তৃতীয় অধ্যায়, ইবনে সিনা

ক-বিভাগ

ইবনে সীনা কে ছিলেন?
উত্তর : ইবনে সীনা ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী।
ইবনে সীনা কত সনে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ইবনে সীনা ৯৮০ সনে জন্মগ্রহণ করেন।
ইবনে সীনা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ইবনে সীনা বুখারার নিকটবর্তী ‘আফসানা’ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ইবনে সিনার প্রকৃত নাম কী?
উত্তর : আবু আলী আল হোসাইন ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সীনা।
ল্যাতিন ভাষায় ইবনে সীনাকে কী বলা হয়?
উত্তর : ল্যাতিন ভাষায় ইবনে সীনাকে আভিসেনা (Avicena) বলা হয়।
ইবনে সীনার পিতার নাম কী?
উত্তর : ইবনে সীনার পিতার নাম আবদুল্লাহ।
ইবনে সীনার মাতার নাম কী?
উত্তর : ইবনে সীনার মাতার নাম সিতারা।
ইবনে সীনার পিতা কী ছিলেন?
উত্তর : ইবনে সীনার পিতা বুখারার শাসনকর্তা ছিলেন।
কৈশোরে ইবনে সীনা কী উপাধিতে ভূষিত হন?
উত্তর : কৈশোরে ইবনে সীনা ‘হাকিম’ উপাধিতে ভূষিত হন।
কত বছর বয়সে ইবনে সীনা চিকিৎসাশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন?
উত্তর : ইবনে সীনা ১৬ (ষোল) বছর বয়সে চিকিৎসাশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন।
ইবনে সীনা কত বছর বয়সে কোন সুলতানের রাজ চিকিৎসক নিযুক্ত হন?
উত্তর : ইবনে সীনা ষোল বছর বয়সে সুলতান নূহ ইবনে মানসুরের রাজ চিকিৎসক নিযুক্ত হন।
ইবনে সীনা পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : ইবনে সীনা পেশায় ছিলেন চিকিৎসক।
অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য ইবনে সীনা কী উপাধি লাভ করেন?
উত্তর : অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য ইবনে সীনা ‘আল- শেখ আর রইস’ তথা জ্ঞানীকুল শিরোমণি উপাধি লাভ করেন।
কাকে জ্ঞানীকূল শিরোমণি বলা হয়?
উত্তর : ইবনে সীনাকে বলা হয় জ্ঞানীকুল শিরোমণি ।
ইবনে সীনা কী কী বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জন করে?
উত্তর : ইবনে সীনা ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি, গণিত, জ্যামিতি, চিকিৎসা, ফার্মেসি প্রভৃতি বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন।
ইবনে সীনা কত খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন?
উত্তর : ইবনে সীনা ১০৩৭ খ্রিস্টাব্দে ৫৭ বছর বয়সে হামাদানে ইন্তেকাল করেন।
ইবনে সীনা কতকগুলো গ্রন্থ রচনা করেন?
উত্তর : ইবনে সীনা একশতকেরও অধিক গ্রন্থ রচনা করেন ।
‘মুসলিম মনীষা’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘মুসলিম মনীষা’ গ্রন্থের রচয়িতা ইবনে সীনা
দর্শন সম্পর্কে ইবনে সীনার একটি গ্রন্থের নাম লিখ।
উত্তর : দর্শন সম্পর্কে ইবনে সীনার একটি প্রামাণ্য গ্রন্থ হচ্ছে ‘কিতাবুশ শিফা’।
‘কানুন ফিত তিব্ব’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘কানুন ফিত তিব্ব’ গ্রন্থের রচয়িতা ইবনে
‘কানুন ফিত তিব্ব’ ইবনে সীনার কী জাতীয় গ্রন্থ?
উত্তর : ইবনে সীনার ‘কানুন ফিত তিব্ব’ চিকিৎসাশাস্ত্রীয় গ্রন্থ ।
ইবনে সীনার কোন গ্রন্থখানা চিকিৎসা বিজ্ঞানের বাইবেল হিসেবে খ্যাত?
সিনা।
উত্তর : ইবনে সীনার ‘কানুন ফিত তিব্ব’ গ্রন্থখানা চিকিৎসা বিজ্ঞানের বাইবেল হিসেবে খ্যাত।
ইবনে সীনার তিনটি গ্রন্থের নাম উল্লেখ কর।
উত্তর : ১. সাদিদিয়া; ২. ওয়ুন আল হিকমত; ৩. কিতাবুল ইনসাফ।
ইবনে সীনার মানস প্রকৃতির বর্ণনা দাও।
উত্তর : ইবনে সীনা মননের গভীরতা, চিন্তাশক্তির বিশালতা ও বিশ্বজনীন উদার দৃষ্টিভঙ্গির লোক ছিলেন।
আল-কিন্দি ও ফারাবীর কোন অসমাপ্ত কাজকে ইবনে সীনা সমাপ্ত করেন?
উত্তর : আল-কিন্দি ও ফারাবী ইসলাম শিক্ষার সাথে এরিস্টটলের দর্শনের সামঞ্জস্য বিধানের যে কাজ শুরু করেন,
ইবনে সীনা তা সুসম্পন্ন করেন।
ওলিয়ারি ইবনে সীনাকে কী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তর : ওলিয়ারি ইবনে সীনাকে সমস্ত জগতের সংক্ষিপ্ত (Compendium) লেখকদের অগ্রদূত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ইবনে সীনা তাঁর যুগের কী ছিলেন?
উত্তর : ইবনে সীনা ছিলেন তাঁর যুগের সত্যিকারের প্রতিনিধি।
ইবনে সীনার মতে, দর্শন ও ধর্ম কী?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে, দর্শন ও ধর্ম পরস্পর স্বতন্ত্র।
ইবনে সীনার মতে দর্শনের মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে প্রজ্ঞার সাহায্যে জীবন জগতের পরম সমস্যাবলির ব্যাখ্যা দান করাই দর্শনের মূল লক্ষ্য।
কিসের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ জ্ঞান পাওয়া যায়?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে, একমাত্র দর্শন চর্চার মাধ্যমেই পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ জ্ঞান পাওয়া যায়।
প্রত্যেক মানুষের দর্শন অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর : দর্শনচর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ জ্ঞান পাওয়া যায় বিধায় প্রত্যেক মানুষের জন্য দর্শন অনুশীলন অতীব প্রয়োজন।
ইবনে সীনার দার্শনিক মতবাদ কী কী শিরোনামে আলোচনা করা যায়?
উত্তর : ইবনে সীনার দার্শনিক মতবাদসমূহ যুক্তিবিদ্যা, অধিবিদ্যা, মনোবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা ও বিবর্তনবাদ
শিরোনামে আলোচনা করা যায়।
ইবনে সীনা দর্শনশাস্ত্রকে কোন কোন বিদ্যায় বিভক্ত করেন?
উত্তর : ইবনে সীনা দর্শন শাস্ত্রকে যুক্তিবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা ও অধিবিদ্যায় বিভক্ত করেন।
ইবনে সীনার মতে, দর্শনশাস্ত্রের আলোচ্যবিষয় কী?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে, মানসিক, জাগতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ই হচ্ছে দর্শনশাস্ত্রের আলোচ্যবিষয়।
ইবনে সীনা কাকে সকল অস্তিত্বের বিজ্ঞান বলেছেন?
উত্তর : ইবনে সীনা দর্শনশাস্ত্রকে সকল অস্তিত্বের বিজ্ঞান বলেছেন।
কোন বিষয়টি সমুদয় বিজ্ঞানের মূলনীতি আলোচনা করে?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে, দর্শনশাস্ত্র সমুদয় বিজ্ঞানের মূলনীতি আলোচনা করে।
ইবনে সীনার মতে, অস্তিত্ব কয় প্রকার?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে, অস্তিত্ব তিন প্রকার।
অস্তিত্বের প্রকারত্রয় কী কী?
উত্তর : ১. মানসিক অস্তিত্ব; ২. জাগতিক অস্তিত্ব; ৩. আধ্যাত্মিক অস্তিত্ব।
যুক্তিবিদ্যা কোন অস্তিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে?
উত্তর : যুক্তিবিদ্যা মানসিক অস্তিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে।
পদার্থবিদ্যা কোন অস্তিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে?
উত্তর : পদার্থবিদ্যা জাগতিক অস্তিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে।
অধিবিদ্যা কোন অস্তিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে?
উত্তর : অধিবিদ্যা আধ্যাত্মিক অস্তিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে।
যুক্তিবিদ্যা কোন কোন ধারণা সম্বন্ধে আলোচনা করে?
উত্তর : যুক্তিবিদ্যা মানসিক ধারণাসমূহ সম্বন্ধে আলোচনা করে।
ধারণাসমূহ কোথা থেকে বিমূর্তীকৃত?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে, ধারণাসমূহ বাস্তব অস্তিত্ব থেকে বিমূর্তীকৃত ।
গাণিতিক ধারণাসমূহে কিসের সাহায্য প্রদর্শন ও গঠন করা যায়?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে, গাণিতিক ধারণাসমূহ অভিজ্ঞতার সাহায্যে বা অভিজ্ঞতায় প্রদর্শন ও গঠন করা যায় ।
ইবনে সীনা যুক্তিবিদ্যাকে কী বিজ্ঞান বলেছেন?
উত্তর : ইবনে সীনা যুক্তিবিদ্যাকে নিয়ামক নীতিসমূহের বিজ্ঞান বলেছেন।
যুক্তিবিদ্যায় ইবনে সীনা কোন পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছেন?
উত্তর : যুক্তিবিদ্যায় ইবনে সীনা অবরোহ ও আরোহ পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছেন।
যুক্তিবিদ্যা কী নিরসন করে?
উত্তর : যুক্তিবিদ্যা প্রত্যক্ষভাবে ভ্রান্তি নিরসন করে।
যুক্তিবিদ্যা পরোক্ষভাবকে কিসের সন্ধান দেয়?
উত্তর : যুক্তিবিদ্যা পরোক্ষভাবে সত্যের সন্ধান দেয়।
সংজ্ঞা কিসের ভিত্তিস্বরূপ?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে, সংজ্ঞা নির্ভুল চিন্তার ভিত্তিস্বরূপ।
ইবনে সীনার মতে, সংজ্ঞা কিসের থেকে পৃথক?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে, সংজ্ঞা বর্ণনা (Description) থেকে পৃথক ।
বর্ণনা (Description) কী বিষয়ে আলোচনা করে?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে, বর্ণনা অবান্তর ও অপ্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করে।
কারা যুক্তিবিদ্যার সাহায্য ছাড়া প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম?
উত্তর : ঐশী প্রেরণালব্ধ ব্যক্তিরা যুক্তিবিদ্যার সাহায্য ছাড়া প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম।
কাদের জ্ঞান স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রত্যক্ষ?
উত্তর : ঐশী প্রেরণালব্ধ ব্যক্তিদের জ্ঞান স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রত্যক্ষ।
সার্বিক ধারণা কার মানসলোকে অস্তিত্বশীল?
উত্তর : সার্বিক ধারণা খোদার মানসলোকে অস্তিত্বশীল।
খোদার জ্ঞান কী?
উত্তর : ইবনে সীনার মতে, সার্বিক ধারণাসমূহই হচ্ছে খোদার জ্ঞান ।

খ-বিভাগ

প্রশ্ন॥১।ইবনে সিনার পরিচয় দাও।
প্রশ্ন।২।ইবনে সিনার দর্শন সংক্ষেপে তুলে ধর।
প্রশ্ন।৩।যুক্তিবিদ্যায় ইবনে সিনার অবদান কী?
প্রশ্ন॥৪॥মনোবিদ্যায় ইবনে সিনার অবদান কী?
প্রশ্ন॥৫॥ইবনে সিনার অধিবিদ্যা সংক্ষেপে লেখ।
প্রশ্ন।৬।ইবনে সিনা বর্ণিত উদ্ভিদ আত্মা ও মানবাত্মার প্রকৃতি কিরূপ?
প্রশ্ন॥৭॥সত্তা সম্পর্কে ইবনে সিনা ও মুতাজিলা মতবাদের তুলনা কর।
প্রশ্ন।৮।অস্তিত্ব সম্পর্কে ইবনে সিনার মতবাদ কী?
প্রশ্ন।৯।ইবনে সিনার আত্মাতত্ত্ব সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১০।মুসলিম দর্শনে ইবনে সিনার অবদান সংক্ষেপে মূল্যায়ন কর।
প্রশ্ন।১১।ন্যায় বা সহানুমান ও বিশেষ-সার্বিক সম্পর্কে ইবনে সিনার মত কী?
প্রশ্ন।১২।ইবনে সিনা কিভাবে দেখিয়েছেন যে, যুক্তিবিদ্যা গণিত ও বিজ্ঞানের চেয়ে উচ্চতর?
প্রশ্ন।১৩।সংক্ষেপে ইবনে সিনার দর্শনের সাথে কান্ট ও ডেকার্টের দর্শনের কিরূপ সাদৃশ্য রয়েছে?
প্রশ্ন।১৪।সংক্ষেপে ইবনে সিনার দর্শনের সাথে কান্ট ও বার্গসোঁর দর্শনের তুলনা কর।
প্রশ্ন।১৫।ইবনে সিনা কর্তৃক বর্ণিত জীবাত্মার ধারণাটি সংক্ষেপে লেখ ।
প্রশ্ন।১৬।ইবনে সিনার যুক্তিবিদ্যা ও মনোবিদ্যা সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ ।
প্রশ্ন।১৭।ইবনে সিনার মনোবিদ্যা ও অধিবিদ্যা সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।

গ-বিভাগ

প্রশ্ন।১।মুসলিম দর্শনে ইবনে সিনার অবদান আলোচনা কর ।
প্রশ্ন।২।ইবনে সিনার আত্মাতত্ত্ব ব্যাখ্যা কর ও তোমার মন্তব্য দাও।
প্রশ্ন।৩।অধিবিদ্যা সম্পর্কে ইবনে সিনার মত তোমার নিজের ভাষায় লেখ।
প্রশ্ন।৪।ইবনে সিনার যুক্তিবিদ্যা আলোচনা কর।
প্রশ্ন।৫।ইবনে সিনার সাথে ডেকার্ট, ইমানুয়েল কান্ট ও বার্গসোঁর তুলনামূলক আলোচনা কর।