অথবা, ঘটনা অনুধ্যান কী? ঘটনা অনুধ্যানের বৈশিষ্ট্যগুলো কী?
অথবা, কেস স্টাডির সংজ্ঞা দাও। কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ।
অথবা, কেস স্টাডির পরিচয় দাও। কেস স্টাডির প্রকৃতিগুলো আলোচনা কর।
অথবা, কেস স্টাডি কাকে বলে? কেস স্টাডির প্রকৃতিগুলো কী কী?
অথবা, কেস স্টাডির ধারণা দাও। ঘটনা অনুধ্যানের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী? বর্ণনা কর।
উত্তর।। ভূমিকা : তথ্যসংগ্রহের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো ঘটনা অনুধ্যান (Case Study)। ব্যক্তি সমাজকর্মে এই পদ্ধতিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া সামাজিক সমস্যার উদ্ভব ও কার্যকারণ সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য এই পদ্ধতি বিশেষ উপযোগী। এই পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হলো নির্দিষ্ট সমস্যার স্বরূপ উদ্ঘাটন করে তার সুষ্ঠু সমাধান
পরিকল্পনায় সহায়তা করা।
কেস স্টাডির সংজ্ঞা P. V. Young এর মতে, “Case study is a method of exploring and analysing the life of social unit be that unit a person, a family, institution, culture, group, or even an entire community.” অর্থাৎ, ঘটনা অনুধ্যান হলো সামাজিক এককের জীবনধারা উদঘাটন ও বিশ্লেষণের একটি
পদ্ধতি সেই একক একজন ব্যক্তি, একটি পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক দল বা একটি সমষ্টি হতে পারে।
Part G. R. Adams and J. D. Schavanevelt এর মতে, “A case study is confined to one or a few subjects (cases) the focus is usually broad in the type and quantities of variables that can be studied, and the approach tends to be in depth and comprehensive.” অর্থাৎ, ঘটনা অনুধ্যান একটি কিংবা স্বল্পসংখ্যক ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ সাধারণ অনুসন্ধানযোগ্য চলকসমূহের ধরন ও পরিমাপের উপর আলোকপাত করা হয় এবং এ উপায় মারাত্মক ও গভীরতর অনুসন্ধানমুখী।উপর্যুক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায়, কেস স্টাডি মাধ্যম বা ঘটনা অনুধ্যান এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ব্যক্তি,দল, পরিবার, প্রতিষ্ঠান, কিংবা সমষ্টি সম্পর্কে বিশেষভাবে অনুসন্ধান করা হয় এবং এর মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়া যায়।
কেস স্টাডি বা ঘটনা অনুধ্যানের বৈশিষ্ট্য :
নিম্নে কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো:
১. সামাজিক গবেষণায় ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি অধিকমাত্রায় ফলদায়ক।
২. ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতিতে গবেষণা সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে গভীর ও বিস্তৃতভাবে জানার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়।
৩. এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি একজন ব্যক্তি, একটি দল, একটি পরিবার, একটি সমষ্টি কিংবা একটি প্রতিষ্ঠানকে একক হিসেবে গণ্য করে।
৪. ঘটনা অনুধ্যানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি সামাজিক গবেষণার একটি বর্ণনামূলক, উদঘাটনমূলক ও অনুসন্ধানমূলক বিশেষ কৌশল।
৫. এই পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তি, দল, প্রতিষ্ঠান বা সমষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যের গভীরতা যাচাই করা যায়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তথ্যানুসন্ধানের ক্ষেত্রে ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি অধিক উপযোগী। কারণ এই পদ্ধতির দ্বারা ব্যক্তি, দল, পরিবার ও সমষ্টি সম্পর্কে ঘটনা অনুধ্যানের বস্তুনিষ্ঠভাবে তথ্যসংগ্রহ করা যায় এবং সেগুলো বিশ্লেষণপূর্বক বাস্তব ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োগ করা হয়।