উত্তর ভূমিকা : সুলতানি বাংলার রাজধানী গৌড়- লখনৌতির সর্ববৃহৎ মসজিদ এবং বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যের চরম উৎকর্ষের নিদর্শন হলো ‘সোনা মসজিদ’। তবে মসজিদটি
কে নির্মাণ করেন সে বিষয় বিতর্ক রয়েছে। তবে নাসিরউদ্দিন নুসরত শাহ এ মসজিদটি নির্মাণ করেন বলে মনে করা হয়। ছোট সোনা মসজিদের সঙ্গে এ মসজিদের নির্মাণ কৌশলের অনেক মিল পাওয়া যায়।
→ সোনা মসজিদ : সোনা মসজিদ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-
১. নির্মাণকাল : সোনা মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। উনিশ শতকের প্রথমদিকে আবিষ্কৃত একটি শিলালিপি থেকে বোঝা যায় ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে নুসরত শাহ কর্তৃক মসজিদটি নির্মিত হয়। অন্যদিকে সম্প্রতি পাওয়া একটি শিলালিপিতে ১৫২৩ সালে নুসরত শাহ কর্তৃক একটি প্রবেশদ্বার নির্মাণের উল্লেখ রয়েছে।
২. নামকরণ : মসজিদটি সাধারণত ‘বারোদুয়ারী’ বা বারো দরজা বিশিষ্ট বলে পরিচিতি। আবিদ আলী অবশ্য বলে
বারোদুয়ারীর সাধারণ অর্থ শ্রোতাদের মিলনায়তন এবং মসজিদের সম্মুখভাগের বিস্তৃত অঙ্গনই মসজিদের এ নামকরণের
কারণ। ছোট সোনা মসজিদের সাথে এর মিল পাওয়া যায়। এর আকারের কারণে একে ‘বড় সোনা মসজিদ’ বলা হয়ে থাকে ।
৩. গঠন ও আকৃতি : মসজিদটি ইটের গাঁথুনির উপর পাথরের আস্তরণে নির্মিত। চার কোণে প্রচলিত অষ্টভুজ বুরুজসহ আয়তাকার এ মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫১.২ মি. এবং প্রস্থ ২৩.১৫ মি. সম্মুখভাগে রয়েছে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর বিস্তৃত বারান্দা, এগারোটি সূচাগ্র খিলানযুক্ত প্রবেশপথ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে
একটি করে প্রবেশ পথ। এতে মোট ৪৪টি গম্বুজ রয়েছে।
৪. প্রবেশপথ : মসজিদের উত্তর-পশ্চিম কোণে এক সময় চারটি স্তম্ভ পথ জুড়ে একটি গ্যালারি ছিল। অপরাপর সব মসজিদের ন্যায় গ্যালারির প্রবেশপথ ছিল বাইরের দিকে। মসজিদের ১১টি প্রবেশ পথ ছিল। সম্মুখে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণসহ মসজিদের পূর্ব ও উত্তরদিকের দুটি প্রবেশদ্বার এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
৫. নির্মাণ কৌশল ও কারুকার্য : মসজিদটি সাদামাটাভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটি সাদামাটাভাবে নির্মাণের কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। তবে মধ্যযুগে ভারতীয়
উপমহাদেশে নির্মিত বৃহদায়তন সৌধগুলির সঙ্গে তুলনা করে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়তো যায়। ইন্দো-মুসলিম স্থাপত্যে সাধারণত
অপেক্ষাকৃত ছোট স্থাপত্যকর্মে সৌন্দর্য ও সূক্ষ্ম কারুকাজ লক্ষ্য করা যায় । ইমারতের আকার যত বড় হয় তার সারল্যও তত বেশি
হয়। এখানে গাম্ভীর্য ও অতি অলংকরণ যে পাশাপাশি চলে না, বড় সোনা মসজিদে কারিগরদের মধ্যে এ দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সুস্পষ্ট।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বড় সোনা মসজিদ নাসিরউদ্দিন নসরত শাহের স্থাপত্য শিল্প নিদর্শনের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বড় সোনা মসজিদ সম্পর্কে বলা যায়
যে- ‘Simplicity is the best architecture’ মসজিদটি যুগযুগ ধরে নসরত শাহের মহান কীর্তির স্বাক্ষর বহন করছে।
গৌড়ের বিখ্যাত বারদুয়ারী মসজিদ সম্পর্কে লিখ।
উত্তর ভূমিকা : সুলতানি বাংলার রাজধানী গৌড়- লখনৌতির সর্ববৃহৎ মসজিদ এবং বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যের চরম উৎকর্ষের নিদর্শন হলো ‘সোনা মসজিদ’। তবে মসজিদটি
কে নির্মাণ করেন সে বিষয় বিতর্ক রয়েছে। তবে নাসিরউদ্দিন নুসরত শাহ এ মসজিদটি নির্মাণ করেন বলে মনে করা হয়। ছোট সোনা মসজিদের সঙ্গে এ মসজিদের নির্মাণ কৌশলের অনেক মিল পাওয়া যায়।
→ সোনা মসজিদ : সোনা মসজিদ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-
১. নির্মাণকাল : সোনা মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। উনিশ শতকের প্রথমদিকে আবিষ্কৃত একটি শিলালিপি থেকে বোঝা যায় ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে নুসরত শাহ কর্তৃক মসজিদটি নির্মিত হয়। অন্যদিকে সম্প্রতি পাওয়া একটি শিলালিপিতে ১৫২৩ সালে নুসরত শাহ কর্তৃক একটি প্রবেশদ্বার নির্মাণের উল্লেখ রয়েছে।
২. নামকরণ : মসজিদটি সাধারণত ‘বারোদুয়ারী’ বা বারো দরজা বিশিষ্ট বলে পরিচিতি। আবিদ আলী অবশ্য বলে
বারোদুয়ারীর সাধারণ অর্থ শ্রোতাদের মিলনায়তন এবং মসজিদের সম্মুখভাগের বিস্তৃত অঙ্গনই মসজিদের এ নামকরণের
কারণ। ছোট সোনা মসজিদের সাথে এর মিল পাওয়া যায়। এর আকারের কারণে একে ‘বড় সোনা মসজিদ’ বলা হয়ে থাকে ।
৩. গঠন ও আকৃতি : মসজিদটি ইটের গাঁথুনির উপর পাথরের আস্তরণে নির্মিত। চার কোণে প্রচলিত অষ্টভুজ বুরুজসহ আয়তাকার এ মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫১.২ মি. এবং প্রস্থ ২৩.১৫ মি. সম্মুখভাগে রয়েছে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর বিস্তৃত বারান্দা, এগারোটি সূচাগ্র খিলানযুক্ত প্রবেশপথ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে
একটি করে প্রবেশ পথ। এতে মোট ৪৪টি গম্বুজ রয়েছে।
৪. প্রবেশপথ : মসজিদের উত্তর-পশ্চিম কোণে এক সময় চারটি স্তম্ভ পথ জুড়ে একটি গ্যালারি ছিল। অপরাপর সব মসজিদের ন্যায় গ্যালারির প্রবেশপথ ছিল বাইরের দিকে। মসজিদের ১১টি প্রবেশ পথ ছিল। সম্মুখে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণসহ মসজিদের পূর্ব ও উত্তরদিকের দুটি প্রবেশদ্বার এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
৫. নির্মাণ কৌশল ও কারুকার্য : মসজিদটি সাদামাটাভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটি সাদামাটাভাবে নির্মাণের কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। তবে মধ্যযুগে ভারতীয়
উপমহাদেশে নির্মিত বৃহদায়তন সৌধগুলির সঙ্গে তুলনা করে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়তো যায়। ইন্দো-মুসলিম স্থাপত্যে সাধারণত
অপেক্ষাকৃত ছোট স্থাপত্যকর্মে সৌন্দর্য ও সূক্ষ্ম কারুকাজ লক্ষ্য করা যায় । ইমারতের আকার যত বড় হয় তার সারল্যও তত বেশি
হয়। এখানে গাম্ভীর্য ও অতি অলংকরণ যে পাশাপাশি চলে না, বড় সোনা মসজিদে কারিগরদের মধ্যে এ দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সুস্পষ্ট।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বড় সোনা মসজিদ নাসিরউদ্দিন নসরত শাহের স্থাপত্য শিল্প নিদর্শনের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বড় সোনা মসজিদ সম্পর্কে বলা যায়
যে- ‘Simplicity is the best architecture’ মসজিদটি যুগযুগ ধরে নসরত শাহের মহান কীর্তির স্বাক্ষর বহন করছে।