেই কারণেই সেখানে (The Religion of Man-গ্রন্থে) যা পাই, তাকে তুলনায় একটি পূর্ণাবয়ব দার্শনিক রচনা বলা যেতে পারে। তবে দেখা যাবে সেই পুস্তকের অনতিপ্রশস্ত বক্ষে তাঁর দর্শনের সকল ভাবধারাগুলি আমরা পাব না।” (রবীন্দ্রদর্শন, হিরন্ময় বন্দোপাধ্যায় ৪র্থ সংস্করণ ১৩৮৫, পৃষ্ঠা-৯) তাঁর বক্তব্য অবশ্যই যুক্তিযুক্ত। উক্ত গ্রন্থ রবীন্দ্রচিন্তার পরিণত ফল হলেও সবটুকু নয়-খন্ডাংশ মাত্র। তাই রবীন্দ্রনাথ আদৌ দার্শনিক না কবি এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ নয়। শুধু একথা বলা চলে তিনি কবি অথচ এক ব্যতিক্রমী কবি-যার মধ্যে তা জীবন ও জগৎ সম্পর্কিত শ্রেষ্ঠ বিস্তার বিকাশ প্রত্যক্ষ।