উত্তর : ভূমিকা : দাউদ খান কররানীর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গের স্বাধীন সত্তা বিলুপ্ত হয় এবং বঙ্গে দাউদ খানের পতনের ফলে আফগানদের প্রায় পঞ্চাশ বছরের সার্বভৌমত্বের অবসান ঘটে। মূলত আকবরের আমলেই বঙ্গে মুঘলরা চূড়ান্ত আধিপত্য বিস্তার করে। আকবরের আমলে বঙ্গদেশে যে কয়েকজন শাসক শাসন করে ছিলেন তাদের মধ্যে খান-ই-জাহান অন্যতম। নিম্নে খান-ই-জাহানের পরিচয় তুলে ধরা হলো :
→ খান-ই-জাহানের পরিচয় : খান-ই-জাহানের নাম ছিল হুসাইন কুলি। বঙ্গদেশের শাসক মুনিম খানের মৃত্যুর পর হুসাইন কুলি ১৫৭৫ সালে খান-ই-জাহান উপাধি গ্রহণ করে বঙ্গদেশের সুবাদার নিযুক্ত হন। তিনি টোডরমলের সাহায্যে রাজমহলের
যুদ্ধে দাউদ খানকে পরাজিত করেন। আহত সেনাপতিদ্বয় কালাপাহাড় ও কুতলু লোহানীসহ পলায়নকালে দাউদ খান ধৃত
ও নিহত হন। রাজমহলের যুদ্ধের ফলে বাংলার আফগান স্বাধীন বংশের লোপ পায় এবং মুঘল শাসনের সুত্রপাত হয়। এভাবে
স্বীয় যোগ্যতা ও বুদ্ধিমত্তার দ্বারা খান-ই-জাহান বাংলায় মুঘল শক্তিকে অনেকটা সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করে ১৫৭৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর পরলোক গমন করেন।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলায় মুঘল শাসকদের মধ্যে যে কয়েকজন শাসক অনবদ্য অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে খান-ই-জাহান একজন। বাংলায় তিনি সদ্য প্রতিষ্ঠিত মুঘল আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।