উত্তর : ভূমিকা : বাংলার কররানী বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন সোলায়মান কররানী। তিনি তাজ খানের মৃত্যুর পর ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন সুযোগ্য শাসক ও সুদক্ষ বিজেতা। নিম্নে সোলায়মান কররানীর শাসন সম্পর্কে তুলে ধরা হল।
সোলায়মান কররানীর শাসনব্যবস্থা :
১. মুঘলদের সাথে মিত্রতা স্থাপন : সোলায়মান কররানী একজন দক্ষ কূটনীতিবিদ ছিলেন। তিনি মুঘল সম্রাট হুমায়ূন ও আকবরের নিকট উপহার সামগ্রী প্রেরণ করে মিত্রতা স্থাপন
করেন। তাই ড. আব্দুল করিম বলেন, “তিনি কৌশলে মুঘলদের সম্প্রসারণ নীতি হতে বাংলা-বিহারকে বাঁচিয়ে রাখেন।”
২. উড়িষ্যা বিজয় : সোলায়মান কররানী কর্তৃক উড়িষ্যা বিজয় একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কোনো কোনো মুসলমান শাসক
উড়িষ্যা আক্রমণ করলেও একমাত্র তিনি উড়িষ্যা জয় করতে সক্ষম হন। ১৫৬৭ সালে সোলায়মান পুত্র বায়েজিদ ও সেনাপতি কালা
পাহাড়ের নেতৃত্বে পুরীসহ সমগ্র উড়িষ্যা অধিকার করেন।
৩. কুচবিহারের সাথে মিত্রতা স্থাপন : ১৫৬৮ সালে কুচবিহারের রাজা নরনারায়ণ ও সেনাপতি শুকলাধ্বজ বঙ্গ আক্রমণ করে। পরে মুসলমানগণ ব্রহ্মপুত্র হতে ভোজপুর পর্যন্ত অধিকার করে। কিন্তু বঙ্গে মুঘল আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিলে সোলায়মান কুচবিহারের রাজার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন।
৪. রাজধানী স্থানান্তর : সোলায়মান কররানী সর্বপ্রথম রাজধানী গৌড় হতে মালদহের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত তান্ডায় স্থানান্তরিত করেন।
৫. শাসক হিসেবে : সোলায়মান কররানী ছিলেন একজন দূরদর্শী ও সুদক্ষ শাসক। তার শাসনব্যবস্থায় ইসলামি বিধি- বিধান কঠোরভাবে অনুসৃত হয়। তিনি দিনের নির্দিষ্ট সময়ে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। তিনি ছিলেন ন্যায়-পরায়ণ শাসক। দরবেশ ও পণ্ডিতগণ তার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করতেন।
মালদহের সোনা মসজিদটিও তিনি নির্মাণ করেন। তিনি অসংখ্য সামরিক ও বেসামরিক আফগানদের নিয়ে একটি শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী গঠন করেন। ড. আব্দুল করিম বলেন, “মুঘল ও আফগান ঐতিহাসিকরা এবং বিদেশি পর্যটকরাও সোলায়মানের রণসম্ভারের প্রশংসা করেছেন।”
উপসংহার : বাংলার আফগান কররানী বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন সোলায়মান কররানী। তিনি মুঘলদের আনুগত্য স্বীকার করেও বাংলার সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখেন। তিনি ছিলেন ন্যায়পরায়ণ, বুদ্ধিমান ও দূরদর্শী শাসক।
সোলায়মান কররানীর শাসন সম্পর্কে কি জান?
উত্তর : ভূমিকা : বাংলার কররানী বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন সোলায়মান কররানী। তিনি তাজ খানের মৃত্যুর পর ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন সুযোগ্য শাসক ও সুদক্ষ বিজেতা। নিম্নে সোলায়মান কররানীর শাসন সম্পর্কে তুলে ধরা হল।
সোলায়মান কররানীর শাসনব্যবস্থা :
১. মুঘলদের সাথে মিত্রতা স্থাপন : সোলায়মান কররানী একজন দক্ষ কূটনীতিবিদ ছিলেন। তিনি মুঘল সম্রাট হুমায়ূন ও আকবরের নিকট উপহার সামগ্রী প্রেরণ করে মিত্রতা স্থাপন
করেন। তাই ড. আব্দুল করিম বলেন, “তিনি কৌশলে মুঘলদের সম্প্রসারণ নীতি হতে বাংলা-বিহারকে বাঁচিয়ে রাখেন।”
২. উড়িষ্যা বিজয় : সোলায়মান কররানী কর্তৃক উড়িষ্যা বিজয় একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কোনো কোনো মুসলমান শাসক
উড়িষ্যা আক্রমণ করলেও একমাত্র তিনি উড়িষ্যা জয় করতে সক্ষম হন। ১৫৬৭ সালে সোলায়মান পুত্র বায়েজিদ ও সেনাপতি কালা
পাহাড়ের নেতৃত্বে পুরীসহ সমগ্র উড়িষ্যা অধিকার করেন।
৩. কুচবিহারের সাথে মিত্রতা স্থাপন : ১৫৬৮ সালে কুচবিহারের রাজা নরনারায়ণ ও সেনাপতি শুকলাধ্বজ বঙ্গ আক্রমণ করে। পরে মুসলমানগণ ব্রহ্মপুত্র হতে ভোজপুর পর্যন্ত অধিকার করে। কিন্তু বঙ্গে মুঘল আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিলে সোলায়মান কুচবিহারের রাজার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন।
৪. রাজধানী স্থানান্তর : সোলায়মান কররানী সর্বপ্রথম রাজধানী গৌড় হতে মালদহের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত তান্ডায় স্থানান্তরিত করেন।
৫. শাসক হিসেবে : সোলায়মান কররানী ছিলেন একজন দূরদর্শী ও সুদক্ষ শাসক। তার শাসনব্যবস্থায় ইসলামি বিধি- বিধান কঠোরভাবে অনুসৃত হয়। তিনি দিনের নির্দিষ্ট সময়ে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। তিনি ছিলেন ন্যায়-পরায়ণ শাসক। দরবেশ ও পণ্ডিতগণ তার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করতেন।
মালদহের সোনা মসজিদটিও তিনি নির্মাণ করেন। তিনি অসংখ্য সামরিক ও বেসামরিক আফগানদের নিয়ে একটি শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী গঠন করেন। ড. আব্দুল করিম বলেন, “মুঘল ও আফগান ঐতিহাসিকরা এবং বিদেশি পর্যটকরাও সোলায়মানের রণসম্ভারের প্রশংসা করেছেন।”
উপসংহার : বাংলার আফগান কররানী বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন সোলায়মান কররানী। তিনি মুঘলদের আনুগত্য স্বীকার করেও বাংলার সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখেন। তিনি ছিলেন ন্যায়পরায়ণ, বুদ্ধিমান ও দূরদর্শী শাসক।