শায়েস্তা খানের পর্তুগিজ গমন অভিযান আলোচনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : সুবাদার হিসাবে শায়েস্তা খান ছিলেন দক্ষ বিচারক, বিত্তবান ও ক্ষমতাশীল এবং দাতা। বাংলার শান্তি- শৃংঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় শায়েস্তা খানের ভূমিকা অনেক। সতেরো শতকের প্রথম থেকেই আরাকান রাজার সহায়তার পর্তুগিজ নাবিক ও জলদস্যুদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করেন শায়েস্তা খান।
শায়েস্তা খানের পর্তুগিজ দমন অভিযান : শায়েস্তা খানের সুবাদারি বাংলার ইতিহাসে এক বিশিষ্ট আসন দখল করে আছেন। পর্তুগিজ জলদস্যুরা বাংলার বিভিন্ন এলাকায় হামলা লুটতরাজ করত। জলদস্যুরা নারী-পুরুষদের ধরে নিয়ে যেত এবং দাস হিসেবে বিক্রিয় করত। শায়েস্তা খান প্রজাদের উপর অত্যাচার বন্দ করতে পর্তুগিজদের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন। পর্তুগিজদের দমন করার জন্য শায়েস্তা খান অনেক রণতরী নির্মাণ করেন। ১৬৬৫ সালে শায়েস্তা খান সন্দীপ দখল করার জন্য তার সেনাপতি ইবনে হুসেনকে পাঠান। হুসেন সন্দীপ দখল করেন। চট্টগ্রাম দখলের জন্য তিনি তার বড় পুত্র সুজর্স উমেদ খানকে সেনাপতি করে পাঠান। উমেদ খান ৬০০০ সৈন্য নিয়ে স্থলপথ অভিযান পরিচালনা করেন। নদীপথে
অভিযান পরিচালনা করেন নৌ-সেনাপতি ইবনে হুসেন। ইবনে হুসেন ২৮৮টি রণতরী নিয়ে নদীপথে যাত্রা করেন। প্রবল যুদ্ধের
মুখে ১৬৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্তুগিজ জলদস্যুরা নৌ সেনাপতি ইবনে হুসেনের নিকট আত্মসমর্পণ করেন। এভাবেই শায়েস্তা খান পর্তুগিজদের দমন করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুবাদার শায়েস্তা খান ছিলেন আরামপ্রিয় ও বিলাসী শাসক। তার শাসনামলে বাংলার জনগণ সুখ ও শান্তিতে ছিলেন। শায়েস্তা খানের অন্যতম সাফল্য বাংলা থেকে পর্তুগিজদের বিতাড়ন করা। শায়েস্তা খানের আমলে বাংলা কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয় ।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%98%e0%a6%b2-%e0%a6%86%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ae/

শায়েস্তা খানের পর্তুগিজ গমন অভিযান আলোচনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : সুবাদার হিসাবে শায়েস্তা খান ছিলেন দক্ষ বিচারক, বিত্তবান ও ক্ষমতাশীল এবং দাতা। বাংলার শান্তি- শৃংঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় শায়েস্তা খানের ভূমিকা অনেক। সতেরো শতকের প্রথম থেকেই আরাকান রাজার সহায়তার পর্তুগিজ নাবিক ও জলদস্যুদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করেন শায়েস্তা খান।
শায়েস্তা খানের পর্তুগিজ দমন অভিযান : শায়েস্তা খানের সুবাদারি বাংলার ইতিহাসে এক বিশিষ্ট আসন দখল করে আছেন। পর্তুগিজ জলদস্যুরা বাংলার বিভিন্ন এলাকায় হামলা লুটতরাজ করত। জলদস্যুরা নারী-পুরুষদের ধরে নিয়ে যেত এবং দাস হিসেবে বিক্রিয় করত। শায়েস্তা খান প্রজাদের উপর অত্যাচার বন্দ করতে পর্তুগিজদের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন। পর্তুগিজদের দমন করার জন্য শায়েস্তা খান অনেক রণতরী নির্মাণ করেন। ১৬৬৫ সালে শায়েস্তা খান সন্দীপ দখল করার জন্য তার সেনাপতি ইবনে হুসেনকে পাঠান। হুসেন সন্দীপ দখল করেন। চট্টগ্রাম দখলের জন্য তিনি তার বড় পুত্র সুজর্স উমেদ খানকে সেনাপতি করে পাঠান। উমেদ খান ৬০০০ সৈন্য নিয়ে স্থলপথ অভিযান পরিচালনা করেন। নদীপথে
অভিযান পরিচালনা করেন নৌ-সেনাপতি ইবনে হুসেন। ইবনে হুসেন ২৮৮টি রণতরী নিয়ে নদীপথে যাত্রা করেন। প্রবল যুদ্ধের
মুখে ১৬৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্তুগিজ জলদস্যুরা নৌ সেনাপতি ইবনে হুসেনের নিকট আত্মসমর্পণ করেন। এভাবেই শায়েস্তা খান পর্তুগিজদের দমন করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুবাদার শায়েস্তা খান ছিলেন আরামপ্রিয় ও বিলাসী শাসক। তার শাসনামলে বাংলার জনগণ সুখ ও শান্তিতে ছিলেন। শায়েস্তা খানের অন্যতম সাফল্য বাংলা থেকে পর্তুগিজদের বিতাড়ন করা। শায়েস্তা খানের আমলে বাংলা কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয় ।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%98%e0%a6%b2-%e0%a6%86%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ae/