অথবা, পরিমিত ব্যবধানের উপকারিতাসমূহ তুলে ধর
অথবা, পরিমিত ব্যবধানের গুণসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : বিস্তার পরিমাপের আদর্শ পরিমাপক হচ্ছে পরিমিত ব্যবধান বা Standard deviation. একটি আদর্শ বিস্তার পরিমাপক হতে হলে যেসব গুণাত্মক বৈশিষ্ট্যাবলি থাকা প্রয়োজন তার প্রায় সবগুলোই পরিমিত ব্যবধানে বিদ্যমান । বিস্তার পরিমাপের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতাকে স্বার্থকভাবে যে পরিমাপকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায় সেটি হলো পরিমিত ব্যবধান। একিট আদর্শ পরিমাপক হিসেবে এর বহু সুবিধা রয়েছে।
পরিমিত ব্যবধানের সুবিধা : পরিমিত ব্যবধান বিস্তার পরিমাপের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপক। ভেদাঙ্কের ধনাত্মক বর্গমূলকে বলা হয় পরিমিত ব্যবধান। পরিমিত ব্যবধানের সুবিধা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
সুবিধা : নিম্নে পরিমিত ব্যবধানের কতিপয় সুবিধা উল্লেখ করা হলো :
i. পরিমিত ব্যবধান সুসংজ্ঞায়িত ও সহজবোধ্য ।
ii. এটি তথ্যের বিস্তার পরিমাপে অধিক গ্রহণযোগ্য, প্রতিনিধিত্বশীল ও স্থায়ী পরিমাপ কারণ এটি তথ্যের সকল মানের উপর নির্ভর করে নির্ণয় করা হয়।
iii. এটি বিস্তারের অন্যান্য পরিমাপকের তুলনায় নমুন। তারতম্য দ্বারা কম মাত্রায় প্রভাবিত হয়ে থাকে।
iv. এতে গাণিতিক ও বীজগাণিতিক প্রক্রিয়া সহজে প্রয়োগ করা যায়। এজন্য পরিমিত ব্যবধানের ব্যবহার উচ্চতর পরিসংখ্যানে ব্যাপকভাবে করা হয়।
v. দুই বা ততোধিক তথ্যসারির সম্মিলিত পরিমিত ব্যবধান নির্ণয় করা যায় । vi. দুই বা ততোধিক তথ্যসারি একই এককে প্রকাশিত হলে এদের মধ্যে বিদ্যমান বিস্তৃতি তুলনা না করতে
পরিমিত ব্যবধান নির্ণয় করা হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বিস্তার পরিমাপের একটি আদর্শ পরিমাপক হিসেবে পরিমিত ব্যবধানের নানাবিধ সুবিধা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কোন বিষয় নেই যার ইতিবাচকের পাশাপাশি নেতিবাচক কিছু বিষয়ও পরিলক্ষিত হয়। তেমনি জটিল পদ্ধতি, সময় সাপেক্ষ, সহজে বোধগম্য না হওয়া, প্রান্তিক মান দ্বারা অনেক বেশি প্রভাবিত হওয়া এবং তথ্যরাশির কোন এক বা একাধিক মানের অনুপস্থিতির কারণে বিস্তার নির্ণয় করতে না পারা
ইত্যাদি অসুবিধাগুলোও পরিমিত ব্যবধানের ক্ষেত্রে বিধ্যমান ।