উত্তর : ভূমিকা সুলতানি আমলে বাংলায় স্থানীয় শাসনব্যবস্থা সুনিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালিত হত। সমগ্র রাজ্যে শানি-
সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শাসকবৃন্দ সমগ্র সাম্রাজ্যকে স্থানীয় ও প্রাদেশিক এই ভাগে বিভক্ত করে রাজ্য শাসন করতেন। এক্ষেত্রে
তারা বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় সুবিধার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে আবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বা আলাদাভাবে প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানে ভাগ করে দেন। সুলতানি আমলে বাংলার স্থানীয় শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে নিম্নে ধারণা দেওয়া হলো :
‘সুলতানি আমলে বাংলায় স্থানীয় শাসনব্যবস্থা : রাষ্ট্র পরিচালনার সুবিধার জন্য স্থানীয় শাসনব্যবস্থাকে দুইটি প্রধান বিভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
১. ইক্তা ও ২. আরসা।
২. ইক্তা : স্থানীয় প্রশাসন বিভাগের বৃহৎ বিভাগগুলিকে ইক্তা বলা হতো। এসকল বৃহৎ বিভাগে আবার শাখা-প্রশাখা বিভাগ থাকতো। একাধিক কর্মচারী বিদ্যমান ছিল। সকলে নিজ নিজ দায়িত্ব সুচারুরূপে সম্পাদন করতো। ইক্তার ভার ছিল আমীরের উপর।
৩. আরসা : স্থানীয় প্রশাসনের ক্ষুদ্রবিভাগগুলিকে ‘আরসা’ বলা হত।
৪. অন্যান্য বিভাগসমূহ : থানা, শিক, মহল প্রভৃতি কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ছিল।
উপরিউক্ত বিভাগগুলির শাসনকর্তা সুলতান কর্তৃক নিযুক্ত হতেন।
উপসংহার : পরিশেষে একথা বলা যায় যে, শাসনকার্যকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সাম্রাজ্যকে প্রাদেশিক স্থানীয় বিভাগে ভাগ করা হয়। স্থানীয় শাসনব্যবস্থাকে আবার কতিপয় বৃহৎ ও ক্ষুদ্র বিভাগে ভাগ করে প্রশাসনকে সুন্দরভাবে সাজানো হয়। এভাবে বাংলায় সুলতানি শাসন কায়েম হয়।