প্রকল্পের প্রকারভেদ লিখ

অথবা, প্রকল্পের শ্রেণিবিভাগ লিখ।
অথবা, প্রকল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর।
অথবা, প্রকল্প কত প্রকার ও কী কী?
অথবা, প্রকল্পের শ্রেণিবিভাজন কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রকল্পের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞান ও সামাজিক গবেষণায় প্রকল্পের ব্যবহার অতি ব্যাপক। অর্থাৎ যে কোন বিষয়বস্তু নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে হলে কতকগুলো বিধিবদ্ধ নিয়ম
মেনে চলতে হয়। কেননা বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে সার্বজনীনভাবে বোধগম্য করার জন্য এসব নিয়মকানুনের বিকল্প নেই।এসব নিয়মের অন্যতম হচ্ছে প্রকল্পের ব্যবহার। তাছাড়া প্রথাগত ব্যবহার ছাড়াও পরীক্ষণ বা গবেষণা পরিচালনা করা সম্ভব।
প্রকল্পের প্রকারভেদ : মনোবিজ্ঞানের গবেষণায় প্রকল্প অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রকল্পের কার্যাবলিকে বিবেচনা করে প্রকল্পকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
ক. বর্ণনামূলক প্রকল্প : প্রকল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাগ হলো বর্ণনামূলক প্রকল্প। যখন কোন প্রকল্পের প্রকৃতি বর্ণনামূলক হয় তখন তাকে বর্ণনামূলক প্রকল্প বলা হয়। এক্ষেত্রে প্রকল্পটি কোন বস্তু, ঘটনা, ব্যক্তি ইত্যাদি সম্বন্ধে বর্ণনা উপস্থাপন করে থাকে।
খ. সম্পর্কমূলক প্রকল্প : যখন দুটি চলের মধ্যকার সম্পর্ককে সরাসরি উপস্থাপন করার মাধ্যমে প্রকল্প তৈরি করা হয় তাকে সম্পর্কমূলক প্রকল্প বলা হয়। এখানে প্রকল্পটির মধ্যে যে সম্পর্কটি আছে সেই সম্পর্কটিই হচ্ছে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
উপর্যুক্ত দুটি প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে প্রকল্পকে আরো কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :
১. পরিসংখ্যানিক প্রকল্প : যে প্রকল্প পরিসংখ্যানিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা সংখ্যাতাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয় তাকে পরিসংখ্যানিক প্রকল্প বলা হয়।
২. সাধারণ প্রকল্প : এমন কতকগুলো প্রকল্প নিয়ে গবেষণকগণ কাজ করেন যেগুলোর গঠনে কোন বিশেষ নিয়ম মেনে চলতে হয় না বা তেমন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় না। এটিই হলো সাধারণ প্রকল্প।
৩. জটিল প্রকল্প : যখন কোন প্রকল্প দুটি চলের পরিবর্তে দুই এর অধিক চল নিয়ে কাজ করে তখন সেই প্রকল্পকে বলা হয় জটিল প্রকল্প।
৪. নাস্তি প্রকল্প : নাস্তি হলো একটি বিশেষ ধরনের প্রকল্প। এ প্রকল্পের ভাষা বা ধারণা হলো ধনাত্মক। পরীক্ষণ বা গবেষণার মাধ্যমে উক্ত ধনাত্মকভাবে ঋণাত্মকভাবে প্রমাণ করাই হলো গবেষণার মূল লক্ষ্য।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রকল্পকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রকল্পকে যেভাবেই ভাগ করা হোক না কেন এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো যথাযথভাবে রক্ষা করে পরীক্ষণ বা গবেষণা পরিচালনা করাই গবেষকের কাজ। কেননা একটি স্বার্থক গবেষণা করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী ও বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।