মুদ্রা কিভাবে অর্থনৈতিক ইতিহাস রচনায় সহায়তা করে?

উত্তর : ভূমিকা : অতীত ইতিহাস জানার জন্য উৎসের উপর নির্ভর করতে হয়। মধ্যযুগে সুলতানি আমলে ইতিহাসের উৎস
ছিল সীমিত। তবে মুঘল আমলে যথেষ্ট ইতিহাসের উপাদান ছিল। ইতিহাসের উপাদানকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। যেমন-
১. লিখিত উৎস ও
২. অলিখিত উৎস।
মুদ্রা অলিখিত উৎসের মধ্যে পড়ে। মুদ্রা থেকে বিভিন্ন শাসকের রাজত্বকালের স্থায়ীত্বকাল, অর্থনৈতিক অবস্থা প্রভৃতি সম্পর্কে জানা যায়। মুদ্রা কিভাবে অর্থনৈতিক ইতিহাস রচনায়
সহায়তা করে নিম্নে এসম্পর্কে লেখা হলো :
→ অর্থনৈতিক ইতিহাস রচনায় মুদ্রা : তাম্রশাসনের তুলনায় মুদ্রার গুরুত্ব কম হলেও তা একেবারেই অকিঞ্চিৎকর নয়। সাহিত্য, ভাস্কর্য, লিপি থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যায় তার যথার্থ যাচাই করার জন্য মুদ্রার গুরুত্ব অপরিসীম। সাল-তারিখ-সম্বলিত মুদ্রাগুলো সময় নিরূপণ করতে সাহায্য করে। সাধারণত অনুমান করে নেয়া হয় যে, যেখানে কোনো রাজার মুদ্রা পাওয়া গেছে সে এলাকা তার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত বা তার আধিপত্য ছিল। তাছাড়া মুদ্রাগুলোর ছাঁচ, হরফ, লেখা, আঁকা ছবি থেকে অনেক কিছু অনুমান করা যায়। যে ধাতুতে মুদ্রা নির্মিত তার ধরন থেকে সভ্যতার স্তর আন্দাজ করা যায়। এসব মুদ্রাগুলো সোনা, রুপা ইত্যাদি বিভিন্ন ধাতুতে নির্মিত ছিল। এ থেকে বুঝা যায় যে, কোন শাসকের আমলে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বা মন্দ ছিল, এ মুদ্রার পাঠোদ্ধার এবং অন্যান্য সংকেত থেকে ঐতিহাসিক তথ্যসংগ্রহে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মুদ্রা থেকে প্রাপ্ত তথ্য, আমাদেরকে তৎকালীন মধ্যযুগের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে অনেকটা তথ্য দিয়ে সহায়তা করে থাকে। যদিও এটা পর্যাপ্ত নয়, তথাপি এগুলোর মূল্য অপরিসীম।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%ac/