Download Our App

সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের চরিত্র সংক্ষেপে লিখ।

উত্তর : ভূমিকা : বাংলার মধ্যযুগের ইতিহাসে যে সকল ব্যক্তি নিজ বুদ্ধি ও সাহসের মাধ্যমে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছিল,
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা ও মহৎ চরিত্রের অধিকারী।
→ সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের চরিত্র: নিম্নে সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের চরিত্র তুলে ধরা হলো :
১. সুযোগ্য শাসক : সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ ছিলেন একজন সুযোগ্য শাসক। তিনি কঠোর হস্তে শত্রু দমন করেন । তার শাসনামলে রাজ্যের সর্বত্রই শান্তি-শৃংঙ্খলা বিরাজিত ছিল। তিনি হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখেন।
২. সাহসী সৈনিক : শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ ছিলেন সাহসী সৈনিক। সেনাবাহিনীর উপর তার একচ্ছত্র আধিপতা ছিল। সেনাবাহিনী সুলতানের জন্য সবকিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত ছিলেন।
৩. অভিজ্ঞ কূটনীতিবিদ : সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিবিদ ছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, সমগ্র বাংলা একসাথে জয় করা যাবে না। তাই তিনি সময় ও সুযোগ নিজের অনুকূলে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
৪. শিল্প সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক : সুলতান ইলিয়াস শাহ শিল্প সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
তৎকালীন স্থাপত্য শিল্পে তার অবদান ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ধর্মনিষ্ঠা : সুলতান ইলিয়াস শাহ একজন ধর্মনিষ্ঠ শাসক ছিলেন। তিনি সুফি, দরবেশ ও ইসলাম প্রচারক মুসলিমদের খুব সম্মান করতেন।
৬. কোমল হৃদয়ের অধিকারী : সুলতান শামসুউদ্দিন ইলিয়াস শাহ ছিলেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তার এই কোমল হৃদয়ের
বর্ণনা ঐতিহাসিকগণের বিবরণীতে পাওয়া যায়। কেউ তার দরবারে সাহায্য চেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে পারেনি।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগের ইতিহাসে ইলিয়াস শাহি বংশের শাসনকাল এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস শাহ সমগ্র
বাংলাকে একত্রিত করেছেন। বাংলার ইতিহাসে ইলিয়াস শাহ একজন সৎ, সাহসী ও বিচক্ষণ নেতা।