অথবা, প্রতিক্রিয়ার সময়কাল কী?
অথবা, প্রতিক্রিয়ার সময়কালের সংজ্ঞা দাও।
অথবা, প্রতিক্রিয়ার সময়কাল কাকে বলে?
অথবা, প্রতিক্রিয়ার সময়কাল সম্পর্কে লিখ।
উত্তর।।ভূমিকা : মনোবিজ্ঞানে ব্যবহৃত পদ্ধতিসমূহের মধ্যে পরীক্ষণ পদ্ধতি সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত। মূলত পরীক্ষণ পদ্ধতির সাহায্যে মনোবিজ্ঞান থেকে পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটেছে। পরীক্ষণ পরিচালনা করতে গেলে আচরণের কতকগুলো দিক অনুসরণ করতে হয়। এই দিকগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সময়কাল অন্যতম।
প্রতিক্রিয়ার সময়কাল। উদ্দীপকের উপস্থাপনের সময় থেকে আরম্ভ করে এবং প্রতি প্রতিক্রিয়ার যে সময় ব্যয় হয়,তাকে প্রতিক্রিয়ার সময়কাল হিসেবে অভিহিত করা হয়। প্রতিক্রিয়ার সময়কাল নির্ণয়ের মাধ্যমে পরীক্ষণ পাত্রের প্রতিক্রিয়ার দ্রুততার, শিক্ষণের শক্তি, মনোযোগ ইত্যাদি পরিমাপ করতে পারি। প্রতিক্রিয়ার সময় কম হলে বুঝা যাবে যে,
পরীক্ষণপাত্র উদ্দীপকের প্রতি দ্রুত প্রতিক্রিয়া করেছে। প্রতিক্রিয়ার সময় নিরূপণ করা পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন উদ্দীপকের মধ্যে আমরা কোনটির প্রতি দ্রুত প্রতিক্রিয়া করতে পারি। আবার কোনটির প্রতি আস্তে প্রতিক্রিয়া করতে পারি। উদারণহণস্বরূপ, একজন পরীক্ষক জানতে আগ্রহী হতে পারেন যে, পরীক্ষণ পাত্র কোন রং এর বাতির প্রতি কত তাড়াতাড়ি প্রতিক্রিয়া করে। এজন্য পরীক্ষক পরীক্ষণ পাত্রের সামনে বিভিন্ন রং (লাল, সবুজ, হলুদ) এর বাতি উপস্থাপন করতে পারেন। এখন পরীক্ষণ পাত্রকে নির্দেশ দেয়া হলো যখনই তার সামনে বাতি জ্বলে উঠবে তখনই তিনি টেলিগ্রাফিক চাবিতে চাপ দিবেন। টেলিগ্রাফিক চাবিতে চাপ দেয়ার সাথে সাথে বাতি নিভে যাবে এবং প্রতিক্রিয়ার সময় যন্ত্রে লিপিবদ্ধ হবে। এখানে বাতি উপস্থাপনের ঘটনা হলো উদ্দীপক আর আলো দেখে টেলিগ্রাফিক চাবিতে চাপ
দেয়ার ঘটনা হলো প্রতিক্রিয়া।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মানুষের আচরণ বিভিন্ন ধরনের। এ আচরণকে সব পরিবেশে একইভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয় না। বিভিন্ন পরিবেশে মানুষ বিভিন্ন ধর্মী আচরণ করে বলে মনোবিজ্ঞানীরা পরীক্ষণ পরিচালনার সময় সেসব বিষয়ের প্রতি খেয়াল রেখে পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করে থাকেন।