উত্তর : ভূমিকা : ১৬৬৪ সালের মার্চ মাসে শায়েস্তা খান রাজমহল হয়ে ঢাকায় পৌঁছেন এবং বাংলার শাসনভার গ্রহণ করেন। এ সময় তার বয়স ছিল ৬৩ বছর। কিন্তু বার্ধক্যে পদার্পণ করলেও তিনি কয়েকজন যোগ্য সহকারীর সাহায্যে শাসনকার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন। এ সহকারীদের মধ্যে তার চার পুত্র বুজুর্গ উমেদ খান, জাফর খান, আবু নাসের খান ও ইরাদাত খান তাকে যথেষ্ট সাহায্য করেন। তার সাফল্যের মূলে তাদের অবদান ছিল অপরিসীম। বাংলায় শায়েস্তা খানের সর্বশ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব হল চট্টগ্রাম বিজয়। নিম্নে সুবাদার শায়েস্তা খানের চট্টগ্রাম বিজয় তুলে ধরা হল :
শায়েস্তা খানের চট্টগ্রাম বিজয় : ১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খান চট্টগ্রাম বিজয় করেন। শায়েস্তা খান নিজেই এ অভিযানের পরিকল্পনা করেন এবং তার পুত্র বুজুর্গ উমেদ খান অভিযান পরিচালনা করেন। ১৪৫৯ খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজ চট্টগ্রাম জেলা স্বাধীন বাংলার সুলতানদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর রাজত্বকালে মুঘলরা ফেনী নদী পর্যন্ত পুনরুদ্ধার করেছিল। ১৬১৭ সালে আরাকান রাজ পর্তুগিজের নিকট থেকে । সন্দ্বীপ দখল করে নিয়েছিলেন। আরাকানের মগ ও ফিরিঙ্গী জলদস্যুরা প্রায়ই বঙ্গদেশে লুটপাট করত। বঙ্গদেশের দক্ষিণ অঞ্চল- ঢাকা, বাকেরগঞ্জ ও নোয়াখালী তাদের আক্রমণের শিকারে পরিণত হয়েছিল। শায়েস্তা খান এদের কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতে পেরে তাদেরকে দমনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি এক বছরের মধ্যে নতুন নৌবহর তৈরি করে একে অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা সুসজ্জিত করেন। ১৬৬৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর শায়েস্তা খানের পুত্র বুজুর্গ উমেদ খানের নেতৃত্বে সৈন্যবাহিনী ঢাকা থেকে যুদ্ধাভিযানে রওনা হয়। তার সাথে ছিল ২৮৮টি জাহাজ। এতদ্ব্যতীত ফিরিঙ্গিদেরও ৪০টি রণতরী ছিল। ১৬৬৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ফেনী নদী অতিক্রম করে সৈন্য বাহিনী আরাকানী এলাকায় প্রবেশ করে। ১৬৬৬ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম নৌযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে আরাকানী নৌবাহিনী পরাজিত হয়ে কর্ণফুলী নদীর দিকে পিছিয়ে যায়। ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম দুর্গ অবরোধ করে। ২৬ জানুয়ারি বুজুর্গ উমেদ খান বিজয়গর্বে চট্টগ্রামে প্রবেশ করেন এবং চট্টগ্রাম মুঘলদের দখলে আসে। পরে সম্রাটের আদেশ অনুসারে চট্টগ্রামের নাম রাখা হয় ইসলামাবাদ।
উপসংহার : সুবাদার শায়েস্তা খানের চট্টগ্রাম বিজয় বাংলার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। চট্টগ্রাম অধিকার করার পর শায়েস্তা খান আরও প্রায় ১০ বছর বঙ্গদেশের সুবাদার ছিলেন। বহুদিন এদেশে থাকার পর শায়েস্তা খান দিল্লিতে ফিরে যাবার জন্য সম্রাটের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন এবং সম্রাট তার প্রার্থনা মঞ্জুর করলে ১৬৭৮ সালে তিনি দিল্লিতে ফিরে যান।
সুবাদার শায়েস্তা খানের চট্টগ্রাম বিজয় সম্পর্কে কি জান?
উত্তর : ভূমিকা : ১৬৬৪ সালের মার্চ মাসে শায়েস্তা খান রাজমহল হয়ে ঢাকায় পৌঁছেন এবং বাংলার শাসনভার গ্রহণ করেন। এ সময় তার বয়স ছিল ৬৩ বছর। কিন্তু বার্ধক্যে পদার্পণ করলেও তিনি কয়েকজন যোগ্য সহকারীর সাহায্যে শাসনকার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন। এ সহকারীদের মধ্যে তার চার পুত্র বুজুর্গ উমেদ খান, জাফর খান, আবু নাসের খান ও ইরাদাত খান তাকে যথেষ্ট সাহায্য করেন। তার সাফল্যের মূলে তাদের অবদান ছিল অপরিসীম। বাংলায় শায়েস্তা খানের সর্বশ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব হল চট্টগ্রাম বিজয়। নিম্নে সুবাদার শায়েস্তা খানের চট্টগ্রাম বিজয় তুলে ধরা হল :
শায়েস্তা খানের চট্টগ্রাম বিজয় : ১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খান চট্টগ্রাম বিজয় করেন। শায়েস্তা খান নিজেই এ অভিযানের পরিকল্পনা করেন এবং তার পুত্র বুজুর্গ উমেদ খান অভিযান পরিচালনা করেন। ১৪৫৯ খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজ চট্টগ্রাম জেলা স্বাধীন বাংলার সুলতানদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর রাজত্বকালে মুঘলরা ফেনী নদী পর্যন্ত পুনরুদ্ধার করেছিল। ১৬১৭ সালে আরাকান রাজ পর্তুগিজের নিকট থেকে । সন্দ্বীপ দখল করে নিয়েছিলেন। আরাকানের মগ ও ফিরিঙ্গী জলদস্যুরা প্রায়ই বঙ্গদেশে লুটপাট করত। বঙ্গদেশের দক্ষিণ অঞ্চল- ঢাকা, বাকেরগঞ্জ ও নোয়াখালী তাদের আক্রমণের শিকারে পরিণত হয়েছিল। শায়েস্তা খান এদের কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতে পেরে তাদেরকে দমনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি এক বছরের মধ্যে নতুন নৌবহর তৈরি করে একে অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা সুসজ্জিত করেন। ১৬৬৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর শায়েস্তা খানের পুত্র বুজুর্গ উমেদ খানের নেতৃত্বে সৈন্যবাহিনী ঢাকা থেকে যুদ্ধাভিযানে রওনা হয়। তার সাথে ছিল ২৮৮টি জাহাজ। এতদ্ব্যতীত ফিরিঙ্গিদেরও ৪০টি রণতরী ছিল। ১৬৬৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ফেনী নদী অতিক্রম করে সৈন্য বাহিনী আরাকানী এলাকায় প্রবেশ করে। ১৬৬৬ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম নৌযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে আরাকানী নৌবাহিনী পরাজিত হয়ে কর্ণফুলী নদীর দিকে পিছিয়ে যায়। ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম দুর্গ অবরোধ করে। ২৬ জানুয়ারি বুজুর্গ উমেদ খান বিজয়গর্বে চট্টগ্রামে প্রবেশ করেন এবং চট্টগ্রাম মুঘলদের দখলে আসে। পরে সম্রাটের আদেশ অনুসারে চট্টগ্রামের নাম রাখা হয় ইসলামাবাদ।
উপসংহার : সুবাদার শায়েস্তা খানের চট্টগ্রাম বিজয় বাংলার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। চট্টগ্রাম অধিকার করার পর শায়েস্তা খান আরও প্রায় ১০ বছর বঙ্গদেশের সুবাদার ছিলেন। বহুদিন এদেশে থাকার পর শায়েস্তা খান দিল্লিতে ফিরে যাবার জন্য সম্রাটের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন এবং সম্রাট তার প্রার্থনা মঞ্জুর করলে ১৬৭৮ সালে তিনি দিল্লিতে ফিরে যান।